মৃত্যুর তারিখও মিলিয়ে দিল কাস্ত্রো-ম্যারাডোনাকে

স্পোর্টস ডেস্ক | শুক্রবার , ২৭ নভেম্বর, ২০২০ at ৬:৫৩ পূর্বাহ্ণ

আর্জেন্টাইন ফুটবল কিংবদন্তি দিয়েগো ম্যারাডোনার মৃত্যুতে শোকের সাগরে ভাসছে ফুটবল বিশ্ব। বুধবার (২৫ নভেম্বর) হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মারা গেছেন এই ছিয়াশির মহানায়ক। চার বছর আগে ঠিক এই দিনেই পরপারে পাড়ি জমিয়েছেন তার প্রিয় বন্ধু ও কিউবার বিপ্লবী নেতা ফিদেল কাস্ত্রো।
ফিদেল কাস্ত্রোর সঙ্গে ম্যারাডোনার প্রথম সাক্ষাৎ হয় ১৯৮৭ সালে। তার এক বছর আগেই বিশ্বকাপ জিতিয়ে তখন আর্জেন্টিনায় ম্যারাডোনা রীতিমত মহাতারকা বনে গেছেন। তবে কাস্ত্রোর সঙ্গে তার বন্ধুত্ব পূর্ণতা পায় একুশ শতকের শুরুর দিকে। এর শুরুটা হয় যখন অতিরিক্ত কোকেন আসক্তির কারণে ম্যারাডোনার হৃদযন্ত্রে সমস্যা দেখা দেয়। অল্পের জন্য সেবার বেঁচে যান তিনি। চিকিৎসা নিতে কিউবায় গিয়েছিলেন ম্যারাডোনা। ছিলেন চার বছর। ওই সময় আর্জেন্টিনার হাসপাতালগুলো তাকে ফিরিয়ে দিয়েছিল। কারণ তারা নিজেদের হাতে তার মৃত্যু হোক তা চায়নি। কিন্তু কাস্ত্রো তার জন্য কিউবার দরজা খুলে দেন। চিকিৎসার সুব্যবস্থাও করে দেন। শুধু কি তাই, প্রায়ই ম্যারাডোনাকে নিয়ে সকালে হাঁটতে বের হতেন কাস্ত্রো। দুজনে মিলে খেলাধুলা আর রাজনীতি নিয়ে দীর্ঘ সময় গল্প করতেন।
কাস্ত্রোর সঙ্গে ম্যারাডোনার বন্ধুত্বের আরও একটি কারণ ছিল দুজনেই ছিলেন প্রচণ্ড মার্কিনবিদ্বেষী। ১৯৯৪ বিশ্বকাপ আসরের মাঝপথেই ডোপ টেস্টে পজিটিভ হয়ে ফিরতে হয়েছিল ম্যারাডোনাকে। সেবারের আসর বসেছিল এই যুক্তরাষ্ট্রেই। ২০০৫ সালে একবার ফিদেল কাস্ত্রোর সাক্ষাৎকার নিয়েছিলেন ম্যারাডোনা। সেই সাক্ষাৎকারে দুজনেই যুক্তরাষ্ট্রের তীব্র সমালোচনা করেছিলেন। এরপরও অনেকবারই যুক্তরাষ্ট্র নিয়ে নিজের অবস্থান জানান দিয়েছেন ম্যারাডোনা। এমনকি বর্তমান মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ‘পুতুল’ বলার কারণে তাকে যুক্তরাষ্ট্রের ভিসাও দেওয়া হয়নি।

পূর্ববর্তী নিবন্ধসিএসইতে লেনদেন ২৩.৩৭ কোটি টাকা
পরবর্তী নিবন্ধবিসিবি স্মরণ করলো ম্যারাডোনাকে