সীতাকুণ্ডে মোহাম্মদ সুমন (৩৮) হত্যাকাণ্ডের মূল হোতাসহ ৩ জনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব–৭। তাদের মধ্যে একজন নারীও রয়েছেন। গতকাল শুক্রবার ফেনী জেলার ছাগলনাইয়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। আটকরা হলেন মো. মামুনের পুত্র মো. আবুল মুনছুর প্রকাশ মিলন (৩০), মৃত নুর আহম্মদের পুত্র মো. মামুন (৬৫) এবং তার স্ত্রী নুরুন্নাহার বেগম প্রকাশ মিনা (৫০)। তাদের সবার বাড়ি সীতাকুণ্ড উপজেলার সৈয়দপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ বগাচতর এলাকায়।
জানা যায়, মোহাম্মদ সুমন (৩৮) সীতাকুণ্ড থানার বাসিন্দা। দীর্ঘদিন যাবৎ একই এলাকার মো. আবুল মুনছুর মিলন এবং মো. মামুনের সাথে তার জমি সংক্রান্ত বিরোধ চলে আসছিল। আসামিরা বিভিন্ন সময়ে মোহাম্মদ সুমনকে প্রাণনাশের হুমকিসহ নানা ধরনের ভয়ভীতি প্রদর্শন করে আসছিল। এরই ধারাবাহিকতায় চলতি বছরের গত ৮ আগস্ট বিকেল ৩টার দিকে মো. আবুল মুনছুর মিলন এবং মো. মামুন পূর্ব পরিকল্পিতভাবে সুমনকে লোহার রড এবং ধারালো ছুরি দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে গুরুতর রক্তাক্ত জখম করে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। এসময় স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে সীতাকুণ্ড উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেঙে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করে। পরে সেখান থেকে আইসিইউ সাপোর্টের জন্য তাকে একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে গত ১০ আগস্ট রাতে সুমন মৃত্যুবরণ করে। এ ঘটনায় নিহত সুমনের ভাই মো. সুজন বাদী হয়ে সীতাকুণ্ড থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
র্যাব জানায়, সুমন হত্যা মামলার পলাতক আসামিদের গ্রেপ্তারের লক্ষ্যে গোয়েন্দা নজরদারি এবং ছায়া তদন্ত শুরু করে র্যাব–৭। আসামিরা ফেনী জেলার ছাগলনাইয়া থানাধীন দুর্গাপুর এলাকায় অবস্থান করছে এমন তথ্যের ভিত্তিতে র্যাব–৭ এর একটি আভিযানিক দল গত ১২ সেপ্টেম্বর রাতে দুর্গাপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে তিন আসামিকে গ্রেপ্তার করে। পরে তারা স্বীকার করে, মামলা দায়ের পর থেকে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর দৃষ্টি এড়াতে চট্টগ্রামের বিভিন্ন স্থানে আত্মগোপন করে আসছিল।
র্যাব–৭ জানায়, গ্রেপ্তারকৃত আসামিদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সীতাকুণ্ড থানা পুলিশের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে।