মুুক্তিযোদ্ধা ভবন ভেঙে নতুন করে নির্মাণের প্রস্তাব দেয়া হবে

২৬ জুন তৃতীয় তলা সিলগালা করা হবে পরিদর্শনে জেলা প্রশাস

| বৃহস্পতিবার , ২৩ জুন, ২০২২ at ১১:১১ পূর্বাহ্ণ

নগরীর পরিত্যক্ত ‘মুক্তিযোদ্ধা ভবন’ (সাবেক দারুল ফজল মার্কেট) পরিদর্শন করেছেন জেলা প্রশাসক (ডিসি) মোহাম্মদ মমিনুর রহমান। গতকাল মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দিন, মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার মোজাফফর আহমদ ও মুক্তিযোদ্ধা একেএম সরোয়ার কামাল দুলুসহ অন্যদের সাথে নিয়ে তিনি জরাজীর্ণ এ ভবনটি পরিদর্শন করেন।

জেলা প্রশাসক বলেন, তিনতলা বিশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধা ভবনটি অনেক পুরনো। বর্ষাকালে ছাদ চুঁইয়ে পানি পড়ে। এখানে বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ মহানগর-জেলা ইউনিট কমান্ড ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মহানগরের দলীয় কার্যালয়ের পাশাপাশি নিচে অনেক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এগুলো বর্তমানে ব্যবহারের সম্পূর্ণ অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। মুক্তিযোদ্ধা ভবনটি যে কোনো মুহূর্তে ভেঙে পড়তে পারে। ১৯৭২ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বীর মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য প্রথমে এ ভবনটি দিয়েছিলেন। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার পর এটি বেহাত হয়ে যায়।

পরিত্যক্ত এ ভবনটি নতুন করে নির্মাণের লক্ষ্যে শীঘ্রই আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ, বীর মুক্তিযোদ্ধা ও ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দের সাথে বৈঠক করা হবে। বৈঠকে তারা সকলে একমত পোষণ করলে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে শর্ত সাপেক্ষে একটি ডেভেলপার কোম্পানিকে দিয়ে শীঘ্রই এ ভবনটি ভেঙে নতুন করে নির্মাণের প্রস্তাব দেয়া হবে। সাময়িক অসুবিধা হলেও ভবনটির নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হলে এখানে থাকা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ও মহানগর আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়সহ অন্যান্য ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পুনরায় তাদের কার্যক্রম শুরু করতে পারবে।

তিনি বলেন, আগামী ২৬ জুন পরিত্যক্ত মুক্তিযোদ্ধা ভবনের তৃতীয় তলা সিলগালা করে দেয়া হবে। একইসাথে বিল্ডিংয়ের ছাদে রক্ষিত বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মালামাল জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের মাধ্যমে সরানোর ব্যবস্থা করা হবে। মুক্তিযোদ্ধা ভবনটি নির্মিত হলে সর্বাগ্রে বীর মুক্তিযোদ্ধারা তাদের কার্যালয় পাবে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন আবুল কাশেম চিশতী, সাধন চন্দ্র বিশ্বাস, খোরশেদ আলম, সাংবাদিক মঞ্জুরুল আলম মঞ্জু, রফিকুল ইসলাম, একেএম আলাউদ্দিন, বোরহান উদ্দিন, কাজী নুরুল আবছার, শফর আলী, প্যানেল মেয়র মো. গিয়াস উদ্দিন, চৌধুরী হাসান মাহমুদ হাসনী, ছালামত উল্লাহ, সৌরিন্দ্র নাথ সেন, মো. কুতুব উদ্দিন, আহমদ মিয়া, মো. ইউছুফ, মো. নূর উদ্দিন, আবুল কাশেম, লেয়াকত হোসেন, মো. মাঈনুল হোসেন, প্রশান্ত কুমার সিংহ, প্রণাল চৌধুরী, সোবহান পারভেজ, সৈয়দ আবদুল গণি, মো. আবদুর রব কায়েস, মো. ফারুক, মো. আজিম, গোলাম নবী, আবদুল লতিফ, আবদুস সালাম, শামসুল হক, আবদুল বারীক, মুন্সী মিয়া, আনোয়ার হোসেন, আবদুস ছবুর, খায়রুল ইসলাম, রমজান মিয়া, মো. রফিক, জাহাঙ্গীর আলম, আনোয়ার আলী, মো. জামাল হোসেন, রফিক বিল্লাহ, নুরুল আমিন, ইয়ার মোহাম্মদ, আ জ ম সাদেক, নুর মোহাম্মদ, তপন দস্তিদার, হায়দার আলী, সাহেদ মুরাদ সাকু, কাউন্সিলর শাহীন আক্তার রোজী প্রমুখ। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।

পূর্ববর্তী নিবন্ধচট্টগ্রামে ১৯ জনের করোনা শনাক্ত
পরবর্তী নিবন্ধলোহাগাড়ায় সড়ক দুর্ঘটনার সাত দিন পর কিশোরের মৃত্যু