ছোট একটি মুদির দোকানে এক মাসের বিদ্যুৎ বিল এসেছে ৬ লাখ ৩৫ হাজার ৭৩১ টাকা। ভুতুড়ে এই বিলটি পেয়েছেন কর্ণফুলী উপজেলার মুদি দোকানি মোহাম্মদ তাহের। চলতি এপ্রিল (মার্চ–এপ্রিল) মাসের বিলে এমন বিল দেখে হতবাক তিনি। এই দোকানে ফেব্রুয়ারি মাসে বিল এসেছিল ১ হাজার ৫১ টাকা।স্থানীয়রা জানান, বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (পিডিবি) এমন ভুতুড়ে বিল নতুন নয়। তবে ছোট একটি মুদি দোকানে এত বড় অংকের বিদ্যুৎ বিল দেওয়া সংশ্লিষ্ট দপ্তরের খামখেয়ালি ছাড়া আর কিছু নয়। বিদ্যুৎ বিভাগের কতিপয় কর্মকর্তার অবহেলা ও খামখেয়ালির কারণে অনেক গ্রাহক এভাবে হয়রানির শিকার হচ্ছেন।
জানা গেছে, উপজেলার চরপাথরঘাটা ইউনিয়নের ধোপপোলের গোড়া ১ নম্বর ওয়ার্ড এলাকার আল নুর এন্টারপ্রাইজ নামে এই মুদির দোকান। দোকানে পিডিবির একটি মিটারে এলইডি লাইট ও ফ্যান চালানো হয়। তাহেরের এমন ভুতুড়ে বিলে বিদ্যুৎ ব্যবহারকারীদের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
ভুক্তভোগী গ্রাহক মোহাম্মদ তাহের বলেন, এর আগে কখনো এ ধরনের বিল আসেনি। দোকানে তেমন লাইট বা বড় ধরনের ইলেকট্রনিক্স মেশিনও নেই যে, এত টাকার বিল আসবে। কিন্তু বিদ্যুৎ বিল দেখে আমি অবাক হয়ে গেছি। কারণ বিদ্যুৎ ব্যবহার দেখানো হয়েছে ১৫–২০ ইউনিট। আগের বিলগুলো পরিশোধ করা হয়েছে। কোনো মাসের বকেয়াও নেই। পিডিবির এমন ভুতুড়ে বিলে দুশ্চিন্তায় পড়েছি আমি।
তবে এত টাকার বিল কীভাবে এল, বিষয়টি খতিয়ে দেখতে এবং এ সমস্যার সমাধানে বিল প্রস্তুতকারককে জানানো হবে বলে জানিয়েছেন পটিয়া বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগের ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী প্রকৌশলী আ.স.ম. রেজাউন নবী।