ছয় মাস আগে শুরু করা পর্যালোচনার তথ্যের ভিত্তিতে আন্তর্জাতিক ক্রেডিট রেটিং সংস্থা মুডিস বাংলাদেশের ঋণমান কমিয়ে দিয়েছে; আগের বিএ৩ থেকে কমিয়ে বি১ করা হয়েছে। গতকাল এক বিবৃতিতে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক প্রতিষ্ঠানটি এ তথ্য জানিয়ে বলেছে, বাংলাদেশের স্বল্পমেয়াদি ইস্যুয়ার রেটিংয়ের ক্ষেত্রে আগের মতো ‘নট প্রাইম’ মান বজায় রয়েছে। অপরদিকে বাংলাদেশের জন্য পূর্বাভাস স্থিতিশীল রেখেছে তারা বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে রয়টার্স। খবর বিডিনিউজের।
রেটিং সংস্থাটির মূল্যায়ন অনুযায়ী, বৈদেশিক লেনদেন ও তারল্যের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের উচ্চমাত্রার ঝুঁকি রয়েছে। এর সঙ্গে চলমান সংকটকালে প্রাতিষ্ঠানিক দুর্বলতাও দেখা গেছে। যে কারণে সার্বভৌম ঋণমানের রেটিং কমিয়ে বি১ করা হয়েছে।
এর আগে গত ১২ ডিসেম্বর দীর্ঘ মেয়াদে বাংলাদেশের ঋণমান পর্যালোচনার সিদ্ধান্তের পর সাতটি বেসরকারি ব্যাংকের দীর্ঘ মেয়াদী ঋণমান বা রেটিং পুনর্মূল্যায়ন করার ঘোষণা দিয়েছিল আন্তর্জাতিক রেটিং সংস্থা মুডিস ইনভেস্টর সার্ভিস। ওই সময় বলা হয়েছিল, দীর্ঘ মেয়াদে বাংলাদেশের সর্বভৌম রেটিং ‘বিএ৩’ থেকে পুনর্মূল্যায়ন করতে এসব ব্যাংকের রেটিং পুনর্মূল্যায়ন করা হচ্ছে। রয়টার্স লিখেছে, গতকালের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, চলমান সংকটের মধ্যে পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হলেও ডলারের চাহিদা–যোগানের ফারাক রয়েই গেছে এবং বিদেশি মুদ্রার মজুত কমে যাওয়ার বিষয়টি দেশের বৈদেশিক লেনেদেন চাপে থাকার ইঙ্গিত দিচ্ছে। এতে করে আমদানি কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে এবং জ্বালানি সরবরাহে ঘাটতি দেখা দিয়েছে। এদিকে ডলার সংকটের সময় আমদানি কমাতে সরকার কড়াকড়ির যেসব পদক্ষেপ নিয়েছিল সেগুলোর পাশাপাশি নেওয়া আরও কিছু অপ্রচলিত বিধিবিধান এখনও পুরোপুরি তুলে নেয়নি।
মুডিস বলছে, আগের মতোই একাধিক বিনিময় হার এবং বেধে দেওয়া সুদের হারের সীমা বহাল থাকায় তা সাধারণ কার্যক্রমকে বিঘ্নিত করছে।