মুজিববর্ষে কক্সবাজারের চকরিয়া ও পেকুয়ায় স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের অধীনে অসহায়, দুস্থ ও দিনমজুর শ্রেণির ২৭৮ জন শ্রমজীবী নারীর কর্মসংস্থান হয়েছে। শ্রমজীবী এসব নারীর মধ্যে ২৫০ জন আগামী পাঁচবছর পর্যন্ত ‘রুরাল এমপ্লয়মেন্ট এন্ড রোড মেনন্টেনেন্স প্রোগ্রাম’ (আরইআরএমপি–৩) প্রকল্পে এলজিইডির গ্রামীণ সড়ক রক্ষণাবেক্ষণের কাজে শ্রম দেবেন। অপরদিকে এলসিএস প্রকল্পের অধীনে আরো ২৮ জন শ্রমজীবী নারীর কর্মসংস্থান হয়েছে।
এলজিইডি চকরিয়া ও পেকুয়া কার্যালয় সংশ্লিষ্টরা জানান, আরইআরএমপি–৩ প্রকল্পের অধীনে পাঁচ বছর পর্যন্ত শ্রম দেওয়ার বিনিময়ে প্রতিজন নারী শ্রমিক দৈনিক মজুরী হিসেবে পাবেন ২৫০ টাকা। তন্মধ্যে ৮০ টাকা সঞ্চয় হিসেবে কেটে রেখে পাঁচ বছর পর একসঙ্গে সমুদয় টাকা পরিশোধ করা হবে। যাতে ভবিষ্যতে পরিবারগুলো আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী হয়ে জীবিকা নির্বাহ করতে পারে। অপরদিকে দুই উপজেলায় লেবার কনট্রাক্টিং সোসাইটি (এলসিএস) প্রকল্পের ২৮ জন নারী শ্রমিক একবছর দৈনিক মজুরী হিসেবে পাবেন ৩০০ টাকা হারে। সেই টাকা থেকে ১০০ টাকা সঞ্চয় হিসেবে কেটে রাখা হবে ভবিষ্যতে এককালীন দেওয়ার জন্য।
এদিকে ‘মুজিববর্ষের অঙ্গিকার, সড়ক হবে সংস্কার’ এই শ্লোগানে গতকাল বৃহস্পতিবার ১ অক্টোবর থেকে শুরু হয়েছে গ্রামীণ সড়ক সংস্কার মাসের কার্যক্রম। উপরোক্ত শ্রমজীবী নারী শ্রমিকদের সাথে নিয়ে উপজেলার ১৮টি ইউনিয়নে শুরু করা হয়েছে গ্রামীণ সড়ক রক্ষণাবেক্ষণ তথা সংস্কারের কাজ। একইভাবে পেকুয়াতেও শুরু হয়েছে সংস্কার কার্যক্রম।
কক্সবাজার–১ আসনের সংসদ সদস্য জাফর আলম প্রধান অতিথি হিসেবে গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলার সাহারবিল ইউনিয়নের গ্রামীণ সড়ক সংস্কারের কাজ উদ্বোধন করেন। এ ব্যাপারে চকরিয়া উপজেলা প্রকৌশলী কমল কান্তি পাল ও পেকুয়ার প্রকৌশলী মো. জাহেদুল আলম চৌধুরী দৈনিক আজাদীকে বলেন, ‘দুই উপজেলার ২৫টি ইউনিয়নের প্রতিটিতে আরইআরএমপি–৩ প্রকল্পে ১০ জন করে পাঁচ বছর পর্যন্ত এবং এলসিএস প্রকল্পে একবছর ২৮ জনসহ ২৭৮ নারী শ্রমিক কাজ করবেন গ্রামীণ সড়ক রক্ষণাবেক্ষণে। বিনিময়ে সরকার নির্ধারিত দৈনিক মজুরির টাকা প্রতিমাসে শ্রমিকদের ব্যাংক হিসাবে জমা হবে। তবে সঞ্চয় হিসেবেও কিছু টাকা গচ্ছিত থাকবে, যা প্রকল্পের মেয়াদ শেষে প্রতি নারী শ্রমিককে চেকের মাধ্যমে দেওয়া হবে। যাতে তারা আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী হতে পারে।’