হয়তো একটা বিষয় আপনিও লক্ষ্য করে থাকবেন…. আপনার আশেপাশে কিছু মানুষ আছে যারা আপনার সাথে দরদীর ভূমিকায় অভিনয় করছে। আপনি সেটা বুঝতেও পারছেন। মন খারাপ হচ্ছে আপনার? মন খারাপ করবেন না। বিষয়টা এনজয় করুন। আবার কিছু মানুষ পাবেন, যারা আপনার চারপাশে ভালো মানুষের মুখোশ পড়ে ঘুরছে। ঘুরুক। ঘুরতে দিন। তবে মুখোশের আড়ালের মানুষটাকে চিনে রাখতে ভুলবেন না কিন্তু। কিছু মানুষ আপনাকে পছন্দ করেনা। আপনি ভালো করেই জানেন সেকথা। অথচ আপনাকে দেখলে তারা রাবারের মতো গাল টেনে হাসে। আহা… কী বিগলিত হাসি! হাসিতে যদি আন্তরিকতার ছিটেফোঁটা ও থাকতো! হাসুক তারা, হাসতে দিন। আপনি শুধু নিজের মতো থাকুন। খুব মনোযোগ দিয়ে নিজের কাজটা করে যান। আর চিনে রাখুন এইসব আর্টিফিশিয়াল মানুষগুলোকে। সমাজে বাঁচতে হলে এই শ্রেণির প্রাণীগুলোর মাঝেই আমাদেরকে সার্ভাইভ করতে হবে। কিছু করার নাই।
অনেকসময় খুব কাছের মানুষকেও বড় বেশি অচেনা মনে হয়। কি করবেন… পালিয়ে যাবেন, নাকি মানুষটাকে বাদ দেবেন? হাহাহা…. কোনটাই সম্ভব নয়। কখনো কখনো বাস্তবতার কাছে আমরা বড় বেশী অসহায়। এটাই নিয়ম। এটাই জীবন। আসলে জীবনের কঠিন বাস্তবতার চাপে পড়ে একসময়ের আমাদের অনেক গুরুত্বপূর্ণ সম্পর্ক মরে যায়। চেনা মুখগুলোর অচেনা রূপ দেখতে দেখতে সম্পর্কের প্যাটার্নগুলোও চেঞ্জ হয়ে যায়। যার ফলে অনেক সময় আমরা খেই হারিয়ে ফেলি। মানসিকভাবে ভেঙে যাই।পরিচিত মুখগুলোর বদলে যাওয়া এবং মুখোশের আড়ালের মানুষটার অপরিচিত চেহারা আমরা অনেকেই মেনে নিতে পারি না। তবুও জীবন থেমে থাকেনা। জীবন তার নিয়মেই চলে। সমাজের নিয়মগুলো মেনে নিয়ে, মানিয়ে নিয়ে আমরাও আস্তে আস্তে একটা গতানুগতিক জীবনধারায় অভ্যস্ত হয়ে পড়ি। সময় এগিয়ে যায়। আমাদের চশমার লেন্স আরো ভারি হতে থাকে। মাঝেমাঝে যখন ফেলে আসা দিনগুলোর দিকে ফিরে তাকাই… একদা প্রিয় মুখগুলোর সাথে কাটানো সুন্দর সময়ের কথা ভেবে নিজের অজান্তেই চোখের কোণাটা ভিজে উঠে। তবু জীবন ও বাস্তবতা থেকে আমরা পালাতে পারি না কিছুতেই। ছোট ছোট স্বপ্ন ভঙ্গের নীরব যন্ত্রণার একটা চাপা দ্বীর্ঘশ্বাস আশেপাশের বাতাসকে ভারী করে কেবল।