বোয়ালখালী উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মো. আব্দুল মোনাফসহ আট জনের বিরুদ্ধে মোহাম্মদ ইসহাক (৭৪) নামের এক মুক্তিযোদ্ধাসহ তাঁর পরিবারের উপর হামলা করার অভিযোগ উঠেছে।
১ ফেব্রুয়ারি (বৃহষ্পতিবার) দুপুর দেড় টার দিকে পৌরসভার পশ্চিম কধুরখীল ১নং ওয়ার্ড ডেপুটি পাড়ার মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ ইসহাকের বাসভবনের ভিতর এ হামলার ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ ইসহাক বাদী হয়ে আজ (২ ফেব্রুয়ারি) শুক্রবার আব্দুল মোনাফসহ আট জনকে আসামি করে বোয়ালখালী থানায় মামলা করেন।
আসামিরা হলো, মৃত আব্দুল মান্নানের ছেলে মো. আব্দুল মোনাফ (৩৮), মৃত আহমদ ছফা’র ছেলে মিন্টু (৪০), মৃত আব্দুল মান্নানের ছেলে মো. শাহাজাহান (৪২) ও মো. ইব্রাহীম (৩৫), মো. ইদ্রিসের ছেলে মো. ইমন (২০), সাইফু (২৫), মুন্না (২৮), বিজয় (২৫) ছাড়া আরো ৪/৫ জন অজ্ঞাতনামা।
তাদের সবার বাড়ি পশ্চিম কধুরখীল ১নং ওয়ার্ড ডেপুটি পাড়া বলে জানা যায়।
এজাহার সূত্রে জানা যায়, কিছুদিন আগে মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ ইসহাকের ঘরের ছাদের রড ওয়েলডিংয়ের কাজের জন্য নয়ন নামের এক ব্যক্তির সাথে ৬ হাজার টাকায় কথাবার্তা হয়।
পরবর্তীতে নয়ন ওয়েলডিংয়ের কাজটি সম্পন্ন করার জন্য মো. শাহাজাহান নামের এক ব্যাক্তিকে দায়িত্ব দেন। কাজ শেষ হলে আলোচনার মাধ্যমে ৬ হাজার টাকার পরিবর্তে নয়নকে ৫ হাজার টাকা দেয়া হলে নয়ন নিতে চাইলেও শাহাজাহান নিতে অস্বীকৃতি জানান এবং এক পর্যায়ে মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ ইসহাকের সাথে শাহাজাহানের বাক-বিতণ্ডা হয়।
পরে দেখে নেয়ার হুমকি দিয়ে ঘর থেকে বের হয়ে যান। কিছুক্ষণ পর আবার শাহাজাহান উপজেলা ছাত্রলীদের সাবেক সভাপতি আব্দুল মোনাফ ও তাঁর অনুসারীদের নিয়ে মুক্তিযোদ্ধার বাসভবনে এসে মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের উপর অতর্কিতভাবে হামলা করতে থাকে। এতে মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ ইসহাক ও তাঁর স্ত্রী রোকেয়া খাতুন এবং পুত্রবধু জান্নাতুল ফেরদৌস আহত হয়।
পরে স্থানীয়দের সহযোগিতায় তাদেরকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদেরকে চিকিৎসা প্রদান করেন এবং চোখের নিচে মারাত্মক যখম হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ ইসহাককে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করেন। ক্ষতস্থানে চারটি সেলাই হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ ইসহাক বলেন, মো. শাহাজাহান ৫ হাজার টাকা নিতে অস্বীকৃতি জানালে বাক-বিতণ্ডা শুরু হয়। পরে উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মো. আব্দুল মোনাফসহ আরো ৮-১০জন ব্যাক্তি আমার ঘরে এসে আমি ও আমার পরিবারের উপর হামলা করে। আমাকে হত্যার উদ্দেশ্যে মোনাফ আমার গলা চেপে ধরে এবং আমাকে সে ঘুষি মারে। এতে আমি মারাত্মক আহত হই।
বোয়ালখালী থানার ওসি আসহাব উদ্দীন বলেন, মামলা রেকর্ড করা হয়েছে। আসামীদের গ্রেফতার করার চেষ্টা চলছে।