মুক্তিযোদ্ধার সন্তান পরিচয়ে চাকরি পাওয়া ৯০ হাজার সরকারি চাকরিজীবীর তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক উপদেষ্টা ফারুক–ই–আজম। গতকবাল দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এ তথ্য জানান। খবর বাংলানিউজের।
মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক উপদেষ্টা বলেন, ‘মুক্তিযোদ্ধার সন্তান পরিচয়ে চাকরি পাওয়াদের তথ্য সংগ্রহের পর তাদের মধ্যে যারা ভুয়া মুক্তিযোদ্ধার সন্তান হিসেবে চাকরি নিয়েছেন, তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
তিনি বলেন, ‘বিগত সরকারের সময় অনেকে ভুয়া মুক্তিযোদ্ধার সনদ গ্রহণ করে নানা সুবিধা নিয়েছেন। বিশেষ করে আদালতের মাধ্যমে অনেক অমুক্তিযোদ্ধাকে সনদ দেওয়া হয়েছে। জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের (জামুকা) মতো প্রতিষ্ঠান থাকা সত্ত্বেও আদালত এসব নির্দেশনা জারি করেন।’
অনুষ্ঠানে বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবদুস সালাম বলেন, ‘রাজনৈতিক কারণে মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে বিভাজন করা যাবে না। জেলে গেলেও মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য ডিভিশন ব্যবস্থা রাখতে হবে। ’
এর আগে উপদেষ্টা জানান, মন্ত্রণালয় থেকে ভাতাপ্রাপ্ত মোট বীর মুক্তিযোদ্ধার সংখ্যা ১ লাখ ৯৬ হাজার ৪৫৪ জন। এর মধ্যে বীরাঙ্গনা ৪৬৪ জন। যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা ৫ হাজার ৮৯৫ জন, শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধা ৫ হাজার ৩৩৩ জন এবং খেতাবপ্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধার সংখ্যা ৩৬৮ জন। সব মিলিয়ে মোট ভাতাপ্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধার সংখ্যা ২ লাখ ৮ হাজার ৫০ জন। তিনি বলেন, সরকারি চাকরিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় নিয়োগপ্রাপ্তদের সর্বমোট সংখ্যা ৮৯ হাজার ২৩৫ জন। আর শহীদ বুদ্ধিজীবীদের সংখ্যা ৫৬০ জন।