জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও জাতীয় চার নেতাসহ এক লাখ ৪৭ হাজার ৫৩৭ জন মুক্তিযোদ্ধার প্রথম তালিকা প্রকাশ করেছে সরকার, যাতে ১৯১ জন শহীদ বুদ্ধিজীবীর নামও রয়েছে। আছে চট্টগ্রামের ৩০ হাজার ৫৩ জন। গতকাল বৃহস্পতিবার মন্ত্রণালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক মুক্তিযোদ্ধাদের এই তালিকা প্রকাশ করেন। খবর বিডিনিউজের।
মোজাম্মেল হক বলেন, প্রথম পর্যায়ে একলাখ ৪৭ হাজার ৫৩৭ জনের তালিকা প্রকাশ করেছে সরকার। জুনের মধ্যে মুক্তিযোদ্ধাদের সম্পূর্ণ ও চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করা সম্ভব হবে। মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটেও এই তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে বলে তিনি জানান। তবে মুক্তিযোদ্ধা ভাতা পাওয়ার তালিকায় একলাখ ৮২ হাজার ৮৩৪ জনের নাম থাকার তথ্য তুলে ধরে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়কমন্ত্রী বলেন, প্রায় ৩৫ হাজার জনের বেসামরিক গেজেট জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের অনুমোদন না থাকায় তালিকার বাইরে রয়ে গেছে। ‘ইতোমধ্যে এসব গেজেট নিয়মিতকরণের লক্ষ্যে আমরা ৪৩৪ উপজেলার প্রতিবেদন পেয়েছি। সেগুলো যাচাই-বাছাই এবং আপিল শুনানি শেষে ৩০ জনের মধ্যে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের নাম চূড়ান্ত তালিকায় প্রকাশ করা হবে।’
মন্ত্রী বলেন, শহীদ বুদ্ধিজীবীদের তালিকা দেশের প্রখ্যাত গবেষকদের নিয়ে কমিটি গঠন করা হয়েছে। প্রথম ধাপে আমরা ১৯১ জন শহীদ বুদ্ধিজীবীর তালিকা প্রকাশ করছি। যাচাই-বাছাই শেষে ধাপে ধাপে আরও তালিকা প্রকাশ করা হবে। এই তালিকাও আগামী ৩০ জুনের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ করা হবে।
এক লাখ ৪৭ হাজার ৫৩৭ জনের বীর মুক্তিযোদ্ধা তালিকার মধ্যে বরিশালের ১২ হাজার ৫৬৩ জন, চট্টগ্রামের ৩০ হাজার ৫৩ জন, ঢাকার ৩৭ হাজার ৩৮৭ জন, ময়মনসিংহের ১০ হাজার ৫৮৮ জন, খুলনার ১৭ হাজার ৬৩০ জন, রাজশাহীর ১৩ হাজার ৮৮৯ জন, রংপুরের ১৫ হাজার ১৫৮ জন এবং সিলেট বিভাগের ১০ হাজার ২৬৪ জন রয়েছেন।
সংবাদ সম্মেলনে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব তপন কান্তি ঘোষ ও জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের মহাপরিচালক মো. জহুরুল ইসলাম রোহেলসহ একাধিক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।