বিএনপি আমলের প্রতিমন্ত্রী মীর মো. নাছির উদ্দিন ও তার ছেলে মীর হেলাল উদ্দিনকে হাই কোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করার অনুমতি দেয়নি আপিল বিভাগ। হাই কোর্টের রায় অনুযায়ী নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণ না করে আপিল আবেদন করায় আপিল বিভাগ তাদের আবেদন খারিজ করে দিয়েছে বলে জানিয়েছেন দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান। প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বে আপিল বিভাগের চার বিচারপতির বেঞ্চ গতকাল বৃহস্পতিবার এ আদেশ দেয়। খবর বিডিনিউজের।
আদালতে দুর্নীতি দমন কমিশনের পক্ষে ছিলেন খুরশীদ আলম খান। মীর নাছির ও তার ছেলের পক্ষে আইনজীবী ছিলেন এ জে মোহাম্মদ আলী, মাহবুবউদ্দিন খোকন ও রুহুল কুদ্দুস কাজল। খুরশীদ আলম সাংবাদিকদের বলেন, ‘এ আদেশের কারণ মীর মোহাম্মদ নাছির উদ্দিন ও তার ছেলে মীর হেলাল উদ্দিনকে নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণ করতেই হচ্ছে।’
জরুরি অবস্থার সময় অবৈধ সম্পদ অর্জন ও সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগে মীর নাছির ও তার ছেলে মীর হেলালের বিরুদ্ধে ২০০৭ সালের ৬ মার্চ গুলশান থানায় দুদক মামলা করে। এ মামলায় বিশেষ জজ আদালত একই বছরের ৪ জুলাই রায়ে মীর নাছির উদ্দিনকে ১৩ বছর এবং মীর হেলালকে তিন বছরের কারাদণ্ড দেয়। রায়ের বিরুদ্ধে তারা হাই কোর্টে আপিল করেন। হাই কোর্ট ২০১০ সালের ১০ আগস্ট মীর নাছিরের এবং একই বছরের ২ আগস্ট মীর হেলালের সাজা বাতিল করে রায় দেয়। হাই কোর্টের এ রায় বাতিল চেয়ে দুদক সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে আপিল আবেদন করে। আপিল বিভাগ ২০১৪ সালের ৩ জুলাই এক রায়ে হাই কোর্টের রায় বাতিল করে পুনরায় হাই কোর্টেই বিচার করার নির্দেশ দেয়। এ নির্দেশে পুনরায় শুনানি শেষে গত বছর ১৯ নভেম্বর রায় দেয় হাই কোর্ট। এবার রায়ে নিম্ন আদালতের দেওয়া সাজা বহাল রাখা হয়। হাই কোর্টের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশিত হয় চলতি বছরের ৬ জানুয়ারি। ১৫৯ পৃষ্ঠার এ রায়ে তাদের রায়ের অনুলিপি পাওয়ার তিন মাসের মধ্যে তাদের নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণ করতে বলা হয়। কিন্তু তারা সে কাজটি না করে হাই কোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করার অনুমতি চেয়ে আবেদন করলে সে আবেদন খারিজ করে দিল সর্বোচ্চ আদালত। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।