মীরসরাইয়ে এক যুগ আগে স্ত্রী খুনের মামলায় স্বামীর যাবজ্জীবন

আজাদী প্রতিবেদন | শুক্রবার , ২৮ জুলাই, ২০২৩ at ৫:০৯ পূর্বাহ্ণ

মীরসরাইয়ের মঘাদিয়া এলাকায় এক যুগ আগে স্ত্রী সুজাতা বালা দাসকে শ্বাসরোধ করে খুনের দায়ে তার স্বামী প্রিয় লাল দাসকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড, ৫০ হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে আরো ছয় মাসের কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। প্রিয় লাল দাস মঘাদিয়া এলাকার মৃত মনোরঞ্জন দাসের ছেলে। গতকাল চট্টগ্রামের পঞ্চম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মো. শরিফুর রহমান এই রায় ঘোষণা করেন। এ সময় দণ্ডপ্রাপ্ত প্রিয় লাল দাস কাঠগড়ায় হাজির ছিলেন না। ঘটনার পর থেকে তিনি পলাতক আছেন। এ জন্য তার বিরুদ্ধে সাজা পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।

জেলা পিপি শেখ ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী আজাদীকে এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, আনীত অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় সুজাতা বালা দাসের স্বামী প্রিয় লাল দাসকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন বিচারক। পুরো বিচার প্রক্রিয়ায় ১২ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য নেয়া হয়েছে। পারিবারিক কলহের জেরে স্ত্রী সুজাতা বালা দাসকে শ্বাসরোধে খুন করে স্বামী প্রিয় লাল দাস; উল্লেখ করে পিপি বলেন, ঘটনা ধামা চাপা দিতে খুনের ঘটনাকে আত্মহত্যা বলে প্রচারণা চালানো হয়। কিন্তু ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন প্রস্তুতকারী ডাক্তারের প্রতিবেদনে উঠে আসে, শ্বাসরোধ করেই সুজাতা বালা দাসকে খুন করা হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় আসামি প্রিয় লাল দাসের বিরুদ্ধে হত্যা মামলাটি দায়ের হয়।

আদালত সূত্র জানায়, ২০১০ সালের ৮ ডিসেম্বর গৃহবধূ সুজাতা বালা দাসের লাশ উদ্ধার হয়। এরপর তার পরিবারকে খবর দেয়া হয়। একপর্যায়ে সুজাতা বালা দাসের বাবা নিতাই চন্দ্র দাস থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করেন। কিন্তু ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনে উঠে আসে, সুজাতা বালা দাসকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় নিতাই চন্দ্র দাস মীরসরাই থানায় প্রিয় লাল দাসের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেন।

মামলার এজহারে বলা হয়, ঘটনার নয় মাস আগে দণ্ডপ্রাপ্ত প্রিয় লাল দাসের সাথে ভিকটিম সুজাতা বালা দাসের পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। এর কয়েক মাস যেতে না যেতেই সুজাতা বালা দাসের ওপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন শুরু হয়। বিষয়টি সুজাতা তার পরিবার ও আত্মীয়স্বজনকেও জানায়। এজাহারে আরো বলা হয়, ঘটনার দিন পারিবারিক কলহের জেরে সুজাতার সাথে স্বামী প্রিয় লালের কথা কাটাকাটি হয়। এক সময় উত্তেজিত হয়ে প্রিয় লাল ভিকটিম সুজাতাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেন। এরপর গামছা দিয়ে লাশ ঝুলিয়ে রাখা হয়।

আদালত সূত্র জানায়, ২০১১ সালের ১১ জুন অভিযুক্ত প্রিয় লাল দাসের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করে পুলিশ। পরবর্তীতে চার্জগঠনের মাধ্যমে তার বিরুদ্ধে বিচার শুরুর আদেশ দেন বিচারক।

পূর্ববর্তী নিবন্ধদুই দলকেই ২৩ শর্তে সমাবেশের অনুমতি
পরবর্তী নিবন্ধডেঙ্গুসহ মশাবাহিত রোগ প্রতিরোধে ৭ সিদ্ধান্ত