মীরসরাই উপজেলায় রোপা আমনের জমি তৈরি, চারা রোপণের কাজে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন এ অঞ্চলের কৃষকরা। কৃষকদের পাশাপাশি আমনের চারা উত্তোলন ও রোপণের কাজে ব্যস্ততা বেড়েছে এ এলাকার উপজাতি নারী শ্রমিকদেরও।
উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের মাঠ ঘুরে দেখা গেছে, মাঠে মাঠে শুরু হয়েছে আমনের চারা রোপণের কাজ। ইতোমধ্যেই ৪০ ভাগ জমিতে আমন রোপণের কাজ শেষ হয়েছে। আগামী ১০–১৫ দিনের মধ্যেই অবশিষ্ট জমির চারা রোপণের কাজ শেষ হবে বলে কৃষকরা আশা করছেন। এবার মৌসুমের শুরুতেই পর্যাপ্ত পরিমাণে বৃষ্টিপাত না হওয়ায় আমনের জমিতে পানি নিয়ে দুশ্চিন্তায় ছিল কৃষকরা। নলকূপের মাধ্যমে সেচ দিয়ে চারা রোপণের কাজ করতে হয়েছে। সে ক্ষেত্রে অতিরিক্ত খরচ হয়েছে বলে জানিয়েছেন কৃষকরা। তবে গত কয়েকদিনের বৃষ্টির ফলে স্বাচ্ছন্দ্যে আমনের চারা রোপণের কাজ চলবে বলে জানান কৃষকরা।
কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, এবার মীরসরাই উপজেলায় ২০ হেক্টর জমিতে রোপা আমন চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। তবে রোপা আমন চাষে এ লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে বলে আশা করা হচ্ছে। অধিক ফলনের আশায় কৃষকরা এবার স্থানীয় জাতের পাশাপাশি উচ্চ ফলনশীল ধানের চারা রোপণ করছেন। এসব জাতের মধ্যে রয়েছে স্বর্ণা–৫, গুটি স্বর্ণা, বিআর ১১, ব্রিধান ৩৩, ব্রিধান ৫১, ৫২ ও বিনা–৭সহ উফশী জাতের ধানের চারা।
উপজেলার আজমপুর গ্রামের কৃষক নুরুল ইসলাম ও আমবাড়িয়া গ্রামের কৃষক জাহাঙ্গীর ইসলাম জানান, এবার তারা অধিকাংশ জমিতেই স্বর্ণা–৫ জাতের ধান রোপণ করেছেন। স্বর্ণা –৫ জাতের ধানে রোগবালাই কম হয় এবং উচ্চ ফলনশীল বলে এই ধান বেশি লাগিয়েছেন। পাশাপাশি চিনি আতপ ধানের দাম বেশি পাওয়া যায় এবং বিভিন্ন অনুষ্ঠানে পোলাও বিরিয়ানি খুব মজাদায়কভাবে খাওয়া যায় বলে চিনি আতপ ধান চাষে অধিক আগ্রহ এ এলাকার কৃষকের।
এই বিষয়ে উপজেলা কৃষি সুপারভাইজার কাজী নুরুল আলম বলেন, উপজেলায় এবার আমনে লক্ষ্যমাত্রা ২০ হাজার হেক্টর। গত বছরের তুলনায় ১০০ হেক্টর বেশি। আশা করা যাচ্ছে সকল প্রতিকূলতা কাটিয়ে ভাল ফলন হতে পারে।