একসময় দেশের উত্তরাঞ্চল ও নদী তীরবর্তী কৃষকরাই বাদাম বেশি চাষ করতো। সময়ে বিবর্তনে এখন মীরসরাই উপজেলায় বাড়তে শুরু করেছে বাদাম চাষ। কৃষকরাও আশাবাদী নিজেদের চাহিদা মিটিয়ে লাভও পকেটে আসতে শুরু করবে।
মীরসরাই উপজেলার আমবাড়িয়া গ্রামের ২য় বার বাদাম চাষ করা কৃষক শহিদুল ইসলাম (৫০) বলেন, এবার ১০ কড়া জমিতে বাদাম চাষ করেছেন। খরচ হয়েছে ৭০০ টাকার মতো। কোনো শ্রমিক ছাড়া নিজেই পরিচর্যা করছেন ক্ষেত। সারা বছর নিজের খাবার জন্য রেখে বাকিগুলো বিক্রি করে দিবেন। আশা করছেন হাজার দশেক টাকার বাদাম বিক্রি ও করতে পারবেন। এখন মাটির নিচে বড় হয়ে পরিপূর্ণ হচ্ছে বাদামগুলো। আরো কয়েক সপ্তাহ পর বাদামগুলো তুলে নিতে পারবেন। গত বছর ও আমি একইরকম লাভ পেয়েছিলাম। হিঙ্গুলী ইউনিয়নের মেহেদীনগর গ্রামের বাদাম চাষী নজরুল ইসলাম (৪৮) বলেন, আমি এবার প্রথম চাষ করেছি। অনেকেই দেখছি বাদামে ভাল ফলন পাচ্ছে জেনেছি। এবার আমি পরীক্ষামূলকভাবে ৫ গণ্ডাতে চাষ করেছি। ভাল হলে আগামীতে ফলন বাড়াবো।
মীরসরাই উপজেলা কৃষি সুপারভাইজার কাজী নুরুল আলম জানান, নিরাপদ খাদ্য হিসেবে বাদাম কম ব্যয়ে অধিক ফসল ফলানো সম্ভব। আগামীতে কৃষকদের মাঝে বাদাম উৎপাদনে উদ্বুদ্ধ করার উদ্যোগ রয়েছে বলে জানান তিনি। এছাড়া আধুনিক এবং নিরাপদ এসব প্রযুক্তি ব্যবহারের ফলে বিগত সময়ের চেয়ে কিংবা যেসব জমিতে এই প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়নি সেসব জমির চেয়েও এবার ভালো ফলন পাওয়া গেছে।
পাশপাশি ভালো দাম পেলেই খুশি হবেন কৃষকরা। তিনি বলেন উপজেলার উপকূলীয় এলাকাসহ পাহাড় নিকটবর্তী এলাকায় উন্নত জাতের বীজ, সমন্বিত বালাই ব্যবস্থাপনা এবং আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়াতে পারলে বাদাম উৎপাদন বৃদ্ধি পাওয়ার পাশাপাশি কৃষকদের আর্থ–সামাজিক অবস্থারও পরিবর্তন ঘটানো সম্ভব। এবার মীরসরাইয়ে মাত্র ২ হেক্টর জমিতে বাদাম চাষ হলেও আগামীতে ১০ হেক্টর পর্যন্ত চাষের লক্ষ্য রয়েছে।