তালগাছ পরিবেশ ও প্রকৃতির বন্ধু। বজ্রপাত প্রতিরোধ করে মানুষকে বাঁচায়। তালের পিঠা, তালের গুড়, তালের রস মজাদার খাবার। বিশেষ করে অতীতে গ্রাম–বাংলায় তালের পিঠা ছাড়া আত্মীয়তা কল্পনা করা যেত না। এছাড়া তালগাছের পাতা দিয়ে তৈরি হয় নানা রকমের হাতপাখা। তালগাছ ক্রমশ হারিয়ে যাওয়ায় গ্রামীণ পরিবারগুলোতে নেই তালের পিঠার অস্তিত্ব।
মীরসরাই উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, কয়েকটি গ্রামে এখনো কিছু তালগাছ আছে। করেরহাট ইউনিয়নের কয়লা গ্রামে তালগাছের সারি রয়েছে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, তালগাছ প্রাকৃতিক ভারসাম্য রক্ষা ও বজ্রপাত প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। গ্রামবাংলার শোভাবর্ধনেও তালগাছের জুড়ি মেলে না। একটা সময় বিভিন্ন সড়ক ও মহাসড়কের পাশে সারি সারি তালগাছ দেখা যেত।
মীরসরাই উপজেলার ৪ নং ধূম ইউনিয়নে গ্রামীণ সড়কে গত বছর কয়েকশত তালগাছের চারা রোপণ করেছিলেন স্থানীয় চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর ভূঞা। এ বছর তিনি আরো কয়েকশ তালের চারা রোপণ করবেন বলে জানিয়েছেন।
মীরসরাই উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা প্রতাপ চন্দ্র রায় বলেন, যেভাবে তালগাছ কাটা হচ্ছে সেভাবে তালগাছ রোপণ করা হচ্ছে না। তবে গত কয়েক বছরে কিছু গ্রামে তালগাছ লাগানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এ বছরও কিছু তাল বীজ রোপণ করা হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।