মিয়ানমারে যুক্তরাজ্যের সাবেক রাষ্ট্রদূতের কারাদণ্ড

| শনিবার , ৩ সেপ্টেম্বর, ২০২২ at ১০:৫৫ পূর্বাহ্ণ

মিয়ানমারে নিযুক্ত যুক্তরাজ্যের সাবেক রাষ্ট্রদূত ভিকি বোম্যান ও তার স্বামী হতেইন লিন দু’জনকেই এক বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছে সামরিক আদালত। অভিবাসন আইন লঙ্ঘনে দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন তারা। এই দম্পতি গত সপ্তাহে মিয়ানমারের ইয়াঙ্গুন থেকে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন। বোম্যানের বিরুদ্ধে ভিসা আইন লঙ্ঘন এবং তার স্বামীর বিরুদ্ধে তাকে মিয়ানমারে থাকতে সহায়তা করার অভিযোগ আনা হয়। বোম্যান ২০০২ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত মিয়ানমারে যুক্তরাজ্যের রাষ্ট্রদূত হিসেবে কাজ করেছিলেন। আর তার স্বামী হতেইন লিন এক বার্মিজ শিল্পী এবং সাবেক রাজবন্দি। বোম্যান বর্তমানে ইয়াঙ্গুনে অবস্থিত ‘মিয়ানমার সেন্টার ফর রেসপন্সিবল বিজনেস’ (এমসিআরবি)- পরিচালনা করে আসছেন। খবর বিডিনিউজের।
যুক্তরাজ্য সম্প্রতি মিয়ানমারে সামরিক বাহিনী সংশ্লিষ্ট ব্যবসায় নতুন নিষেধাজ্ঞা আরোপের সিদ্ধান্ত জানানোর পাশাপাশি আন্তর্জাতিক ন্যায়বিচার আদালতে (আইসিসি) মিয়ানমারের বিরুদ্ধে চলা মামলায় যোগ দেওয়ার ঘোষণা দেওয়ার পরই জান্তা কর্তৃপক্ষ বোম্যানকে গ্রেপ্তার করে। মিয়ানমারের সামরিক জান্তার বিরুদ্ধে মানবাধিকার ব্যাপকভাবে লঙ্ঘনের অভিযোগ আছে। দেশের ভেতরে লড়াইয়ে অস্থির পরিস্থিতি বিরাজ করায় এ মাসের শুরুর দিকে জেনারেলরা জরুরি অবস্থার মেয়াদ ২০২৩ সাল পর্যন্ত বাড়িয়েছে। এর আগে তারা গত বছর ফেব্রুয়ারিতে গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত অং সান সুচির সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করে। সেই সময় বোম্যান মিয়ানমারেই থেকে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। সাবেক ব্রিটিশ রাষ্ট্রদূত বোম্যান এবং তার স্বামীকে এত ঘটা করে বিচার করে সাজা দেওয়া কেন? এর কারণ হতে পারে এই ব্রিটিশ নাগরিক মিয়ানমারে সামরিক অভ্যুত্থানের পরও সেখানে থাকছেন এবং মিয়ানমার জান্তা হয়ত তাকে ব্রিটিশ সরকারকে পাল্টা জবাব দেওয়ার জন্য মোক্ষম এক নিশানা হিসাবেই দেখেছে। মিয়ানমারে সামরিক শাসনের বিরুদ্ধে যুক্তরাজ্য কঠোর অবস্থান নিয়েছে এবং বর্তমান ব্রিটিশ রাষ্ট্রদূত দেশটি থেকে বহিষ্কারও হয়েছেন।

পূর্ববর্তী নিবন্ধপানিতে ভাসল ভারতে তৈরি প্রথম বিমানবাহী রণতরী
পরবর্তী নিবন্ধআফগানিস্তানে মসজিদে বিস্ফোরণ ধর্মীয় নেতাসহ নিহত অন্তত ১৫