কক্সবাজারের রামু থেকে মিয়ানমারে পাচারকালে পাঁচ শতাধিক লিটার অকটেন উদ্ধার করা হয়েছে। এসময় ২ জন পাচারকারীকে আটক করা হয়েছে।
১৩ ফেব্রুয়ারি ৫ টার দিকে খুনিয়াপালং পেঁচারদ্বীপ মাংলাপাড়া রেজু খালে এই অভিযান চালায় র্যাব।
র্যাব-১৫ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক (ল’ এণ্ড মিডিয়া) মো. আবু সালাম চৌধুরী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
র্যাব জানায়, পেঁচারদ্বীপ মাংলাপাড়া রেজুর খাল থেকে আনুমানিক ২০০ গজ উত্তর দিকে বেড়িবাঁধ সংলগ্ন এলাকায় কতিপয় চোরাকারবারি অবৈধভাবে মিয়ানমারে দেশে নৌকা যোগে অকটেন পাচার করার জন্য অবস্থান করছে। এই খবর পেয়ে র্যাব-১৫, সিপিএসসি ক্যাম্পের চৌকস আভিযানিক দল বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে।
এ সময় র্যাবের আভিযানিক দল বেড়িবাঁধ সংলগ্ন কাঁচা রাস্তার উপর পৌঁছালে র্যাবের উপস্থিতি বুঝতে পেরে কৌশলে পলায়নের চেষ্টাকালে দুইজন পাচারকারীকে গ্রেফতার করা হয় এবং কৌশলে তিনজন ব্যক্তি দ্রুত পালিয়ে যায়।
পরে তাদের হেফাজতে থাকা ১টি ১৫০ সিসি Suzuki gixxer মোটর সাইকেলসহ (যাহার রেজিঃ নং-কক্সবাজার-ল-১২-০০৮৫) সর্বমোট ৫০০ (পাঁচশত) লিটার অকটেন উদ্ধার করা হয়।
আটকরা হলেন- পেঁচারদ্বীপ মাংলা পাড়ার আবদুস সোবহানের পুত্র নুরুল হক (৩০) ও একই এলাকার আবুল হোসেনের পুত্র রহমত আলী (৩৫)।
জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, আটক এবং পলাতক পাচারকারীরা পরস্পর-পরস্পরের সহযোগীতায় দেশের বিভিন্ন পেট্রোল পাম্প থেকে পাইকারি দামে জ্বালানী তৈল অকটেন ক্রয় করেছিল। পরবর্তীতে তারা ক্রয়কৃত অকটেন উচ্চ দামে বিক্রয়ের লক্ষ্যে কক্সবাজার জেলার রামু থানাধীন দুর্গম পেঁচার দ্বীপ এলাকার সমুদ্র উপকূল ব্যবহার করে পার্শ্ববর্তী দেশে পাচার জন্য বেড়িবাঁধ সংলগ্ন এলাকায় নিয়ে আসছিল মর্মে স্বীকার করে।
গ্রেফতারকৃত ও পলাতক পাচারকারীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।