যুদ্ধের মধ্যে মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা দেশটির সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিপির সদস্যদের আগের প্রক্রিয়ায় ফেরত পাঠাতে কাজ চলছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ। গতকাল মঙ্গলবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নে তিনি বলেন, ১৭৭ জন সীমান্তরক্ষী বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। সাথে কয়েকজন বেসামরিক লোকও প্রবেশ করেছিল। তাদেরকে পুশব্যাক করা হয়েছে। ইতোপূর্বে সেনা সদস্য ও তাদের পরিবারের সদস্য এসেছিল। মিয়ানমার সরকারের সাথে আলাপ–আলোচনার মাধ্যমে আমরা তাদেরকে ফেরত পাঠিয়েছি। এবারও মিয়ানমারের সরকারের সঙ্গে আলাপ–আলোচনার প্রেক্ষিতে তাদেরকে ফেরত পাঠানোর কাজ চলছে। খবর বিডিনিউজের।
এর আগে ১৫ ফেব্রুয়ারি রাখাইন রাজ্যে যুদ্ধের মধ্যে পালিয়ে আসা মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী ও সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যসহ ৩৩০ জনকে দেশটিতে ফেরত পাঠিয়েছিল সরকার। তাদের মধ্যে মিয়ানমারের বর্ডার গার্ড পুলিশ–বিজিপি ৩০২ জন, তাদের পরিবারের চার সদস্য, দুজন সেনা সদস্য, ১৮ জন ইমিগ্রেশন সদস্য এবং চারজন বেসামরিক নাগরিক ছিলেন। এ দফায় এক দিনে মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষা বাহিনী–বিজিপির আরও ১৭৯ সদস্য আসার খবর সোমবার জানায় বিজিবি। মিয়ানমারে সংঘাতের কারণে বাংলাদেশে সমস্যা হওয়ার কথা তুলে ধরে হাছান বলেন, মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ বিষয় অস্থির। বিশেষ করে সীমান্তবর্তী এলাকায়। এজন্য এ ধরনের সমস্যা বা এ ধরনের পরিস্থিতি বারবার তৈরি হচ্ছে।
ঢাকায় মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূতকে তলবের বিষয়ে এক প্রশ্নে তিনি বলেন, মিয়ানমারের সঙ্গে এ বিষয়ে আমাদের যোগাযোগ আছে। আমরা তাদের সাথে যোগাযোগ করছি। অবশ্য যদি প্রয়োজন হয় মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূতকে ডাকা হবে। এখনো ডাকা হয়নি।