পুরাতন পাওয়ার লুম ঘোষণায় বিপুল পরিমাণ উচ্চ শুল্কের এবং আমদানি নিষিদ্ধ পণ্য নিয়ে আসে নারায়ণগঞ্জের আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান মেসার্স সোহেল টেক্সটাইল। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) রেয়াতি সুবিধার আওতায় দক্ষিণ কোরিয়া থেকে ঘোষণা বহির্ভূত এসব পণ্য আমদানি করা হয় বলে জানিয়েছেন কাস্টমসের অডিট ইনভেস্টিগেশন অ্যান্ড রিসার্চ (এআইআর) শাখার কর্মকর্তারা। তবে কাস্টমস কর্তারা শুল্কের পরিমাণ জানাতে পারেননি।
জানা গেছে, মেসার্স সোহেল টেক্সটাইল দক্ষিণ কোরিয়া থেকে রেয়াতি সুবিধার আওতায় আমদানি করা ৬৯ হাজার ৫৬৯ কেজি সেকেন্ড হ্যান্ড ক্যাপিটাল মেশিনারি খালাসের জন্য গত ১৭ জানুয়ারি কাস্টম হাউসে বিল অব এন্ট্রি দাখিল করে, যার নম্বর-১০২২১৫। চালানটি খালাসের দায়িত্বে নিয়োজিত সিঅ্যান্ডএফ প্রতিনিধি ছিল মল্লিকা ট্রেডার্স। জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থার তথ্যের ভিত্তিতে এবং উপস্থিতিতে কন্টেনারসমূহ জব্দ করে কাস্টম হাউস চট্টগ্রামের অডিট, ইনভেস্টিগেশন অ্যান্ড রিসার্চ (এআইআর) টিম। পরে বিভিন্ন সংস্থার উপস্থিতিতে পরীক্ষায় চালানটিতে পুরাতন আমদানি নিষিদ্ধ প্রায় ৩০ হাজার ৮৫০ কেজি সার্কিট ব্রেকার ও উচ্চ শুল্কের বিভিন্ন প্রকার কসমেটিক সাবান, শ্যাম্পু, বডি লোশন, ফেস ক্রিম, শাওয়ার জেল, পর্দার কাপড় ইত্যাদি পাওয়া যায়।
চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের এআইআর শাখার সহকারী কমিশনার মো. রেজাউল করিম বলেন, পুরাতন সার্কিটটা ছিল আমদানি নিষিদ্ধ পণ্য। এছাড়া বাকি পণ্যগুলোর শুল্ককর নির্ণয়ের কাজ চলমান রয়েছে। মিথ্যা ঘোষণা দিয়ে উচ্চ শুল্কের পণ্য আমদানি করায় কাস্টম আইন ও বিধি মোতাবেক প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে প্রযোজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের কার্যক্রম চলমান আছে।