মা হচ্ছেন একজন পূর্ণাঙ্গ নারী, যিনি গর্ভধারণ, সন্তানের জন্ম তথা সন্তানকে বড় করে তোলেন, আবার তিনিই অভিভাবকের ভূমিকা পালনে সক্ষম ও মা হিসেবে সর্বত্র পরিচিত। তাই মা যে কত বড় অমূল্য সম্পদ, তা না জানার কারণেই যতসব ভ্রান্তি আর ভুলে ভরা আমাদের এই জগৎ সংসার। অজ্ঞতার অন্ধকারে নিমজ্জিত থেকে আমরা অনেকেই বৃদ্ধ মায়ের প্রতি অন্যায় আচরণ করে থাকি। সব মা চান সন্তানের মঙ্গল। এখানে সন্তানের খাবার, ঘুম, জ্বর–সর্দি নিয়েই মায়ের যতো ভাবনা। কিন্তু সেই সন্তান যখন বড় হতে থাকে, তখন ভাবনা–চিন্তার ডালপালা অনেকখানি বড় হয়ে যায়। সে স্কুলে কাদের সঙ্গে মিশছে? বন্ধুরা কেমন? সে আবার নেশার খপ্পরে পড়ছে কি না?
বন্ধুদের সঙ্গে তাকে ঘুরতে যেতে দেওয়া ঠিক কি না, এমনি নানান জিজ্ঞাসা মায়ের মনে উঁকি দেয়। এভাবে সন্তানের জন্মলাভ করার পর মানবসন্তানকে মানুষ হিসেবে গড়ে তোলার জন্য মা যে কতো কষ্ট ও ত্যাগ স্বীকার করেন, পৃথিবীর কোনো কিছু দিয়ে তার পরিমাপ করা যায় না। প্রতি মুহূর্তে সন্তানের পরিচর্যায় মা–কে গলদঘর্ম হতে হয়। সন্তানের অসুস্থতায় মায়ের নির্ঘুম রাত কাটে। এত কষ্টের পরও মায়ের সঙ্গে সন্তানের থাকে স্বর্গীয় একটি সম্পর্ক।
যেখানে মা নিজের সুখ–শান্তি, আরাম–আয়েশ বিসর্জন দিয়ে সন্তানের যত্নে নিজেকে নিয়োজিত রাখেন। মায়ের স্নেহ–মায়া–মমতা–ভালোবাসার কোনো তুলনা হয় না। সন্তানের কল্যাণে একমাত্র মা–ই নিজের জীবন বলিদানে প্রস্তুত থাকেন। তাই মায়ের শ্রেষ্ঠত্ব অমর, অক্ষয়।