মা-বাবার কবর জেয়ারত করে প্রচারণা শুরু করলেন রেজাউল

আজাদী প্রতিবেদন | শনিবার , ৯ জানুয়ারি, ২০২১ at ৫:০২ পূর্বাহ্ণ

চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থী এম রেজাউল করিম চৌধুরী নগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী ও সাবেক মেয়র নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দিনকে সাথে নিয়ে আনুষ্ঠানিক প্রচারণা শুরু করেছেন। গতকাল শুক্রবার নগরীর বহদ্দারহাটে বহদ্দার বাড়ি জামে মসজিদে জুমার নামাজ শেষে পারিবারিক কবরস্থানে বাবা-মা ও পূর্বপুরুষদের কবর জেয়ারতের পর আনুষ্ঠানিকভাবে প্রচারণা শুরু করেন তিনি।
স্মার্ট চট্টগ্রাম সিটি উপহার দেওয়ার অঙ্গীকার করে প্রচারণার শুরুতে আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র পদপ্রার্থী এম রেজাউল করিম চৌধুরী বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অবদানে চট্টগ্রামে এখন উন্নয়নের মহাসড়কে অবস্থান করছে। চট্টগ্রামের উন্নয়নের এ অগ্রযাত্রাকে অধিকতর মসৃণ ও গতিশীল করতে আমি আমার দলীয় প্রতীক নৌকায় আপনাদের ভোট প্রত্যাশা করছি।
এসময় সংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে মেয়র প্রার্থী এম রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, পাহাড়, সমতল, সাগর, নদীর অপূর্ব সমাহারে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও অর্থনীতির অপার সম্ভাবনাকে জাতির জনক ও তার কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যথাযথ মূল্যায়ন করেছেন। আর কেউ সেভাবে চট্টগ্রাকে মূল্যায়ন করতে পারেনি। চট্টগ্রামকে তারা অবহেলাও করেছে।
প্রথম দিনে তিনি দলীয় নেতাকর্মীদের নিয়ে ১ নম্বর দক্ষিণ পাহাড়তলী ওয়ার্ড, ২ নম্বর জালালাবাদ ওয়ার্ড ও ৩ নম্বর পাঁচলাইশ ওয়ার্ডে গণসংযোগ করেন। এদিকে প্রচারণা শুরুর আগে নির্বাচনের মাঠে সুষ্ঠু পরিবেশ শেষ পর্যন্ত থাকবে কিনা সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, অবশ্যই সুষ্ঠু পরিবেশ থাকবে। আমরা সব সময় আশা করি সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় থাকুক-নির্বাচনী পরিবেশ উৎসবমুখর হোক। আমরা তো কাউকে বাধা দিচ্ছি না। এ পর্যন্ত কাউকে বাধা দিইও নাই, দেবও না। ইভিএমে ভোট হবে। মানুষ তার গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগ করবে।
নিজেদের মধ্যে ঐক্য আছে কিনা সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, আমাদের মধ্যে ঐক্য আছে। যারা অনৈক্যের কথা বলছেন তারা বিভ্রান্তি সৃষ্টি করছেন। তিনি বলেন, ‘আপনারা দেখতে পাচ্ছেন আমার ডানপাশে নগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব ও বামপাশে সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন আছেন।’ নগর আওয়ামী লীগ সাংগঠনিক সম্পাদক নোমান আল মাহমুদ, শফিকুল ইসলাম ফারুক, অ্যাডভোকেট শেখ ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী, মহানগর যুবলীগের যুগ্মআহ্বায়ক ফরিদ মাহমুদের নাম উল্লেখ করে তিনি বলেন- আমাদের মধ্যে ঐক্য না থাকলে আমার বাসায় প্রচারণায় সবাই মিলিত হতো না। আমরা ঐক্যবদ্ধ।
এসময় ঐক্যর কথা উল্লেখ করে সাবেক মেয়র তুলে আ জ ম নাছির উদ্দিন বলেন, নগর আওয়ামী লীগ এক এবং অভিন্ন উদ্দেশ্য নিয়ে কাজ করছে। আমরা আমাদের সাংগঠনিক কাজগুলো সম্পন্ন করেছি।
নির্বাচনের শেষ পর্যন্ত এই ঐক্য থাকবে কিনা?- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের উত্তরে আ জ ম নাছির উদ্দিন বলেন, শুধুমাত্র নির্বাচন নয়। যতদিন মহানগর আওয়ামী লীগ থাকবে ততদিন আমাদের এই ঐক্য থাকবে।
প্রচারণায় নেমে রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, করোনাকালে মানুষ যখন অসহায় ছিলো, হতাশায় ছিল তখন আমি তাদের পাশে দাঁড়িয়েছি। আমি মনে করি যখন মানুষ বিপদগ্রস্থ হয় তখন যাকে পাশে পাই তাকে হৃদয়ে স্থান দিই। আমাকেও হৃদয়ে স্থান দিয়েছে। তাই আজকে আমরা নির্বাচনী প্রচারণা নেমে পড়তেই মানুষ ভালোভাবেই সাড়া দিচ্ছে। আল্লাহর রহমতে মানুষ আমাকে ভালোভাবেই গ্রহণ করেছে। মানুষের মাঝে বেশ উদ্দীপন-উৎসাহ দেখা দিচ্ছে।
তিনি বিএনপিকে ইঙ্গিত করে বলেন, অনেকেই অনেক কথা বলছে। আমরা শুনছি। কিন্তু বিষয়টা হচ্ছে, একটা রাজনৈতিক দল আছে। যারা সরকারের ভালো দিকগুলো দেখে না। পদ্মা সেতু হয়েছে, এখানে টানেল (কর্ণফুলী টানেল) হচ্ছে সেগুলোর কথা কিছু বলছে না। ওরা শুধু নালিশ, অভিযোগ আর বায়বীয় কতগুলো কথা বলে মানুষকে বিভ্রান্ত করছে। এরা এখন ডুবন্ত তরী।

পূর্ববর্তী নিবন্ধনান্দনিক শহর গড়ার স্বপ্ন রেজাউলের
পরবর্তী নিবন্ধমামলা জটে আটকে আছে দুই হাজার কোটি টাকার রাজস্ব