মাহে রমজানের সওগাত

মুহম্মদ মাসুম চৌধুরী | বুধবার , ২০ মার্চ, ২০২৪ at ৪:৪২ পূর্বাহ্ণ

আল্লাহ রাব্বুল আলামীন ইসলাম ধর্মে মানুষের ওপর এমন কোনো হুকুম আহকাম চাপিয়ে দেন নি যা মানুষের পক্ষে পালন করা সম্ভব নয়। ইসলামের অন্যতম ফরজ মাহে রমজানের রোজার ক্ষেত্রেও ইসলাম উদারতা দেখিয়েছেন। তাই রমজান মাসে শর্ত সাপেক্ষে কিছু লোকের রোজা না রাখার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। যদি অসুস্থতার দরুন রোজা রাখার শক্তি না থাকে, তাহলে রমজান মাস রোজা না রাখলে চলবে, পরে সুস্থাবস্থায় কাযা করবে। যদি রোজা রাখার কারণে রোজা বৃদ্ধি পাওয়ার আশংকা থাকে, তাহলে রোজা পালন না করার অনুমতি রয়েছে। পরে কাযা করবে। গর্ভবতী মহিলার সন্তানের অথবা নিজের জীবনের আশংকা দেখা দিলে তার সিয়াম পালন না করার অনুমতি রয়েছে। পরে কাযা করবে। নিজের বা অন্যের সন্তানকে দুগ্ধ দান করার দরুণ শরীরের ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিলে রোজা না রেখে সুস্থাবস্থায় কাযা করবে। সিয়াম পালনকারীর

বাসস্থান হতে এক ক্রোশ (৭৭./৪ কিলােমিটার অথবা ৪৮ মাইল) বা ততোধিক দূরত্ব ভ্রমণ করলে মুসাফির হবে। মুসাফিরের জন্য রোজা না রাখার অনুমতি রয়েছে। ইচ্ছা করলে রোজা রাখতেও পারবে। না রাখলে পরে কাযা করবে। যদি কোনো মুসাফির দ্বিপ্রহরের পূর্বে নিজের বাসস্থানে পৌঁছে যায় এবং তখন পর্যন্ত যদি সে কিছু না খায় তাহলে তার সিয়াম পূর্ণ করা ওয়াজিব হবে। কেননা তার সফরের ওজর অবশিষ্ট নেই। যদি কোনো ব্যক্তি রেল, বাস, বিমান বা অন্য কোনো দ্রুতগামী যানে সামান্য সময়ে ৪৮ মাইল (৭৭./৪ কিলোমিটার) দূরত্ব অতিক্রম করে তার উপরও মুসাফিরের হুকুম বহাল থাকবে। অর্থাৎ কসরের সুযোগ ভাগ করবে। হঠাৎ পেটে ব্যথার কারণে অস্থির হয়ে পড়লে রোজা না রাখার অনুমতি রয়েছে। মেয়ে লোকের হায়েজ নেফাছ হলে এবং কাউকে সাপে কাটলে রমজান মাসে রোজা না রাখার অনুমতি আছে। অবশ্যই পরে

কাযা করতে হবে। যাদের পক্ষে সিয়াম পালন না করার অনুমতি আছে, তারা নির্দ্বিধায় জনসম্মুখে খাওয়া দাওয়া করা মোটেই উচিত নয়। রমজানের রোজাকে ইজ্জত করা প্রয়োজন।

পূর্ববর্তী নিবন্ধপ্রশাসনিক কাজে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করবো
পরবর্তী নিবন্ধকাউন্সিলর টিনু কারাগারে