আনজুমান–এ রহমানিয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া ট্রাস্টের আয়োজনে এবং গাউসিয়া কমিটির সহযোগিতায় গতকাল শনিবার নগরীর জমিয়তুল ফালাহ্ জাতীয় মসজিদ ময়দান থেকে মাহে রমজানকে স্বাগত জানিয়ে বিশাল স্বাগত র্যালি বের করা হয়। আনজুমান ট্রাস্টের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মনজুর আলমের নেতৃত্বে বের হওয়া স্বাগত র্যালিটি আলমাস মোড়, কাজীর দেউড়ি মোড হয়ে সরাসরি জামাল খান চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাব চত্বরে সংক্ষিপ্ত সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে বক্তব্য দেন, আনজুমান ট্রাস্টের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মনজুর আলম ও সেক্রেটারি জেনারেল মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন। এতে অংশ নেন, আনজুমান ট্রাস্টের এডিশনাল সেক্রেটারি জেনারেল মোহাম্মদ সামশুদ্দিন, জয়েন্ট সেক্রেটারী জেনারেল মোহাম্মদ সিরাজুল হক, অ্যাসিসটেন্ট সেক্রেটারি জেনারেল এস এম গিয়াস উদ্দিন শাকের, ফাইন্যান্স সেক্রেটারি মোহাম্মদ কমর উদ্দিন সবুর, প্রেস অ্যান্ড পাবলিকেশন সেক্রেটারি মুহাম্মদ গোলাম মহিউদ্দিন, নবগঠিত আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ওয়াহিদ মালেক, আসফাক আহমেদ, মোহাম্মদ হোসেন খোকন, মাহমুদ নেওয়াজ, মোহাম্মদ ইলিয়াছ ও আনোয়ার সাদাত। র্যালিতে সর্বস্তরের মুসলিম উম্মাহ, আনজুমান ট্রাস্টের সদস্যবৃন্দ চট্টগ্রাম মহানগর নবগঠিত আহ্বায়ক কমিটির সদস্যবৃন্দ, এর আওতাধীন থানা ওয়ার্ড, ইউনিট এবং উত্তর ও দক্ষিণ জেলার আওতাধীন উপজেলা, ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড পর্যায়ের সদস্যবৃন্দ ও পীরভাইয়েরা অংশগ্রহণ করেন।
আনজুমান ট্রাস্টের মুখপাত্র অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ মোছাহেব উদ্দিন বখতিয়ারের সঞ্চালনায় সভায় বক্তারা মাহে রমজানের পবিত্রতা বজায় রাখতে সকলের প্রতি অনুরোধ জানিয়ে বলেন, রমজান খোদা ভীতি অর্জনের মাস। আর এই উদ্দেশ্য হাসিল করতে হলে রোযার তাৎপর্য অনুধাবন করতে হবে। রোজা মানে আল্লাহর নাফরমানি থেকে বিরত থাকা। রোযার উদ্দেশ্য হলো বান্দার কুপ্রবৃত্তিকে দাফন করে দেয়া। সুতরাং, কেউ শুধু উপবাস ব্রত পালন করলেই রোযা হয়ে যায় না, অবশ্যই তাকে অন্যায়, পাপ কাজ, জুলুম, পরনিন্দা, অশ্লীলতা ইত্যাদি বর্জন করতে হবে। অধিক মুনাফার জন্য গুদামজাতকারী এবং খাদ্যে ভেজালদানকারীরা আল্লাহর শক্র, তাঁর বান্দার শক্র এবং দেশ ও জাতির শত্রু। তাদের কার্যকলাপ তাকওয়ার পরিপন্থী বিধায় রোজার উদ্দেশ্যের সাথে সাংঘর্ষিক। সামাজিক সাম্য ফিরিয়ে আনতে বিত্তবানদের সঠিক হিসাব ও পরিকল্পিতভাবে যাকাত–ফিতরা দিয়ে গরীব মিসকিনদের পাশে দাঁড়াতে আহ্বান জানান। তাঁরা বলেন, এই মাস কোরআন নাজিলের মাস। ঘরে ঘরে এর চর্চা বৃদ্ধি করতে হবে এবং এর অপব্যাখ্যা রোধ করতে হবে। মসজিদে মসজিদে দাওয়াতে খায়র মজলিসের মাধ্যমে শরিয়তের প্রয়োজনীয় শিক্ষা ও অনুশীলন বৃদ্ধি করতে হবে। রমজানে যানজটের কারণে রোজাদারদের চরম ভোগান্তি পোহাতে হয়, নিত্যপণ্যের দামের উর্ধ্বগতিতে সাধারণ মানুষের নাভিশ্বাস উঠেছে। এ অবস্থা নিরসনে প্রশাসনকে কার্যকর উদ্যোগ নেয়ার আহবান জানান।
উল্লেখ্য, মাহে রমজানের র্যালিটি জমিয়তুল ফালাহ্ মসজিদ চত্বর থেকে শুরু হয়ে জামাল খান প্রেস ক্লাব চত্বরে সমাপনী বক্তব্য শেষে মোনাজাতের মাধমে র্যালি শেষ হয়। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।