ঘনিয়ে আসছে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা। পূজার আনন্দকে আরো রঙিন করে তুলতে সব বয়সী মানুষের চাই নতুন জামা। বিশেষ করে যেকোনো উৎসবে শাড়ি–পাঞ্জাবির সবচেয়ে বেশি চাহিদা থাকে। স্বভাবত তাই পূজার মার্কেটে শাড়ি–পাঞ্জাবি বেশি বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া তরুণীদের ফ্রক, থ্রি–পিচ ও গাউন জাতীয় পোশাকও বিক্রি হচ্ছে বেশ ভালো।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, দুর্গাপূজার কেনাকাটা করতে সনাতন ধর্মের লোকজন আসছে। বেচাবিক্রিও ভালো হচ্ছে।
গতকাল নগরীর টেরিবাজার, রিয়াজুদ্দিন বাজার, নিউ মার্কেট, জহুর হকার্স মার্কেট, তামাকুমন্ডি লেইন, ভিআইপি টাওয়ার, আমিন সেন্টার, ইউনেস্কো সেন্টার, সেন্ট্রাল প্লাজা, আফমি প্লাজা ও শপিং কমপ্লেক্সে ঘুরে দেখা গেছে, দোকানগুলোতে বিক্রেতারা থরে থরে কাপড় সাজিয়েছেন। বিক্রিও করছেন। অনেক বিক্রেতা ক্রেতাদের পছন্দের জামা দেখাচ্ছেন। ক্রেতারা কালার ডিজাইন পছন্দ হলেই কাপড় কিনে হাসিমুখে বাড়ি ফিরছেন। টেরিবাজারের একটি সুপারমলের বিক্রেতা মো. ইকবাল হোসেন বলেন, এ পর্যন্ত শাড়ি পাঞ্জাবিই সবচেয়ে বেশি বিক্রি হয়েছে। এখন যেহেতু গরমের দিন, তাই সুতির জামা সবচেয়ে বেশি চলছে। এছাড়া কিছু ক্রেতা সিল্কের পাঞ্জাবি ও কাথান শাড়িও কিনছেন।
টেরিবাজারে আসা ক্রেতা চৈতি দাশ বলেন, নতুন জামা ছাড়া পূজার কথা কল্পনা করতে পারি না। অন্য সময়ের কেনাকাটার তুলনায় পূজার কেনাকাটায় অন্য রকম একটা আমেজ থাকে। পূজায় নিজের জন্য কেনার চেয়ে ছোটদের জামা কিনে দিয়ে বেশি আনন্দ পাওয়া যায়। কারণ ছোটরা নতুন জামা পেয়ে খুবই উচ্ছ্বসিত হয়। এটি দেখতে খুব ভালো লাগে। আজকে (গতকাল) আমি নিজের জন্য শাড়ি নিলাম এবং ছোট বোনের জন্য ফ্রক কিনেছি। আরো কিছু টুকিটাকি কেনাকাটা বাকি আছে।
জহুর হকার্স মার্কেট ব্যবসায়ী সমিতির সাবেক যুগ্ম সদস্য সচিব ফজলুল আমিন বলেন, পূজা উপলক্ষে মার্কেটে আগের তুলনায় ভিড় বেড়েছে। ব্যবসায়ীরা নিত্য নতুন ফ্যাশন ডিজাইনের জামা কাপড় নিয়ে এসেছেন।
জহুর হকার্স মার্কেটে আসা ক্রেতা অনিল চন্দ্র রায় বলেন, পূজা উপলক্ষে কিছু কেনাকাটা করতে এসেছি। এখন পর্যন্ত নিজের জন্য একটি পাঞ্জাবি এবং মায়ের জন্য একটি শাড়ি কিনেছি। তবে পূজাকে কেন্দ্র করে বিক্রেতারা জামা কাপড়ের দাম বেশি হাঁকছেন।