অভিজ্ঞমহল সম্যক অবগত আছেন, বাংলাদেশ ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক উন্নয়ন নতুন মাত্রিকতায় উদ্ভাসিত। ইতিমধ্যেই বৈশ্বিক রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে বেশ কিছু রদবদল পরিলক্ষিত। অতিসম্প্রতি রাশিয়ার সাথে উত্তর কোরিয়া–ভিয়েতনামসহ কিছু রাষ্ট্রের আকস্মিক মেলবন্ধন ব্যাপক কৌতুহল তৈরি করেছে। একদিকে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের বার্তা নানাভাবে প্রচার পাচ্ছে। অন্যদিকে বিভিন্ন জোট গঠনের মাধ্যমে শক্তিমত্তার বলয় ভারির কৌশল অনুভূত। চীন রাশিয়ার মৈত্রী বিশ্বজুড়ে কর্তৃত্ববাদী রাজনীতির ভারসাম্য রক্ষায় সহায়ক। একক ক্ষমতাধর রাষ্ট্র মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র নানাভাবেই চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন। অভ্যন্তরীণ বিক্ষোভ–বিদ্রোহ ইসরায়েলের পক্ষে অবস্থানকে নাজুক করে তুলছে। ইতিমধ্যে বেশ কয়েকটি দেশ ফিলিস্তিনকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের আগামী জাতীয় নির্বাচন ঘিরে বিভিন্ন দল–উপদল–সমর্থকগোষ্ঠীর কার্যক্রমও দৃশ্যমান। বাইডেন সরকারের ভুলনীতির কারণে অনেকক্ষেত্রে নানামুখী প্রেক্ষাপটে মার্কিন প্রভাব বলয় অনেকাংশে নড়বড়ে। পরিস্থিতি সামলাতে মার্কিন প্রশাসনে সাম্প্রতিক দায়িত্বে থাকা গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের পদত্যাগ–অপসারণ–বদলী ইত্যাদি নতুন উদ্যোগ লক্ষ্য করা যাচ্ছে। মার্চ মাসে ইউক্রেন সম্পর্কিত আমেরিকান নীতির প্রতিবাদে রাজনীতি বিষয়ক মার্কিন আন্ডার সেক্রেটারি ভিক্টোরিয়া নুল্যান্ড অপ্রত্যাশিতভাবে পদত্যাগ করেন। এছাড়াও ইসরায়েলের প্রতি মার্কিন নীতির প্রতিবাদে পদত্যাগ করেন পররাষ্ট্র দপ্তরের সাবেক আরব ভাষার মুখপাত্র হালা হারাবিট।
ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাসের পদত্যাগ যুক্তরাষ্ট্রের নীতি পরিবর্তনের বার্তাবহন করছে। দেশের বিগত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে পিটার হাসের অতিরিক্ত দৌড়ঝাঁপ সচেতন মহলসহ অনেকেরই কাছে দৃষ্টিকটু মনে হয়েছে। পররাষ্ট্রনীতি–কূটনৈতিক শিষ্টাচার অবজ্ঞা করে বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে তার নাক গলানো সর্বত্রই নিন্দিত। মানবাধিকার সুরক্ষার অজুহাতে দেশপ্রেমিক সেনা বাহিনী, র্যাবসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ওপর নিষেধাজ্ঞা গ্রহণযোগ্যতা পাইনি। জাতিসংঘ থেকে শুরু করে প্রায় প্রত্যেক আন্তর্জাতিক সংস্থায় বাংলাদেশ বিরোধী লবিং–তদবির ও অপপ্রচারের সাথে বিদেশী কূটনীতিকদের যোগাসাজশের গুঞ্জন রয়েছে। বিষয়সমূহ মার্কিন সরকারের উচুমার্গের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে অসংলগ্ন মনে হয়েছে বলে বিজ্ঞ মহলের ধারণা। অতিসম্প্রতি ভারতের নির্বাচন এবং শ্রী নরেন্দ্র মোদির তৃতীয় বারের মত ক্ষমতায় আরোহণ বাংলাদেশ সরকারের সাথে সম্পর্ক উন্নয়নে ব্যাপক ইতিবাচক সাড়া অনুমেয়। পারস্পরিক সৌহার্দ–সম্প্রীতিসহ নানা উন্নয়ন কর্মযজ্ঞে দুই দেশের চুক্তি স্বাক্ষর অবশ্যই প্রশংসনীয়। গঙ্গা চুক্তির নবায়ন ও তিস্তার পানি বন্টন নিয়ে ভারত সরকারের পক্ষ থেকে সহযোগিতার আশ্বাস আশাজাগানিয়া পরিবেশ তৈরি করেছে। দুই দেশের জনগণের কল্যাণে সকল বৈরিতা সংহার করে প্রতিবেশী রাষ্ট্র হিসেবে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের উন্নয়ন জোরালোভাবে উচ্চকিত।
ভূ–রাজনৈতিক বিশ্লেষণে এটি সুস্পষ্ট যে, বাংলাদেশের আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ভূমিকা পালন অতি তাৎপর্যপূর্ণ। প্রাসঙ্গিকতায় মার্কিন প্রশাসনের নবতর উপলব্ধি বাংলাদেশ সরকার ও জনগণকে অনুপ্রাণিত করছে। মে মাসে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দফতরের সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু বাংলাদেশ সফরে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কোন্নয়নের ইঙ্গিত ছিল অপরিমেয়। তার সফরে ঢাকা–ওয়াশিংটন সম্পর্ক এক নতুন মোড় নিয়েছে। তার বক্তব্যেই এর স্পষ্ট আভাস পাওয়া গেছে। দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের পূর্বে নির্বাচনসহ গণতন্ত্র ও মানবাধিকার ইস্যুতে বাংলাদেশের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের চাপ–প্রভাব নির্বাচন পরবর্তী সময়ে তা প্রশমিত হয়। টানা চতুর্থ মেয়াদে সরকার গঠনের পর যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনাকে চিঠি দিয়ে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কে গভীর করার আগ্রহ প্রকাশ করেন। কূটনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, চলমান বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশ–যুক্তরাষ্ট্র উভয় পক্ষই নিবিড় যোগাযোগ রাখতে আগ্রহী। যার পেছনে কাজ করছে দুই দেশের জাতীয় স্বার্থ। বাংলাদেশের বিশাল জনগোষ্ঠীর কারণে অর্থনীতিতে বড় বাজার, অদম্য অর্থনৈতিক উন্নয়ন এবং ভূ–রাজনীতিতে বাংলাদেশের কৌশলগত অবস্থানকে যুক্তরাষ্ট্র কাজে লাগাতে চায়।
বিগত পনেরো বছরের অধিক সময় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার অনুপম নেতৃত্বে অভূতপূর্ব উন্নতি সাধনের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ বিশ্বরাজনীতি–আর্থসামাজিক ব্যবস্থায় উচুমার্গে সমাসীন। অর্থনৈতিক–সামাজিক–মানবিক উন্নয়ন সূচকসহ সামগ্রিকভাবে বাংলাদেশ অদম্য উন্নয়ন অগ্রগতিতে এগিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশ আজ একটি উন্নয়নশীল এবং উদীয়মান অর্থনীতির দেশ হিসেবে বিশ্ব দরবারে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে। বিশ্ব নেতৃবৃন্দের কাছেও বাংলাদেশ এখন গুরুত্বপূর্ণ দেশ হিসেবে বিবেচিত। স্থিতিশীল প্রবৃদ্ধির হার–শিল্প উন্নয়নসহ সার্বিক অর্থনৈতিক বিকাশ, রাজনৈতিক পরিপক্বতা সর্বোপরি ভৌগোলিক অবস্থানের কারণে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশ অধিকমাত্রায় সমাদৃত। কৌশলগত কারণে দক্ষিণ–পূর্ব এশিয়ার রাজনীতিতে বাংলাদেশের অবদান অপরিসীম। ইতিমধ্যে বাংলাদেশ বৃহত্তর ইন্দো–প্যাসিফিক অঞ্চলে প্রভাবশালী শক্তি হিসেবে প্রতিষ্ঠা পেয়েছে। দক্ষিণ এশিয়ায়ও বাংলাদেশ দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনৈতিক শক্তিশালী দেশরূপে পরিগণিত। ফলশ্রুতিতে বৃহৎ পরাশক্তির রাষ্ট্রগুলো বাংলাদেশের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বিষয়ে নতুন করে সম্পর্ক জোরদারের লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে।
আমাদের সকলের জানা, একুশ শতকে ক্রমবর্ধমান বৈশ্বিক অর্থনীতিতে ভারত–প্রশান্ত মহাসাগর নিয়ে গঠিত সবচেয়ে গতিশীল অঞ্চল হিসেবে ইন্দো–প্যাসেফিক যুক্তরাষ্ট্রসহ বিশ্বের সকল ক্ষমতাধর রাষ্ট্রসমূহের কাছে অতি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। ইন্দো–প্যাসিফিক অঞ্চলের মাধ্যমে বিশ্ব রাজনীতি–অর্থনীতিতে এশিয়ার আধিপত্যের প্রতিফলন সহজেই বোধগম্য। প্রায় এক দশক ধরে যুক্তরাষ্ট্র ইন্দো–প্যাসিফিক অঞ্চলকে অগ্রাধিকার দিচ্ছে। এই অঞ্চলের বর্তমান ও ভবিষ্যৎ গুরুত্ব অনুধাবনে তাদের পররাষ্ট্রনীতিকে ঢেলে সাজিয়েছে। ২০২১ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইন্দো–প্যাসেফিক কৌশল (আইপিএস) ঘোষণায় জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, ভারত, ফিলিপাইন, বাংলাদেশসহ এখানকার দেশগুলোকে নিয়ে অংশগ্রহণমূলক ও নিরাপদ ইন্দো–প্যাসিফিকের কথা বলা হয়েছে। মূলতঃ এই অঞ্চলে চীনের ক্রমবর্ধমান প্রভাবকে বাধাগ্রস্ত করতে আঞ্চলিক মিত্রদের সঙ্গে কর্মকৌশলের রূপরেখা তুলে ধরে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটি ইন্দো–প্যাসিফিক কৌশলের মাধ্যমে এই অঞ্চলে নিজেদের উপস্থিতি বাড়াতে চায়। নির্ভরযোগ্য মিত্র গড়ে তোলা এবং এই অঞ্চলের বাণিজ্যে নিজেকে আপরিহার্য প্রমাণেও সচেষ্ট রয়েছে দেশটি।
উক্ত কৌশলপত্রে আরও দেখানো হয় যে, ইন্দো–প্যাসিফিক দেশগুলোতে যে জনসংখ্যা সেটা বৈশ্বিক জনসংখ্যার অর্ধেকেরও বেশি। যার ৫৮ শতাংশই তরুণ। কর্মশক্তি ও ভোক্তা এ দুই হিসাবেই সংখ্যাটা অনেক। এখানকার অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বৈশ্বিক অর্থনীতির দুই–তৃতীয়াংশ। জিডিপির পরিমাণ বৈশ্বিক জিডিপির ৬০ শতাংশ। এছাড়া বিশ্বের যে সমুদ্র আছে তার ৬৫ শতাংশ পড়েছে ইন্দো–প্যাসিফিকে। সমতল ভূমির ক্ষেত্রে যেটা ২৫ শতাংশ। স্বাভাবিকভাবেই বৈশ্বিক পরাশক্তিদের দৃষ্টি এই অঞ্চলে নিবদ্ধ। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ইন্দো–প্যাসেফিক অঞ্চল চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের দ্বৈরথ–দ্বন্দ্বের নতুন ক্ষেত্র হিসেবে অতিশয় দৃশ্যমান। আমেরিকা তার আইপিএস উদ্যোগে চীনকে অন্তর্ভূক্ত করেনি। বরং চীনকে ঐ অঞ্চলে প্রতিবেশীদের প্রতি আগ্রাসী এবং ক্ষতিকর হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে। তাতে আরও বলা হয়েছে চীন তার সামরিক–কূটনৈতিক–প্রযুক্তিগত শক্তির সমন্বয়ে বিশ্বের সবচেয়ে প্রভাবশালী শক্তি হয়ে উঠার চেষ্টা করছে। এক্ষেত্রে চীন প্রচলিত বিশ্বব্যবস্থা এবং নিয়ম–নীতিরও লঙ্ঘন করছে। বিপরীতে চীনও এ অঞ্চলে অর্থনৈতিক ও সামরিক কর্তৃত্ব ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি করছে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ছাড়াও জাপান, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড, কানাডা, যুক্তরাজ্য, ভারত এবং ইউরোপের দেশসমূহ তাদের ইন্দো–প্যাসিফিক কৌশল প্রকাশ করেছে। ইন্দো–প্যাসিফিকে বাংলাদেশকে টানতে উল্লেখ্য দেশগুলোর প্রচেষ্টা পরিলক্ষিত। প্রত্যেকেই যার যার বৈশ্বিক জোটে বাংলাদেশকে অন্তর্ভূক্ত করতে আগ্রহী। ২০১৮ সালের মার্চ মাসে হোয়াইট হাউজের সিনিয়র কর্মতর্কা লিজা কার্টিস বাংলাদেশ সফরকালে ইন্দো–প্যাসিফিক কৌশলে বাংলাদেশকে পাশে চেয়েছিল। পরবর্তীতে ২০২১ সালে যুক্তরাষ্ট্রের উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধি দলের পক্ষ থেকে যুক্তরাষ্ট্রের ইন্দো–প্যাসিফিক সংক্রান্ত অর্থনৈতিক জোট (আইপিইএফ) এবং সামরিক জোটে অংশগ্রণের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। সর্বশেষ ডোনাল্ড লু’র বাংলাদেশ সফরের সুবাদে সূচিত সম্পর্কের নবতর অধ্যায়ের ক্ষেত্রেও ইন্দো–প্যাসিফিক অঞ্চলের নিরাপত্তা, উন্নয়ন ও রাজনীতির বিষয়গুলো অতি জোরালো। অন্যদিকে চীনের বেল্ট অ্যান্ড রোড বাস্তবায়ন প্রকল্পেও বাংলাদেশের অবস্থান নিবিড় প্রত্যাশিত।
বাংলাদেশ আঞ্চলিক নিরাপত্তা চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে বন্ধুপ্রতিম রাষ্ট্র ভারত ও উন্নয়ন অংশীদার চীনসহ সকলের সঙ্গে নিবিড় সৌহার্দপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রেখে চলছে। পরিপ্রেক্ষিত বিবেচনায় বাংলাদেশ চার মৌলিক নীতিমালার আলোকে ১৫টি লক্ষ্য বিবেচনায় ইন্দো–প্যাসিফিক রূপরেখা প্রকাশ করে। উক্ত রূপরেখায় ইন্দো–প্যাসিফিক অঞ্চলে সকলের শান্তি–সমৃদ্ধি–নিরাপত্তা–স্থিতিশীলতা বজায় রাখার লক্ষ্যে পারস্পরিক আস্থা–সম্মান অক্ষুণ্ন রাখা, অংশীদারিত্ব–সহযোগিতার ক্ষেত্র সম্প্রসারণ এবং সংলাপ–বোঝাপড়ার ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়। পাশাপাশি এই অঞ্চলের মেরিটাইম বিষয়ক সুরক্ষা ও নিরাপত্তার বিদ্যমান কাঠামোকে শক্তিশালীকরণের বিষয়ে পূর্ণ সমর্থন বজায় রাখার অঙ্গীকার উল্লেখযোগ্য। তাছাড়া সংশ্লিষ্ট সহযোগীদের সঙ্গে একযোগে আন্তর্জাতিক নিরস্ত্রীকরণ–শান্তিরক্ষা–শান্তিবিনির্মাণ–সন্ত্রাসবিরোধী কার্যক্রমে অর্থবহ ও আন্তর্জাতিক মূল্যবোধসম্পন্ন অবদান রাখা এবং ইন্দো–প্যাসিফিক অঞ্চলে আন্তঃদেশীয় সংঘটিত অপরাধসমূহ দমনে নীতি কাঠামো প্রণয়ন ও ব্যবহারিক পদক্ষেপের মাধ্যমে আঞ্চলিক–আন্তর্জাতিক সহযোগিতার প্রয়াসকে সমর্থন রূপরেখাকে অধিকতর সমৃদ্ধ করেছে। মোদ্দাকথা বাংলাদেশ মার্কিন সম্পর্কের নতুন ধারা শুধু আঞ্চলিক পর্যায়ে নয়; বিশ্বপরিমন্ডলেও বাংলাদেশের অবস্থানকে আরো সুদৃঢ় করবে– নিঃসন্দেহে তা দাবি করা যায়।
লেখক : শিক্ষাবিদ, সাবেক উপাচার্য চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়