মার্কিন নীতি পরিবর্তনে উন্নয়ন অংশীদারত্ব

ড. ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরী | শনিবার , ২ মার্চ, ২০২৪ at ৭:১২ পূর্বাহ্ণ

বিজ্ঞজনের মতানুসারে স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয় ব্যতিরেকে মার্কিন সরকারের নীতি পরিবর্তন তেমন প্রণিধানযোগ্য নয়। বিশ্বের উন্নতউন্নয়নশীলঅনুন্নত দেশসমূহে রাজনৈতিককূটনৈতিকঅর্থনৈতিক আধিপত্য বিস্তারে তাদের কৌশলগত পরিকল্পনা নতুন কিছু নয়। বহুল প্রচলিত যে, নিজেদের দেশজনগণের স্বার্থে তারা দলসমূহের মধ্যেও আলাপআলোচনা ও সমঝোতার বিষয়ে অভিন্ন মত পোষণ করে। কর্তৃত্ববাদী রাষ্ট্রসমূহের সাথে ভারসাম্য দূরত্বে নিজেদের অবস্থানকে সুদৃঢ় করার জন্য যেকোন সময় যেকোন দেশে যেকোন ধরনের নানামুখী কর্মযজ্ঞে রাজনৈতিক পট বা সরকার পরিবর্তন তাদের নিত্য নৈমিত্তিক ব্যাপার। যেকোন দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে অযাচিত হস্তক্ষেপ এদের রুটিন দায়িত্বের বশবর্তী। বাণিজ্যক্ষমতাকর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠার প্রশ্নে ন্যূনতম আপোষে তারা বিশ্বাসী নয়। জনশ্রুতি মতে, নারীপুরুষশিশু নির্বিশেষে গাজা বা বিশ্বের অন্যান্য দেশে সংঘটিত সকল ভয়ানক সংঘাতসংঘর্ষহত্যাগণহত্যায় তাদের সমর্থন কখনো বিবেককে দংশন করে বলে প্রতীয়মান নয়। ক্ষেত্র বিশেষে দেশের মাটি ছাড়া সমগ্র জনগণকে ধ্বংস করে রাজ্যবিধ্বংসী কার্যকলাপে তারা কখনো পিছ পা হয় না। ভূরাজনীতি নিয়ন্ত্রণে বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধ ও ভিয়েতনামকম্বোডিয়াইরাকসিরিয়াসহ ইত্যাদি ভূখণ্ডে নারকীয় দৃষ্টান্ত বিশ্ব ইতিহাসকে এখনও যন্ত্রণাকাতর করে রেখেছে।

মানবতাগণতন্ত্রঅধিকার সংরক্ষণের নামে উচ্চ বাক্যে সোচ্চার মার্কিন নীতি কখন কোন দেশে কীভাবে কার্যকর হবে তা খুবই রহস্যপূর্ণ। বিশ্বের সভ্য মানুষের বোধে এ সত্যটুকু প্রতিষ্ঠিত; মার্কিন নীতি তাদের স্বার্থ বিরোধী যেকোন কর্মকে উৎসাহিত করতে পারে। তথাকথিত ভবিষ্যৎ হুমকির অপাংক্তেয় অজুহাতে অন্য রাষ্ট্রের স্বাধীনতাসার্বভৌমত্বের তোয়াক্কা না করে বিভিন্ন দেশের অভ্যন্তরে ড্রোন বা সামরিক হামলা চালিয়ে হাজার হাজার বেসামরিক নাগরিকের বিচারবহির্ভূত হত্যাকান্ডের দৃষ্টান্তও তাদের কম নয়। বিগত বছরগুলোতে বিভিন্ন সময়ে নানান প্রতিবেদনে বাংলাদেশে বিচারবহির্ভূত হত্যাকান্ড, গুম, স্বাধীন মতপ্রকাশে বাধা, সভাসমাবেশে বলপ্রয়োগ, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক মানবাধিকার প্রতিষ্ঠানকে বাধা, মিডিয়া সেন্সরশিপসহ বিভিন্ন পর্যবেক্ষণ তুলে ধরে বাংলাদেশ সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রীদের নিকট ব্যাখ্য চাওয়া হয়েছিল। ২০২১ সালেও দেশের সম্মানিত সাবেক সেনা ও র‌্যাব প্রধানসহ কতিপয় র‌্যাব সদস্য সম্পর্কে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে তাদের আমেরিকা ভ্রমণে কিছু অবাঞ্চিত নির্দেশনা দেওয়া হয়। মানবাধিকার লঙ্ঘনের দায়ে উত্থাপিত কথিত অভিযোগগুলো কতটুকু প্রয়োগিক বিবেচনায় গ্রহণযোগ্য; তার বিশ্লেষণকৌতুহলী বিতর্কের অবসান আবশ্যক।

সাম্প্রতিক বাংলাদেশের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে মার্কিন সরকারের নানামুখী বক্তব্যমন্তব্যনিষাধাজ্ঞা শুধু বিশ্ববাসীকে বিভ্রান্ত করেনি; অসহনীয় এক ঘৃণ্য ক্ষোভ মানুষের মধ্যে জাগ্রত করেছে। দেশবিধ্বংসী স্বাধীনতা বিরোধী পরাজিত অন্ধকারের শক্তির যোগসাজশে নির্বাচন বানচাল বা সুষ্ঠু নির্বাচন পরিচালনায় অন্তরায় সৃষ্টিতে কতিপয় কর্তৃত্ববাদী দেশসমূহের অপচেষ্টা অব্যাহত ছিল। বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে কদর্য পরাশক্তির অগ্রহণযোগ্য মন্তব্যহস্তক্ষেপ দেশবাসীকে যারপরনাই মর্মাহত করেছিল। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে নানাবিধ অবাঞ্চিতঅপাংক্তেয়অবান্তর বিষয়ে অহেতুক মানবাধিকার লঙ্ঘনের তকমা লাগিয়ে চাপে রাখার জুজুর ভয় অধিকমাত্রায় ছিল সঞ্চারিত। সম্পূর্ণ অযৌক্তিক উপায়ে নির্বাচনকেন্দ্রিক বিষয়সমূহের তথাকথিত নিষেধাজ্ঞাপর্যবেক্ষণ জনগণকে অধিকার বঞ্চিত করার কুৎসিত ভিত রচনা ছিল উল্লেখযোগ্য। ২৪ মে ২০২৩ যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশে অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে জাতীয় নির্বাচন নিশ্চিত করার লক্ষ্যে মিগ্রেশন অ্যান্ড ন্যাশনালিটি অ্যাক্টের ধারা ২১২/ ()()(সি) (“৩সি”) এর অধীনে নতুন ভিসানীতি ঘোষণা করে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে বিবৃতিতে বলা হয়, ‘যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করার জন্য দায়ী বা জড়িত বলে মনে করা যেকোনো বাংলাদেশি ব্যক্তির জন্য ভিসা প্রদানে বিধিনিষেধ আরোপে সক্ষম হবে। বর্তমান ও প্রাক্তন বাংলাদেশি কর্মকর্তাকর্মচারী থেকে শুরু করে সরকারপন্থি ও বিরোধী রাজনৈতিক দলের সদস্য, আইন প্রয়োগকারী, বিচার বিভাগ এবং নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরাও এতে অন্তর্ভুক্ত রয়েছেন।’

ধারাবাহিকতায় ১৬ নভেম্বর ২০২৩ যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন শ্রমিকদের ক্ষমতায়ন, শ্রম অধিকার ও তাদের মানসম্মত জীবনযাপন নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ‘বিশ্বব্যাপী শ্রমিকদের ক্ষমতায়ন অধিকার ও উচ্চ শ্রমমান উন্নয়ন’ শীর্ষক প্রেসিডেন্সিয়াল মেমোরেন্ডাম স্বাক্ষর করে। মেমোরেন্ডাম স্বাক্ষর পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে শ্রমিকদের অধিকার নিশ্চিতে যুক্তরাষ্ট্রের পরিকল্পনার বিষয়ে দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন বলেন, ‘যারা শ্রমিকদের হুমকিধমকি দেবে, ভয় দেখাবে, শ্রম ইউনিয়নের নেতাশ্রম অধিকারের পক্ষে কাজ করা ব্যক্তি এবং শ্রম সংগঠনের উপর আক্রমণ করবে তাদের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা, বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞা এবং ভিসা নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হবে।’ যুক্তরাষ্ট্রের এই নতুন নীতির ঘোষণায় বাংলাদেশের রপ্তানিকারক বিশেষ করে পোশাক খাতের উদ্যোক্তাদের মাঝে নতুন দুশ্চিন্তাউৎকন্ঠা তৈরি হয়। তাদের মতে, কোনো কারণে শ্রম অধিকার ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্র নতুন নীতি বাংলাদেশের উপর কার্যকর করলে দেশের রপ্তানি খাতে বড় ধরনের নেতিবাচক প্রভাব পরিলক্ষিত হবে। ঘোষিত নীতির পরিপ্রেক্ষিতে ওয়াশিংটনে বাংলাদেশ দূতাবাসের পক্ষ থেকে শঙ্কা প্রকাশ করে বাণিজ্যসচিবকে পাঠানো চিঠিতে বলা হয়, শ্রম অধিকার বিষয়ক নতুন এ নীতির লক্ষ্যবস্তু হতে পারে বাংলাদেশ। কারণ শ্রমিক অধিকার লঙ্ঘিত হলে এই নীতি ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান কিংবা রাষ্ট্রের উপর আরোপের সুযোগ রয়েছে।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মতপার্থক্য থাকলেও দুই দেশই এখন সম্পর্ক এগিয়ে নিতে আগ্রহী। বিশেষ করে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনাকে চিঠি লিখে সম্পর্ক এগিয়ে নিতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এর প্রত্যয় প্রকাশ সমধিক তাৎপর্যপূর্ণ। উক্ত চিঠিতে তিনি লিখেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রবাংলাদেশ অংশীদারত্বের পরবর্তী অধ্যায় শুরুর পর্বে আমি বলতে চাই আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক নিরাপত্তা, অর্থনৈতিক উন্নয়ন, জলবায়ু পরিবর্তন ও জ্বালানি, বৈশ্বিক স্বাস্থ্য, মানবিক সহায়তা বিশেষ করে রোহিঙ্গা শরণার্থীসহ আরও অনেক ইস্যুতে আমাদের প্রশাসন একসঙ্গে কাজ করার ঐকান্তিক ইচ্ছা আমি তুলে ধরছি। সমস্যা সমাধানে একসঙ্গে কাজ করার ক্ষেত্রে আমাদের দীর্ঘ ও সফল ইতিহাস রয়েছে। আর আমাদের এই সম্পর্কের ভিত্তি হচ্ছে দুই দেশের জনগণের শক্তিশালী সম্পর্ক। বাংলাদেশের উচ্চাভিলাষী অর্থনৈতিক লক্ষ্য অর্জনে সমর্থন এবং একটি অবাধ ও মুক্ত ভারতপ্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল প্রতিষ্ঠার অভিন্ন স্বপ্ন পূরণে বাংলাদেশের সঙ্গে অংশীদারত্ব প্রতিষ্ঠায় যুক্তরাষ্ট্র প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’ বিজ্ঞজনের মতানুসারে, বিশ্ব রাজনীতি যে পর্যায়ে গিয়ে পৌঁছেছে তাতে অর্থনৈতিক ও নিরাপত্তা সম্পর্ককে আলাদা করে দেখা বেশ জটিল। ভূরাজনীতি ও ভূঅর্থনীতি এক হয়ে গেছে। কাজেই একটিকে বাদ দিয়ে অন্যটি নিয়ে সম্পর্ক বেশি এগোবে না। বাংলাদেশের গুরুত্ব শুধু অর্থনৈতিক কারণে নয়, ভূরাজনৈতিক অবস্থানের কারণেও। ফলে বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র দুই দেশের সম্পর্ক এগিয়ে নিতে মনোযোগ দিচ্ছে। অতিসম্প্রতি ঢাকায় সফরে আসা যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিলের দক্ষিণ এশিয়াবিষয়ক জ্যেষ্ঠ পরিচালক রিয়ার এডমিরাল এইলিন লবাখারের নেতৃত্বে প্রতিনিধিদলও বাংলাদেশের সঙ্গে বিদ্যমান সম্পর্ক নতুন করে শুরু করার আগ্রহ প্রকাশ করেছে। যুক্তরাষ্ট্রের এই প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সরকারের বিভিন্ন পর্যায়ে অনুষ্ঠিত বৈঠকে অর্থনৈতিকনিরাপত্তা সহযোগিতা, দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধি, শ্রম পরিবেশ উন্নয়ন, রোহিঙ্গা মানবিক সহায়তা, জলবায়ু পরিবর্তন ও জ্বালানি খাতের উপর গুরুত্বারোপ করা হয়। মার্কিন প্রতিনিধিদের সাথে মতবিনিময়কালে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে ফিলিস্তিনের গাজায় স্থায়ী যুদ্ধবিরতির বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রকে উদ্যোগ নেওয়ার আহ্বান জানায় এবং রাশিয়াইউক্রেন যুদ্ধসহ যেকোনো ধরনের যুদ্ধের বিরুদ্ধে দৃঢ় অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করা হয়। এছাড়াও যুক্তরাষ্ট্র থেকে বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত খুনি রাশেদ চৌধুরীকে প্রত্যর্পণ ও র‌্যাবের উপর থেকে মার্কিন নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের বিষয়টিও বাংলাদেশের পক্ষ থেকে উপস্থাপিত হয়। প্রতিনিধিদলটি সরকারের পাশাপাশি বিরোধী দল, নাগরিক সমাজ ও শ্রমিকনেতাদের সঙ্গেও সাক্ষাৎ করেন। সফর শেষে প্রতিনিধিদলের পক্ষ থেকে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্র ইন্দোপ্যাসিফিক অঞ্চলে বাংলাদেশকে গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার হিসাবে সমৃদ্ধনিরাপদ ও গণতান্ত্রিক বাংলাদেশেকে সমর্থন করে।

কূটনৈতিকবিশ্লেষকদের মতে, নির্বাচন নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের নিয়মিত বিবৃতি সত্ত্বেও জো বাইডেনের চিঠি বাংলাদেশ গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনায় নিয়েছে। সরকার মনে করছে, আওয়ামী লীগ টানা চতুর্থবার ক্ষমতায় আসার পর যুক্তরাষ্ট্র নির্বাচনের বিষয়টিকে সেভাবে আর সামনে রাখছে না। ওয়াশিংটন থেকে উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধিদলের বাংলাদেশ সফর ‘নির্বাচনপরবর্তী বোঝাপড়ার’ প্রতিফলন। যুক্তরাষ্ট্র যখন নির্বাচনের ইস্যুটি খানিকটা সরিয়ে রেখে বোঝাপড়া করতে চায়, বাংলাদেশের তাতে সম্মতি দেওয়াটা সমীচীন। যুক্তরাষ্ট্র শুধু নির্বাচনের মতো একটি ইস্যুতে নিজেদের ভিন্নমতের বিষয়টি সামনে না রেখে সামগ্রিক পরিপ্রেক্ষিত থেকে সম্পৃক্ততায় জোর দিয়েছে। সরকারের বিভিন্ন প্রতিনিধির পাশাপাশি নানা মহলের সঙ্গে মতবিনিময় করে যুক্তরাষ্ট্র এটা স্পষ্ট করেছে যে ঢাকা ও ওয়াশিংটনের সম্পর্ক এগিয়ে নিতে নানা পক্ষের সংযোগ জরুরি।

প্রাসঙ্গিকতায় যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের সাবেক রাষ্ট্রদূত ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ এন্টারপ্রাইজ ইনস্টিটিউটের (বিইআই) প্রেসিডেন্ট গণমাধ্যমে বলেন, ‘বাংলাদেশ মার্কিন প্রতিনিধিদলের এ সফরকে রাজনৈতিক পটভূমি থেকে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে। কিন্তু বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ককে বিস্তৃত পরিসর থেকে দেখে যুক্তরাষ্ট্র। তারা নির্বাচন নিয়ে দ্বিমত থাকার পরও অর্থনৈতিক উন্নয়নবিনিয়োগজলবায়ু পরিবর্তনভারত ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় কৌশলসহ ভূরাজনীতি এবং আঞ্চলিক নিরাপত্তার পরিপ্রেক্ষিত বিবেচনায় নিচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের বিশেষ সহকারীকে ঢাকায় পাঠিয়ে হোয়াইট হাউজ সেই বার্তা পৌঁছানোর বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছে।’ সার্বিক পর্যালোচনায় এটি সুস্পষ্ট যে, নির্বাচনের পূর্বে তাদের বিভিন্ন পদক্ষেপ নির্বাচন বানচালের ব্যর্থতায় তাদের বোধগম্যতা নতুন ধারণার সঞ্চার করেছে। সকল পক্ষের সাথে ভারসাম্যপূর্ণ সম্পর্ক অব্যাহত রেখে তাদেরই স্বার্থে উন্নয়ন অংশীদারত্বে বিষয়টি বিবেচনায় আনা অব্যশই বাংলাদেশের জন্য ইতিবাচক। সকলের সাথে অভিন্ন সম্পর্কে বিশ্বাসী বাংলাদেশ বর্তমান প্রেক্ষাপটকে কাজে লাগিয়ে উদ্ভূত সকল সংকট উত্তরণে সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে যাকএটিই প্রত্যাশিত।

লেখক : শিক্ষাবিদ, সাবেক উপাচার্য চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়

পূর্ববর্তী নিবন্ধহল্যান্ড থেকে
পরবর্তী নিবন্ধপুঁইছড়ি রাধাকৃষ্ণ সেবাশ্রম বিগ্রহের ধমর্ সম্মেলনে