চীনা সামরিক গবেষকদের সামপ্রতিক কথাবার্তায় পৃথিবীর নিম্ন কক্ষপথে থাকা স্টারলিংক স্যাটেলাইট গুলি করে নামানো এবং কাঁধে রেখে ছোড়া যায় এমন জ্যাভেলিন ক্ষেপণাস্ত্র থেকে ট্যাংক ও হেলিকপ্টার রক্ষায় চীনের সক্ষমতা অর্জন করার প্রয়োজনীয়তার কথা বারবার উঠে এসেছে। এ গবেষকরা এশিয়ায় যুক্তরাষ্ট্র নেতৃত্বাধীন বাহিনীর সঙ্গে সম্ভাব্য সংঘাত নিয়ে পরিকল্পনায় ইউক্রেনে রাশিয়ার যুদ্ধ নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছেন।
তাইওয়ানে কোনো যুদ্ধ হলে সেখানে চীনা বাহিনীর বিরুদ্ধে যেসব অস্ত্র ও প্রযুক্তি ব্যবহার করা হতে পারে সেগুলোর প্রভাব যাচাইয়ে চীনের সমগ্র সমরখাতের চেষ্টা ও উদ্যোগের বিষয়টি প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত ২০টি জার্নালে প্রকাশিত শতাধিক নিবন্ধ পর্যালোচনা করে উদ্ধার করতে পেরেছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। খবর বিডিনিউজের।
রয়টার্স জানিয়েছে, চীনা ভাষার এসব জার্নালে পিপলস লিবারেশন আর্মি (পিএলএ) সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়, রাষ্ট্র মালিকানাধীন অস্ত্র উৎপাদক প্রতিষ্ঠান ও সামরিক গোয়েন্দা থিংক–ট্যাংকের বিস্তৃত নেটওয়ার্কের শত শত গবেষকের কাজের প্রতিফলন দেখা গেছে। এসব জার্নালে এমনকি ইউক্রেনের নাশকতামূলক কার্যক্রমের খুঁটিনাটি নিয়েও আলোচনা আছে। শান্তি ও আলোচনার আহ্বান জানানো চীনা কর্মকর্তারা প্রকাশ্যে ইউক্রেইনের যুদ্ধক্ষেত্রগুলোতে রাশিয়ার দক্ষতা বা অর্জন নিয়ে খোলামেলা কিছু না বললেও জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত জার্নালের নিবন্ধগুলোতে মস্কোর খামতি নিয়ে চাঁচাছোলা পর্যালোচনা ঠিকই দেখা যাচ্ছে। মার্কিন এক প্রতিরক্ষা কর্মকর্তা বলেছেন, তাইওয়ানের পরিস্থিতির সঙ্গে ভিন্নতা থাকলেও ইউক্রেন যুদ্ধ চীনকে খুঁটিনাটি অনেক কিছু বোঝার সুযোগ করে দিচ্ছে। পিএলএর গবেষকদের আধডজন নিবন্ধে ইউক্রেনের বিদ্যুৎখাত সংশ্লিষ্ট স্থাপনাগুলোতে রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র হামলার মধ্যেও ইউক্রেনের সামরিক বাহিনীর ভেতরকার যোগাযোগ সুনিশ্চিত রাখতে স্টারলিংক স্যাটেলাইটের ভূমিকা নিয়ে চীনের উদ্বেগের বিষয়ে আলোকপাত করা হয়েছে।