বাংলাদেশ অ্যাথলেটিকস ফেডারেশনের ব্যবস্থাপনায় তারুণ্যের উৎসব আন্তঃবিভাগ অ্যাথলেটিকস প্রতিযোগিতার চূড়ান্ত পর্ব গত ৭ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার ঢাকায় বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হয়েছে। আট বিভাগের অ্যাথলেটদের নিয়ে এই প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। প্রতিযোগিতায় ছেলেদের ১০০ মিটার দৌড়ে ১১.৪০ সেকেন্ড সময় নিয়ে দ্রুততম মানব হয়েছেন চট্টগ্রামের মারুফ হাসান। ছেলেদের উচ্চ লাফে রেকর্ডসহ মোট ৫টি স্বর্ণ, ৩টি রৌপ্য এবং ৪টি ব্রোঞ্জ পায় চট্টগ্রাম বিভাগ। এ থেকে সর্বমোট ৪২ পয়েন্ট নিয়ে রানার আপ ট্রফি অর্জন করে চট্টগ্রাম বিভাগ। সমান স্বর্ণপদক লাভ করলেও বিতর্কিত পয়েন্ট গণনায় খুলনার কাছ থেকে মাত্র ৩ পয়েন্টের ব্যবধানে পিছিয়ে থাকে চট্টগ্রাম এবং রানার আপ হতে হয় তাদের। দিনব্যাপি এই প্রতিযোগিতায় চট্টগ্রামের মোহাইমেনুন আক্তার উচ্চ লাফে ১.৮০ মিটার লাফিয়ে (জাতীয় রেকর্ড সহ) স্বর্ণ পদক জয় করেন। শাহরিয়ার আহমেদ ৪০০ মিটারে দৌড়ে ৫১.৫৫ সেকেন্ড সময় নিয়ে স্বর্ণ, বাকি বিল্লাহ নূর লং জাম্পে ১৬.৫৮ মিটার লাফিয়ে স্বর্ণ, ৪ গুনিতক ১০০ মিটার রিলেতে মারুফ, আরিফ, বাকি বিল্লাহ, আনোয়ার স্বর্ণ পদক জয় করেন। মো. আনোয়ার হোসেন অপু ১০০মিটারে ১১.৫০ সেকেন্ড সময় নিয়ে রৌপ্য পদক জয় করেন। শান্তনা বেগম মহিলাদের উচ্চ লাফে ১.২৫ মিটার লাফিয়ে তাম্র পদক পান। তামান্না আক্তার প্রীতি মহিলাদের উচ্চ লাফে ১.৩৩ মিটার ও লং জাম্পে ৬.৬৮ মিটার লাফিয়ে রৌপ্য পদক জয় করেন। মোশারফ হোসেন চাকতি নিক্ষেপে ২৭.৭৭ মিটার নিক্ষেপ করে তাম্র পান। জান্নাতুল ফেরদৌস ঝিনুক ২০০ মিটার দৌড়ে তাম্র পদক জয় করেন। চট্টগ্রাম বিভাগের ম্যানেজার কাম কোচের দায়িত্ব পালন করেন সাবেক জাতীয় এ্যাথলেট সাংবাদিক এম সরওয়ারুল আলম সোহেল। তিনি জানান চট্টগ্রাম দীর্ঘদিন বাদে অ্যাথলেটিকস ইভেন্টে এমন সাফল্য পেল। এর আগে সেদিন সকালে বাংলাদেশ অ্যাথলেটিকস ফেডারেশনের সভাপতি মেজর জেনারেল (অবঃ) ড. মোঃ নাঈম আশফাক চৌধুরী প্রধান অতিথি হিসেবে প্রতিযোগিতার উদ্বোধন করেন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের সচিব জনাব মো. আমিনুল ইসলাম। প্রতিটি বিভাগ হতে ২৮জন অ্যাথলেট, ১জন কোচ, ১ জন ম্যানেজার মোট ৩০জনের বিভাগীয় দল প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে। ৮ বিভাগের মোট ২৪০ জন এতে অংশ নেন।
