করোনাভাইরাসের নতুন ধরন ওমিক্রন দ্রুত ছড়াতে থাকায় বড়দিনের উৎসবের মৌসুমে বিশ্ববাসীকে সতর্ক করেছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মহাপরিচালক তেদ্রোস আধানম গেব্রিয়েসুস। তিনি বলেছেন, একটি জীবন হারানোর চেয়ে একটি অনুষ্ঠান বাতিল করাই শ্রেয়। সোমবার সুইজারল্যান্ডের জেনিভায় ডব্লিউএইচও সদর দপ্তরে এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে মহাপরিচালক ‘উৎসব করে পস্তানোর চেয়ে’ বিশ্ববাসীকে তা পরে উদযাপনের কঠোর সিদ্ধান্ত নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। খবর বিডিনিউজ ও বাসসের।
বিবিসির একটি প্রতিবেদনে বলা হয়. করোনাভাইরাসের নতুন ধরন ওমিক্রন যুক্তরাষ্ট্রে আধিপত্য বিস্তার করার খবরের মধ্যেই এমন আহ্বান জানালেন ডব্লিউএইচও মহাপরিচালক। তিনি বলেন, এর আগে বিশ্বজুড়ে আধিপত্য বিস্তার করা করোনাভাইরাসের ডেল্টা ধরনের চেয়েও দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে ওমিক্রন। এর বিস্তার ঠেকাতে ফ্রান্স এবং জার্মানিসহ বেশ কিছু দেশ স্বাস্থ্যবিধির কড়াকড়ি বাড়ানোর পাশাপাশি নতুন করে ‘ভ্রমণ বিধিনিষেধ’ জারি করেছে। বড় দিনের সময় কঠোর লকডাউনের ঘোষণা দিয়েছে নেদারল্যান্ডস।
লন্ডনে নববর্ষের অনুষ্ঠান বাতিল : লন্ডনে নববর্ষ উদযাপনের প্রধান অনুষ্ঠান বাতিল করা হবে। করোনাভাইরাসের নতুন ধরণ ওমিক্রনে আক্রান্তের সংখ্যা অনেক বেড়ে যাওয়ায় সকলের মধ্যে আতংক ছড়িয়ে পড়ার প্রেক্ষাপটে এমন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে। গত সোমবার ব্রিটেনের রাজধানীর মেয়র এ কথা বলেন।
সাদিক খান বলেন, এ নগরীতে আক্রান্তের হার রেকর্ড পর্যায়ে চলে গেছে। এমন পরিস্থিতিতে তিনি করোনার নতুন ধরনের লাগাম টেনে ধরতে সম্ভাব্য সবকিছু করার প্রয়োজনীয়তার কথা বলেন। তিনি বলেন, এ কারণে আমরা এ বছর নববর্ষের প্রাক্কালে ট্রাফেলগার স্কয়ারে আয়োজন করা অনুষ্ঠান দীর্ঘায়িত করব না। এটি অনেক লন্ডনবাসীর জন্য অত্যন্ত হতাশাজনক হলেও আমরা অবশ্যই এ ভাইরাসের বিস্তার হ্রাসে সঠিক পদক্ষেপ গ্রহণ করব।
এদিকে প্যারিস ইতোমধ্যে ঘোষণা করেছে যে তারা নববর্ষের আতশবাজি ও অন্যান্য অনুষ্ঠান বাতিল করবে। জার্মানিও একই পথ অনুসরণ করবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এছাড়া তাদের দেশে নাইটক্লাব বন্ধের এবং প্রাইভেট পার্টি সীমিত রাখার পরিকল্পনা রয়েছে।