মারামারির দুদিন পর ৮ বসতঘর জ্বালিয়ে দেয়ার অভিযোগ

মামুনুল ইস্যু

সীতাকুণ্ড প্রতিনিধি | রবিবার , ৯ মে, ২০২১ at ৬:০৫ পূর্বাহ্ণ

আটক হেফাজত নেতা মামুনুল হককে নিয়ে অশ্লীল মন্তব্য করাকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষে মারামারির ঘটনার দুদিন পর এক পক্ষের বিরুদ্ধে ঘর জ্বালিয়ে দেয়ার অভিযোগ করেছে অপর পক্ষ। গত শুক্রবার দিবাগত রাত ২টার দিকে সীতাকুণ্ড উপজেলার বাঁশবাড়িয়া ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ডের মধ্য বাঁশবাড়িয়া আবুনগর গ্রামের বড় বাড়িতে অগ্নিকাণ্ডে ৮টি বসতঘর পুড়ে যায়। স্থানীয় এমপি দিদারুল আলম এবং উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এসএম আল মামুন অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা পরিদর্শন করেছেন এবং ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের মাঝে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করেন। স্থানীয়রা জানান, রাত ২টার দিকে এই বাড়িতে আগুন লাগার ঘটনা ঘটে। এরপর খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট ঘটনাস্থলে এসে আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে। তবে তার আগেই ৮টি বসতঘর সম্পূর্ণ পুড়ে যায়। অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ঘরে থাকা নগদ ২ লক্ষ টাকাসহ ৫০ লক্ষাধিক টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে ভুক্তভোগীরা জানান। তবে এই ঘটনাকে পরিকল্পিত বলে দাবি করেছেন ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারদের সদস্যরা। ক্ষতিগ্রস্ত মামুন, তাজুল আহমেদ, সালাউদ্দিন, লায়লা বেগমসহ কয়েকজন দাবি করেন, পার্শ্ববর্তী বাড়ির প্রবাসী সিরাজুল ইসলাম, আরমান, জহুরুল ইসলাম, সালে আহমদরা গভীর রাতে নুরুল আলমের ঘরে পেট্রোল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়।
এর আগে গত বুধবার বিকালে বদিউল আলম ও প্রবাসী সিরাজুল ইসলামের মধ্যে হেফাজত ইস্যু নিয়ে বাক-বিতণ্ডার এক পর্যায়ে দুই পরিবারের সদস্যদের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটে। এতে উভয় পরিবারের কয়েকজন আহত হন। বদিউল আলমের পরিবারের সদস্যরা সবাই চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকায় শুক্রবার রাতে তারা কেউ বাড়িতে ছিলেন না। এই সুযোগে সিরাজুল ইসলামরা তাদের ঘরে আগুন দিয়ে পালিয়ে যান।
এলাকাবাসীর সাথে কথা বলে জানা যায়, বুধবার বিকাল ৫টার দিকে একটি দোকানে বসে খবর শুনছিলেন বদিউল আলম ও সিরাজুল ইসলামসহ আরও কয়েকজন। এ সময় টিভিতে হেফাজত নেতা মামুনুল হকের প্রসঙ্গে একটি সংবাদ প্রচার হচ্ছিল। বদিউল আলম মামুনুল হককে নারীলোভী বলে মন্তব্য করলে সিরাজুল ইসলামের সাথে তার কথা কাটাকাটি হয়।
তবে অভিযুক্ত সিরাজুল ইসলাম, আরমান হোসেন ও সালে আহমদ আগুন লাগানোর ঘটনায় জড়িত নন বলে দাবি করেছেন। সিরাজুল ইসলাম বলেন, টিভিতে খবর প্রচারকে কেন্দ্র করে তুচ্ছ ঘটনায় তারা আমাদের পরিবারের কয়েক সদস্যকে কুপিয়ে আহত করে।
স্থানীয় চেয়ারম্যান শওকত আলী জাহাঙ্গীর জানান, অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারদের মাঝে নগদ ৫ হাজার টাকা করে সহায়তা ও সবাইকে লুঙ্গি ও শাড়ি দেয়া হয়েছে। এছাড়া উভয় পক্ষকে শান্ত থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এদিকে মারামারির ঘটনা শুনে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন সীতাকুণ্ড মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ আবুল কালাম আজাদ। তিনি বলেন, এখনও পর্যন্ত কোনো পক্ষ থানায় অভিযোগ দেয়নি। লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধপূজা শেষে বাসায় ফেরা হলো না ইমনের
পরবর্তী নিবন্ধটেকনাফে ভয়ংকর আইস