লোহাগাড়ার বড়হাতিয়ায় হেফজখানার শিক্ষকের প্রহারে আব্দুল্লাহ আল মুহিদ (১৩) নামে এক ছাত্রের চোখ সম্পূর্ণ নষ্ট হয়ে গেছে। গতকাল রোববার এই ঘটনায় ছাত্রের মা রেনু আক্তার (৩০) বাদী হয়ে ওই শিক্ষককে আসামি করে থানায় মামলা দায়ের করেছেন। তিনি উপজেলার বড়হাতিয়া ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের হরিদাঘোনা এলাকার প্রবাসী জসিম উদ্দিনের স্ত্রী। একইদিন শিক্ষক মুহাম্মদ আব্দুল্লাহকে (২৮) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তিনি উপজেলার চুনতি ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের হাটখোলা মুড়া এলাকার মৃত বশির আহমদের পুত্র।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, আহত ছাত্র আব্দুল্লাহ আল মুহিদ উপজেলার বড়হাতিয়া ইউনিয়নের তানজিনুল মুমিন হিফজ মাদ্রাসা ও হেফজখানার ছাত্র। গত তিন মাস আগে তাকে ওই হেফজখানায় ভর্তি করা হয়। এরপর থেকে ওই শিক্ষক ছাত্র মুহিদকে প্রায় সময় মারধর করতেন। গত ২৬ মে সকাল আনুমানিক ৬টার দিকে মুহিদের মা তাকে হেফজখানায় দিয়ে আসেন। সেখানে ঘুমানোর অভিযোগ এনে কোরআন শরীফ রাখার প্লাস্টিকের স্ট্যান্ড দিয়ে শিক্ষক মুহাম্মদ আব্দুল্লাহ মুহিদকে জোরে আঘাত করেন। এতে তার ডান চোখ সম্পূর্ণ নষ্ট হয়ে যায় এবং শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখমও হয়। বিষয়টি কাউকে জানালে বা আইনগত ব্যবস্থা নিলে ওই শিক্ষক প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে আসছিলের ছাত্রের পরিবারকে।
মামলা তদন্তকারী কর্মকর্তা লোহাগাড়া থানার এসআই মাসুদ আলম জানান, আহত ছাত্রের মা থানায় মামলা দায়েরের পর অভিযান চালিয়ে ওই হেফজখানার শিক্ষককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আগামীকাল (আজ) তাকে আদালতে সোপর্দ করা হবে।