মায়ের সাথে কারাগারে যেতে হল পাঁচ মাসের শিশুকেও

পর্নোগ্রাফি আইনে মামলা

আজাদী প্রতিবেদন | শুক্রবার , ২৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ at ৮:০৫ পূর্বাহ্ণ

নগরীর আকবরশাহ থানার পর্ণোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনের একটি মামলায় এক শিক্ষানবিশ আইনজীবীসহ পাঁচ নারীকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। তারা হলেন, বায়েজিদের রুপা আক্তার, টাইগার পাসের কামরুন নাহার তারা, শামসুন্নাহার মুক্তা, আকবরশাহ’র সুমাইয়া আক্তার ও উর্মি আক্তার। এদের মধ্যে রুপা আক্তারের সাথে এক বছর বয়সী কন্যা শিশু ও কামরুন নাহার তারার সাথে পাঁচ মাস বয়সী দুগ্ধপোষ্য ছেলেও রয়েছে। তাদেরকেও কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

গতকাল চট্টগ্রামের মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. সালাউদ্দিন এ আদেশ দেন। এর আগে গ্রেপ্তারপূর্বক শিক্ষানবিশ আইনজীবীসহ পাঁচ নারী ও তাদের সাথে থাকা দুই শিশুকে আদালতে হাজির করে কারাগারে পাঠানোর আবেদন করা হয়। অন্যদিকে আসামি পক্ষে জামিন চেয়ে আবেদন করা হয়।

আকবরশাহ থানার জিআরও আহসান হাবিব আজাদীকে বলেন, আসামিদের মধ্যে দুজনের শিশু সন্তান রয়েছে। নেয়ার মতো কেউ না থাকায় মায়ের সাথে তারাও কারাগারে থাকবে। আদালতসূত্র জানায়, আসামিদের মধ্যে শামসুন্নাহার মুক্তা একজন শিক্ষানবিশ আইনজীবী। কামরুন নাহার রেলওয়ের কর্মচারী। মামলার বাদী প্রীতি আচার্য্যও একজন শিক্ষানবিশ আইনজীবী বলে জানা গেছে। তবে তার বিষয়ে সত্যতা যাচাই করা সম্ভব হয়নি। গত ১৮ জানুয়ারি প্রীতি আচার্য্য আকবরশাহ থানায় পর্ণোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনের বিভিন্ন ধারায় গ্রেপ্তার পাঁচ নারীর বিরুদ্ধে মামলাটি দায়ের করেন। মামলার এজাহারে বলা হয়, প্রীতি পোর্ট সিটি ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে এলএলএম (মাস্টার্স) এ পড়াশুনায় আছেন। ইতিপূর্বে তিনি একজন মডেল ছিলেন। ছাত্রলীগের রাজনীতি করেন। গত ৭ জানুয়ারির সংসদ নির্বাচনে চট্টগ্রাম৪ এ তাকে সমন্বয়ক টিমের সদস্য নির্বাচিত করে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ। সেই অনুযায়ী তিনি কাজ শুরু করেন। কিন্তু আসামিরা তা মেনে নিতে পারেননি। প্রতিহিংসা পরায়ণ হয়ে বন্ধু, পরিচিতজনদের সাথে তোলা ছবি সংগ্রহ করে বিভিন্ন অ্যাপসের মাধ্যমে অশ্লীল ছবি বানিয়ে গত ২ জানুয়ারি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রচার করা হয়।

পূর্ববর্তী নিবন্ধপানির ট্যাংকের ভেতর থেকে বের হল একে একে পাঁচ চোর!
পরবর্তী নিবন্ধরিটার্ন না দেওয়া বাড়িমালিকদের খুঁজতে অভিযান চালাবে এনবিআর