মামার বাড়িটা সেই আগের মতো নেই। ঈদ আসলে সালামির জন্য এখন আর মামার পিছু নেই না। নানা নেই, নানী আছে। চৌকাঠ গুলোও সেই আগের মতোই ঠাঁই দাঁড়িয়ে আছে। নানীর পানের বাটাটাও আছে। কিন্তু, নানীর কোমরের চাবির গুছাটা নেই! কর্তৃত্বের অবসান ঘটেছে। চাবির গুছাটা এখন মামীর আঁচলে থাকে। এখন, নানীর পাশে গিয়ে বসলে, বালিশ এগিয়ে দেয় পাশে শুতে। গল্প করি। গল্প শেষে হাসাহাসি করি। নানা ছিলেন সাদামাটা। দুধের মতো সাদা। নিজে ভেজাল করতেন না, ভেজাল পছন্দও করতেন না। বাবার আদর্শের শ্বশুর। এখনো অনেক মিস করেন। দুজন মিলে সিগারেট খেতেন, একসাথে। আব্বা এখন সিগারেট খাওয়া ছেড়ে দিয়েছেন। নানা পরপারে আছেন। নানার জন্য মা এখনো চোখের জল ফেলেন।
এখনো বর্ষার ভরা মৌসুমে, মামাতো-খালাতোদেরকে নিয়ে জল ঘোলা করার গল্প গুলো মিস করি। বাদলের দিনে, হাঁটু পানিতে নেমে ছোট মাছ ধরতাম। মাছ না পেলে হইহুল্লোড় করতাম। বাড়ি ফিরে নানীর বকুনি খেতাম। তারপর লাল লংকা দিয়ে ভাত খেতাম। মামার বাড়ির সবকিছু আগের মতোই আছে। নানীর পানের বাটাটাও আছে, নানী এখনো পান খেয়ে মুখ লাল করে। কিন্তু, ‘আমার মাঝে নেই সেই পুরোনো দিনের অনুভূতি।’