কক্সবাজারে খুলনা সিটি কর্পোরেশনের কাউন্সিলর গোলাম রব্বানী টিপু হত্যার ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। নিহতের ভগ্নিপতি ইউনুস আলী বাদি হয়ে গতকাল শুক্রবার অজ্ঞাতনামা আসামির বিরুদ্ধে মামলাটি দায়ের করেন। এ ঘটনায় দুজনকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করছে র্যাব। তবে পুলিশ কোনো আসামি গ্রেপ্তার করতে পারেনি। গতকাল বিকালে নিহত টিপুর মরদেহ খুলনায় নিয়ে গেছেন স্বজনেরা। কক্সবাজার সদর মডেল থানার ওসি মো. ইলিয়াস খান জানান, গতকাল দুপুরে নিহত রব্বানীর ভগ্নিপতি ইউনুস আলী মামলাটি দায়ের করেন। তবে এতে কারো নাম উল্লেখ করা হয়নি। আসামি অজ্ঞাত রাখা হয়েছে এবং ময়নাতদন্ত শেষে স্বজনের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে। বিকাল ৪টার দিকে এ্যাম্বুলেন্সে করে মরদেহ খুলনায় নিয়ে গেছেন স্বজনেরা। এ ঘটনায় পুলিশের কাছে এখনো কেউ আটক হয়নি বলে জানান ওসি ইলিয়াস খান। তিনি বলেন, কে বা কারা এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে তার কোনো ক্লু এখনো উদ্ধার করা যায়নি। তদন্ত চলছে।
নিহতের ভগ্নিপতি ইউনুস আলীসহ সাংবাদিকদের বলেন, এমন নির্মম ঘটনা আমাদের জন্য অপ্রত্যাশিত ছিলো। আমাদের পুরো পরিবার শোকে দিশেহারা। আমরা এ হত্যাকাণ্ডের বিচার চাই।
মরদেহের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন করা কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডা. সাদেক জানান, একটি গুলি মাথার ডান পাশ থেকে ঢুকে বাম পাশে বেরিয়ে গেছে। এছাড়া শরীরের আর কোথাও আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। বাকিটা বিস্তারিত জানা যাবে ফরেনসিক প্রতিবেদনের পর। এ ঘটনায় র্যাব–১৫ এর হেফাজতে রয়েছে খুলনার ১৬ নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর শেখ হাসান ইফতেখার ওরফে চালু ও নিহত রব্বানীর বন্ধু মেজবাহ উদ্দিন ভুট্টু। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন র্যাব–১৫ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল এইচ এম সাজ্জাদ হোসেন।
নিহত গোলাম রব্বানী টিপু গত বৃহস্পতিবার সকাল ৭টায় কক্সবাজারের একটি হোটেলে ওঠেন। রাত ৮টা ২০ মিনিটের দিকে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত সংলগ্ন হোটেল সি–গালের সামনের ফুটপাতে দুর্বৃত্তের গুলিতে নিহত হন গোলাম রব্বানী টিপু।