মানুষ সৃষ্টির উদ্দেশ্য অনুধাবন, যথার্থ বোধোদয় ও আত্মোপলব্ধি

রাজিউর রহমান বিতান | রবিবার , ১৯ মে, ২০২৪ at ১০:২০ পূর্বাহ্ণ

আমরা অনেকেই নানারকম জটিলতার মধ্যে জীবনযাপন করছি! যেগুলো বাইরে থেকে বোঝা যায় না এমনকি কারো সাথে শেয়ারও করা যায় না। বেঁচে থাকাটা অনেকের জন্য অনেক আনন্দের। আবার আমাদের অনেকের জন্য বেঁচে থাকাটা অনেক বড় ট্র্যাজেডি এবং সংগ্রামের….!

দাবা খেলা এমন একটি খেলা যে খেলাটি শেষ হলে রাজা, মন্ত্রী, ঘোড়া, কিস্তি, হাতি এবং সৈনিকগুলোকে এক বাক্সেই ঢুকে যেতে হয়!

আমাদের জীবনটাও অনেকটা সেরকম। একেকজনের কাছে সুখ এবং দুঃখ একেক আঙ্গিকে ধরা দেয়। কিন্তু আমাদের অনেকের বোধোদয় হয়না যে দিনশেষে বড়ছোট সবাইকে ফিরতে হবে নির্ধারিত গন্তব্যে। মৃত্যুর পর যেমনটি হবে…! জীবনের অন্যরকম মানেও থাকে মানুষ ভেদে, দৃষ্টিভঙ্গী ভেদে! যেটা প্রায়শঃ প্রকাশ্যে আসে না অন্তরালে থেকে যায়! অথচ মানুষ নিজ স্বার্থে জগতটাকে কলুষিত করতে দ্বিধা করে না! মানুষ জানে সে অমর নয়, অবিনশ্বর নয়! অথচ অমরত্ব না পাওয়া এই মানব চরিত্র এমনভাবে জীবনকে সাজাতে চায় যেন সে কখনো মরবেই না! যথার্থ বোধোদয় থাকলে মানুষ কখনোই হীনতা, নীচতা, শঠতা, প্রতারণা, বেঈমানি মোনাফেকি, সুবিধাবাদ, অন্যের হক আত্মসাৎ, দুর্নীতি, সংকীর্ণতা আর স্বার্থপরতা আঁকড়ে থাকতে পারতো না! মৃত্যুর পর ইহজীবনের রেখে যাওয়া খারাপগুলো তাকে ভোগাবে। অপরদিকে পরোপকার, ভালোবাসা, সততা, সদ্ব্যবহার, ন্যায়পরায়ণতা, সত্য ও সুন্দর আচরণ, সৎ উপলব্ধিসহ সকল ভালোগুলো তাকে শান্তি ও স্বস্তি দিবে। এই বোধটুকু আত্মস্থ করতে পারাটা সবচেয়ে বড় অর্জন, অনেক বড় প্রাপ্তি। যেটা মানুষকে জীবনেও মৃত্যুর পরেও সঠিক গন্তব্যে পৌঁছে দিতে পারে। যদি স্রষ্টার শেষ বিচারে জয়ী হতে চাই তবে এটাই সঠিক আচরিত পন্থা ও আত্মোপলব্ধি। মানব জন্মের সার্থক পরিণতি মানুষ সৃষ্টির উদ্দেশ্য অনুধাবন এবং এ সম্পর্কে মানুষের যথার্থ বোধোদয় ও আত্মোপলব্ধি। এতেই সম্ভব সংকটমোচন এবং পরমাত্মার সান্নিধ্যলাভ। এতেই পরম শান্তি, পরম মুক্তিলাভ!

পূর্ববর্তী নিবন্ধমায়া
পরবর্তী নিবন্ধদেয়ালের শিক্ষা