সব প্রস্তুতি শেষে সকাল থেকে চলছিল রান্নাবান্নার আয়োজন। কিশোরী কনের বাড়ির সবাই বরপক্ষের লোকজনের অপেক্ষায়। কিন্তু বর আসার আগেই চলে এলেন মানিকছড়ি উপজেলা নির্বাহী অফিসার তাহমিনা আফরোজ ভূঁইয়া। ঘটনাস্থলে পৌঁছে তিনি বাল্যবিয়ে বন্ধ করেন। কিশোরীর মায়ের কাছ থেকে মুচলেকা নেওয়া হয়। গতকাল শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে খাগড়াছড়ির মানিকছড়ি উপজেলার বাটনাতলী ইউনিয়নের ঢাকাইয়া শিবির নবীনগর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা জানান, নবীনগর এলাকার সুফিয়ার বাড়িতে তার মেয়ের বাল্যবিয়ের আয়োজন চলছিল। গতকাল সকাল থেকে দুপুর নাগাদ বরপক্ষের অপেক্ষায় কনেপক্ষের লোকজন। বাল্যবিবাহের খবর পেয়ে থানা পুলিশ সদস্যদের নিয়ে বিয়ে বাড়িতে হাজির হন ইউএনও তাহমিনা আফরোজ ভূঁইয়া। পরে কাগজপত্র দেখে নিশ্চিত হন মেয়ের বয়স পনেরো। এরপর ইউএনও সেই বিয়ে বন্ধ করেন এবং ১৮ বছরের পূর্বে বিয়ে দেবে না মর্মে মেয়ের মায়ের কাছ থেকে মুচলেকা নেওয়া হয়।
ইউএনও তাহমিনা আফরোজ ভূঁইয়া বলেন, গোপন খবরে দ্রুত সেখানে ছুটে যাই এবং মেয়ের বয়স পনেরো হওয়ায় বিয়ে বন্ধ করা হয়েছে। এ সময় বাল্যবিয়ে বন্ধে উপজেলা প্রশাসন কঠোর অবস্থানের কথা উল্লেখ করে সবার সহযোগিতা কামনা করে।