মানহানির মামলায় সাজা স্থগিত পার্লামেন্টে ফিরছেন রাহুল

| শনিবার , ৫ আগস্ট, ২০২৩ at ১১:৩৩ পূর্বাহ্ণ

মোদী’ পদবির মানহানি মামলায় ভারতের কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীকে সুরাটের দায়রা আদালতের দেওয়া দুই বছরের সাজা স্থগিত করেছে সুপ্রিম কোর্ট। এর মধ্য দিয়ে তিনি আবার পার্লামেন্টে ফেরা এবং আগামী বছর নির্বাচনে লড়ার যোগ্য হলেন। ‘মোদী’ পদবি নিয়ে কটূক্তির অভিযোগে চার বছর আগে করা এক মানহানির মামলায় জড়িয়ে পড়েছিলেন রাহুল গান্ধী। ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনের আগে ওয়েনাড থেকে নির্বাচিত এমপি রাহুল কর্ণাটকের কোলারে এক জনসভায় পলাতক ব্যবসায়ী নীরব মোদী ও ললিত মোদীর সঙ্গে নরেন্দ্র মোদীর নামের মিল থেকে প্রধানমন্ত্রীকে কটাক্ষ করে মন্তব্য করেছিলেন। বলেছিলেন, “সব চোরের পদবি মোদী হয় কী করে?” রাহুলের সেই মন্তব্যের জেরেই তার বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করেন ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) বিধায়ক ও গুজরাটের সাবেক মন্ত্রী পুর্নেশ মোদী। চলতি বছর মার্চেই গুজরাটের সুরাট আদালত ওই মামলায় রাহুলকে দোষী সাব্যস্ত করে এবং দুই বছরের কারাদণ্ডের সাজা দেয় এবং তিনি লোকসভায় অযোগ্য ঘোষিত হন। সাজায় স্থগিতাদেশ চেয়ে একের পর এক আদালতের দ্বারস্থ হচ্ছিলেন রাহুল। তার শেষ ভরসা ছিল সুপ্রিম কোর্ট। এবার সুপ্রিম কোর্টের রায়ে আপাতত স্বস্তি পেলেন তিনি। খবর বিডিনিউজের।

গতকাল শুক্রবার সুপ্রিম কোর্টের পক্ষ থেকে মোদী পদবি মানহানি মামলায় রাহুল গান্ধীর সাজার রায়ের শুনানিতে বলা হয়, এ মামলায় রাহুল গান্ধীকে সর্বোচ্চ ২ বছর সাজা কেন দেওয়া হয়েছে তার যথেষ্ট কারণ এবং ভিত্তিও দেখানো হয়নি। বিচারক বলেছেন, দায়রা আদালতে আপিল বিচারাধীন না হওয়া পর্যন্ত আমরা রাহুলের দোষী সাব্যস্ততা স্থগিত রাখছি। একইসঙ্গে নরেন্দ্র মোদীর ‘মোদী’ পদবি নিয়ে যে মন্তব্য করার অভিযোগ রাহুলের বিরুদ্ধে উঠেছে, সেরকম মন্তব্য করার সময় তার (রাহুল) আরও বেশি সতর্ক থাকা উচিত ছিল বলেও জানিয়েছে শীর্ষ আদালত। সুপ্রিম কোর্টের আদেশের পর রাহুল গান্ধীর কাছ থেকে তাৎক্ষণিক কোনও প্রতিক্রিয়া আসেনি। তবে কংগ্রেস পার্টির সদস্যরা নয়াদিল্লির দলীয় দপ্তরে স্লোগান দিয়ে, মিস্টি বিতরণ করে আনন্দ উদযাপন করেছে। পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষের কংগ্রেস নেতা অধীর রঞ্জন চৌধুরি বলেছেন, তিনি শুক্রবারেই রাহুলকে লোকসভায় পুনর্বহাল করার জন্য স্পিকারের কাছে লিখিত আবেদন জানাবেন।

পূর্ববর্তী নিবন্ধপাকিস্তানে সংসদ ভেঙে দেওয়ার তারিখ জানালেন শাহবাজ
পরবর্তী নিবন্ধরাখে আল্লাহ, মারে কে?