চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের আন্দরকিল্লা পুরনো নগর ভবনের প্রশাসক দপ্তরে গণসাক্ষাতকার গতকাল সোমবার অনুষ্ঠিত হয়। সাক্ষাতপ্রার্থীদের মধ্যে ছিলেন চসিকের অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা-কর্মচারী, মহল্লা কমিটি, কো-অপারেটিভ সোসাইটির নেতৃবৃন্দ, সাহায্যপ্রার্থী গরীব অসহায় দুস্থ জনসাধারণ। এ সময় প্রশাসকের একান্ত সচিব মুহাম্মদ আবুল হাশেম উপস্থিত ছিলেন।
নগরবাসীকে সাক্ষাত প্রদানকালে চসিক প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন বলেন, আমি সীমিত সময়ের মধ্যে চেষ্টা করছি কর্পোরেশনের অবসরে যাওয়া কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ভবিষ্যত তহবিলের টাকা অগ্রাধিকার তালিকা অনুযায়ী কিস্তিতে পরিশোধের। ঠিকাদারদের বকেয়াও আছে। সব দেনা এক সাথে দিতে গেলে কর্পোরেশনের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মাসের বেতন-ভাতা পরিশোধ করা যাবে না। এখন আবার করোনা মহামারীর দ্বিতীয় ঢেউয়ের ধাক্কা। সব মিলিয়ে প্রতিকূল পরিস্থিতিতে কর্পোরেশনের সার্বিক কার্যক্রম চালিয়ে নিয়ে যাচ্ছি। তারপরও নগরবাসীর ভালোবাসাকে বিবেচনায় নিয়ে চট্টগ্রাম নগরীকে পরিচ্ছন্ন মানবিক শহরে পরিণত করতে আমার প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে।
সাক্ষাতপ্রার্থীদের মধ্যে শুলকবহর মহল্লা সমাজ কল্যাণ সমিতির নেতৃবৃন্দ তাদের ওয়ার্ডের জলাবদ্ধতা নিরসনে প্রশাসকের সহযোগিতা কামনা করেন। মহল্লা সমিতির নেতৃবৃন্দ তাদের ওয়ার্ডের ডেকোরেশন গলি থেকে শুরু হওয়া খালটি অবৈধ দখলের কারণে প্রস্থে ৮ ফুট থেকে ৩ ফুটে নেমে এসেছে বলে প্রশাসককে অবহিত করলে, তিনি তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিতে মুঠোফোনের মাধ্যমে কর্পোরেশনের পরিচ্ছন্ন ও প্রকৌশল বিভাগ, সংশ্লিষ্ট প্রকৌশলী ও কর্মকর্তাদের ঘটনাস্থলে সরেজমিনে পরিদর্শন করে ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দেন। শুলকবহর মহল্লার সাক্ষাত প্রার্থীদের মধ্যে ছিলেন উপদেষ্টা শাহজাহান সুফি, এস এম হাশেম, মো. শাহজাহান, মো. ইলিয়াছ, আকতার ফারুক, মো. সরওয়ার উদ্দীন, মো. আইয়ুব, মো. রেজা সুজা, গিয়াস উদ্দিন, হাজী সরওয়ার্দী প্রমুখ। এ সময় ইসলামাবাদ কো-অপারেটিভ সোসাইটির নেতৃবৃন্দ তাদের ঝুঁকিপূর্ণ ভবন ভাঙতে প্রশাসককে অনুরোধ করলে তিনি তা নিয়ে সিডিএর সাথে যোগাযোগ করতে বলেন। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।