মিয়ানমারের রাখাইনের জন্য মানবিক করিডোর দেওয়ার যে নীতিগত সিদ্ধান্ত বাংলাদেশ সরকার নিয়েছে, সেটি সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বসে নেওয়া উচিত ছিল বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। গতকাল সোমবার বিকালে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার জগন্নাথপুর ইউনিয়নের খাগড়াবাড়ি শেখ বাজারে গণসংযোগ কর্মসূচিতে তিনি এ মন্তব্য করেন। খবর বাংলানিউজের।
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন গত রোববার তার মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের জানান, গৃহযুদ্ধে পর্যুদস্ত রাখাইন রাজ্যে মানবিক সহায়তা পৌঁছে দিতে বাংলাদেশের কাছে জাতিসংঘ করিডোর দেওয়ার অনুরোধ করেছিল। জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে শর্তসাপেক্ষে মিয়ানমারের বেসামরিক লোকজনের জন্য করিডোর দেওয়ার নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ।
এ প্রসঙ্গ টেনে মির্জা ফখরুল বলেন, আমরা আরেকটা গাজায় পরিণত হতে চাই না। আর যুদ্ধ দেখতে চাই না। হিউম্যানিরিটিয়ান প্যাসেজের (মানবিক করিডোর) সিদ্ধান্ত সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বসে নেওয়া উচিত ছিল। সংস্কার–নির্বাচন প্রসঙ্গে বিএনপি মহাসচিব বলেন, সরকারের প্রধান দায়িত্ব একটা নির্বাচন করা। সবাই মিলে আমরা অধ্যাপক ইউনূস সরকারকে দায়িত্ব দিয়েছি। তিনি অনেক জ্ঞানী ও নোবেলবিজয়ী মানুষ, তবে রাজনীতিবিদ নন। গত ১৫ বছর দেশের মানুষ ভোট দিতে পারেনি। এখন একটা সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। দেশের স্বার্থে, মানুষের নিরাপত্তা স্বার্থে নির্বাচন দেওয়া দরকার। সংস্কারের পাশাপাশি নির্বাচনের ব্যবস্থা করা উচিত।
মির্জা ফখরুল বলেন, আওয়ামী লীগ দেশটাকে জাহান্নামে পরিণত করেছিল। হামলা–মামলা, গুম, খুন, নির্যাতনসহ কোটি কোটি টাকা লুট করেছে তারা। দেশের মানুষ অস্থির হয়ে জীবন দিয়ে রক্ত দিয়ে হাসিনাকে উৎখাত করেছে। গণ–অভ্যুত্থানের পরে খালেদা জিয়া হাসপাতাল থেকে একটি বাণী দিয়েছিলেন। তিনি বলেছিলেন, অনেক নির্যাতন হয়েছে, রক্তপাত ঘটেছে। আসুন সব প্রতিহিংসা বাদ দিয়ে আমরা একটা সুন্দর বাংলাদেশ গড়ি। সেই কথার সঙ্গে সুর মিলিয়ে মির্জা ফখরুল সবাই মিলে সুন্দর একটি বাংলাদেশ গড়ে তোলার আহ্বান জানান।