আমাদের মহেশখালী বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্বে অবস্থিত ৩৮৮.৫০ বর্গ কি.মি. এর একটি ছোট পাহাড়ি দ্বীপ হলেও এই দ্বীপের নাম কারো কাছে অজানা নয়। দেশের লবণের সিংহভাগ চাহিদা এই দ্বীপের কৃষকদের মেহনতের মাধ্যমে পূরণ করা হয়। তাছাড়া বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনকারী কয়েকটি পণ্যের সিংহভাগ আমাদের মহেশখালী থেকেই আসে। হিন্দুদের ধর্মীয় তীর্থ স্থান ‘আদিনাথ মন্দির’ মহেশখালীতে হওয়ায় দূর দূরান্ত থেকে হিন্দুরা প্রতিবছর তীর্থে অংশ নিতে বিভিন্ন স্থান থেকে অশ্বের মতো ছুটে যায়। এইসব কারণে দৈনন্দিন কঙবাজার থেকে মহেশখালীতে নৌকা যোগে হাজারও যাত্রী আসা যাওয়া করে। সমপ্রতি ২০১৭ সালের ১৭ এপ্রিল মাননীয় মন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ স্যারের উপস্থিতিতে ভিডিও কনফারেন্স এর মাধ্যমে আপনি মহেশখালীকে বাংলাদেশের একমাত্র ‘ডিজিটাল আইল্যান্ড’ ঘোষণা করেছিলেন। এবং ইতোমধ্যে বেশ কিছু উন্নয়নমুলক কাজও আপনি হাতে নিয়ে আমাদের এই ছোট দ্বীপে বাস্তবায়নের জন্য কাজ শুরু করে দিয়েছেন। কিন্তু দুঃখের বিষয় হলো, আমরা দেশের উন্নয়নের জন্য হাজার হাজার একর জমি অধিগ্রহণে দিয়ে দিলেও আমাদের বহুদিনের দাবি ‘মহেশখালী টু কঙবাজার সেতু’ এখনো বাস্তবায়ন হয়নি। এই নদীতে নৌ দুর্ঘটনায় ১৯৭১ সালের পর থেকে প্রায় অর্ধশতাধিক মানুষ আমরা হারিয়েছি। এমনকি বর্তমান সাংসদ জনাব আশেক উল্লাহ রফিক সাহেবের আব্বু জনাব এডভোকেট রফিক সাহেবকেও ১৯৮৪ সালের ৬ মে এই নৌ দুর্ঘটনায় হারিয়েছি। ২০১৮ সালে গোরকঘাটার ছেলে ড্রাইবার আনিসকেও এই নৌ দুর্ঘটনায় হারিয়েছি আমরা। একই বছর আমার একজন ছোট চাচাতো ভাইকেও হারিয়েছি। চলতি বছরের সেপ্টেম্বর মাসের ২৯ তারিখে চট্টগ্রাম কলেজে অধ্যয়নরত তরুণ মেধাবী ছাত্র তোফায়েল আহমেদকে আমরা এই নদীতে নৌ দুর্ঘটনায় হারিয়েছি। তখন থেকে সব মহলে শোকের ছায়া ও সেতুর দাবি জোরালোভাবে নেমে আসলেও এখনো কোন কার্যকরী পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে সবিনয় অনুরোধ এই যে, আপনি দ্রুত একটি ব্যবস্থা নিয়ে আমাদেরকে মহা বিপদ থেকে উদ্ধার করবেন আশা করছি।
হেদায়ত উল্লাহ, শিক্ষার্থী- চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়।