ইউনিভার্সাল জিনিয়াস লিওনার্দো দ্যা ভিঞ্চি বলেছেন ‘simplicity is the ultimate sophistication (ভাবার্থঃ সরলতাই চূড়ান্ত পরিশীলন)’। এই জটিল কুটিল বিশ্বে সরলতাই প্রকৃতপক্ষে পরিশীলন বয়ে আনে। এই মৌলিক ধারণাটা একটি সর্বজনীন নীতি হিসাবে স্বীকৃত। ব্যক্তিজীবন ও কর্মক্ষেত্রের বিভিন্ন বিষয়াদি সহজ রাখা, এবং সরলতা বজায় রেখে চলতে পারা সত্যিই স্মার্ট। কোন ব্যক্তি যখন সরলতাকে ধারণ করে অন্যকে আলিঙ্গন করে তখন তা অনেক ভালো ফল নিয়ে আসে। সরলতা মনের সুস্থতা দান করে। এতে দুশ্চিন্তা দূর হয়। নিজের মধ্যে আত্নসম্মানবোধ এবং ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি জাগ্রত হয়। সরলতা থেকে জন্মায় মহানুভবতা ও উদারতা। কোন বিষয় যত সরল তা নির্বাহও ততটাই সহজ। এতে জীবনকে উপভোগ করা যায়। তবে সরলতা অর্জন সহজ বিষয় নয়। এতে চিন্তাশক্তি, সৃজনশীলতা, বিষয়ভিত্তিক ও অন্তর্নিহিত জটিলতা সম্যক উপলদ্ধি করতে হন। তাই রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বলেছেন, ‘সমস্ত জ্ঞান ও বিজ্ঞানকে সম্পূর্ণ পরিপাক করিয়া স্বভাবের সাথে একীভূত করিয়া লইবার অবস্থাকে বলে সরলতা।’ এই আপ্ত বাক্যগুলো সদ্য সমাপ্ত কার্ডিকন চট্টগ্রাম ২০২৪ এর উদ্বোধক ও প্রধান অতিথি গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যামন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন মহোদয়ের ক্ষেত্রে সর্বোতভাবে প্রযোজ্য।
হৃদরোগ বিশ্বের এক নম্বর ঘাতক ব্যাধি। হৃদরোগের প্রকোপ বাংলাদেশসহ দক্ষিণ এশিয়ার দেশ সমূহে দ্রুত বাড়ছে। আবার বাংলাদেশে চট্টগ্রাম অঞ্চলে এই প্রকোপ সর্বোচ্চ বলে প্রতীয়মান। খাদ্যাভ্যাস, জীবনযাত্রাসহ আরো কিছু বিশেষ দিক এই উচ্চ প্রকোপ এর জন্য দায়ী করা হয়।
হৃদরোগ চিকিৎসা ও প্রতিরোধে উন্নত প্রযুক্তির ব্যবহার, ওষুধ ও ইন্টারভেনশনাল চিকিৎসা এবং এই রোগের বিভিন্ন দিক নিয়ে গবেষণাকর্ম উপস্থাপনে রাজধানী ঢাকায় বছরের বিভিন্ন সময়ে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক জাতীয় ও আন্তর্জাতিক কনফারেন্স অনুষ্ঠিত হয়। কিন্তু চট্টগ্রামে এ ধরনের আয়োজন ছিল অনুপস্থিত। তা বিবেচনা করে, বিশেষত এতদঅঞ্চলে হৃদরোগের উচ্চ হারকে গুরুত্ব দিয়ে গত ২০২৩ সালে চট্টগ্রাম ভিত্তিক হৃদরোগ সম্পর্কিত দুই সংগঠন বাংলাদেশ হাইপারটেনশান এন্ড হার্ট ফেইলিউর ফাউন্ডেশন এবং চট্টগ্রাম সোসাইটি অব ইন্টারভেনশনাল কার্ডিওলজি আয়োজন করে কার্ডিকন চট্টগ্রাম ২০২৩। তারই ধারাবাহিকতায় এ বছর গত ৫–৬ জুলাই হোটেল রেডিসন ব্লুতে অনুষ্ঠিত হয় ২য় আন্তর্জাতিক হৃদরোগ বিষয়ক কনফারেন্স কার্ডিকন চট্টগ্রাম ২০২৪। মাননীয় মন্ত্রী সেন স্যারকে এই অনুষ্টানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত থেকে অনুষ্ঠান উদ্বোধনের আমন্ত্রণ জানাতে আমি স্বয়ং এবং আয়োজক প্রতিষ্ঠানদ্বয়ের নির্বাহী কমিটির পক্ষে ডা. আশীষ দে, ডা. আনিসুল আউয়াল, ডা. রিজোয়ান রেহান, এবং ডা. রাজীব দে চট্টগ্রাম থেকে রওনা হই। জাতীয় হৃদরোগ ইন্সষ্টিটিউট এর উপ–পরিচালক ডা. কাজল কুমার কর্মকার ও সহঃ অধ্যাপক ডা. বিজয় কুমার দত্ত আগেই মন্ত্রী মহোদয়ের সাথে সাক্ষাতের প্রাক অনুমতি নিয়ে রেখেছিলেন। গত ৪ জুন মঙ্গলবার আমরা যথাসময়ে মন্ত্রী মহোদয় সেন স্যারের ঢাকাস্থ বেইলী রোডের সরকারি বাসভবনে উপস্থিত হই। নিরাপত্তায় নিয়োজিত ব্যক্তিরা আমাদের মধ্যে একজনকে ভিতরে প্রবেশ করতে দিতে চাইলে সেন স্যার নির্দেশ দেন, ‘তারা চট্টগ্রাম থেকে এসেছেন, সবাই আসবে।’ মন্ত্রী মহোদয় দর্শনার্থী কক্ষে এক সোফায় আসীন। আমরা ছাড়াও আরো অনেক দর্শনার্থী। যে যার যার আর্জি নিয়ে এসেছেন। উনি সবার কথা মনোযোগ সহকারে শুনেছেন। আমরা উনাকে অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানোর সাথে সাথে তিনি সম্মতি জ্ঞাপন করেন। উনার সহজ সরল স্বীকারোক্তি ‘চট্টগ্রামের আমন্ত্রণ আমি ফিরিয়ে দিতে পারি না। এই স্থানটির সাথে আমার আবেগ জড়িয়ে রয়েছে।’ উল্লেখ্য, সেন স্যার চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের ১১তম ব্যাচের শিক্ষার্থী। তিনি আরো উল্লেখ করেন, ‘এই চট্টগ্রাম আমাকে ডাক্তার বানিয়েছেন। ডাক্তার হয়েছিলাম বলে আজ আমি মন্ত্রী।’ কি সহজ সরল উপলদ্ধি ও তার বহিঃপ্রকাশ। তিনি কনফারেন্সের রেজিষ্ট্রেশন ফরম গ্রহণ করেন ও আমন্ত্রণ পত্র হাতে নেন। পোস্টার সহ আমাদের সাথে ছবিতে অংশ নেন। আমাদের আপ্যায়ন করান। চট্টগ্রামে উনার সহপাঠীদের খোঁজ খবর নেন। মন্ত্রী মহোদয়ের এই সারল্য ও সর্ব সাধারণের সাথে মিলিত হবার দৃশ্য দেখে আমার মনে হলো তা বঙ্গবন্ধুর সময়ে ধানমন্ডির ৩২ নম্বরের বাড়িতে দর্শনার্থীদের জাতির পিতার সাথে সাক্ষাতের যে বর্ণনা পাওয়া যায় তার সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ। সহজতা ও সরলতার চর্চাই পরিশীলতা অর্জনের একমাত্র উপায় তা তখন আমি হৃদয়ঙ্গম করি। বিভিন্ন আলাপচারিতা শেষে আমি আমার লেখা কার্ডিওলজি বই ও কয়েকটা বাংলা বই মন্ত্রী মহোদয়কে হস্তান্তর করি। কনফারেন্সে উনার যোগদানের সম্মতি লাভ করে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করে আমরা বিদায় নিই। ৫ জুলাই সরকারী গুরুদায়িত্ব এবং বিরূপ প্রাকৃতিক আবহাওয়া সত্ত্বেও তিনি যথাসময়ে অনুষ্ঠানে যোগ দিতে চট্টগ্রাম আসেন। আমরা উনাকে সন্ধ্যার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে নিয়ে আসতে আমরা চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজে পৌঁছাই। তিনি স্বভাব সুলভ সারল্যের সাথে অবস্থানকারী উনার সুযোগ্য পুত্র ডা. অনাবিলকে পরিচয় করিয়ে দিয়ে বলেন, ‘ও কি তোমাদের অনুষ্ঠানে যেতে পারবে?’ আমরা তাৎক্ষনিক ডা. অনাবিলকে অনষ্ঠানে স্বাগত জানিয়ে তথায় যোগদানের অনুরোধ জানাই। উদ্ভোধনী অনুষ্ঠানে মন্ত্রী মহোদয় তার বক্তৃতায় চিকিৎসা ক্ষেত্রে বিভিন্ন কর্মসূচি বিশেষত চিকিৎসকদের জন্য গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপ তুলে ধরেন। তিনি অদুর ভবিষ্যতে গৃহীত হতে খাওয়া, ‘চিকিৎসা সুরক্ষা’ আইনে চিকিৎসকদের অধিকার সংরক্ষণে তার সংকল্প পুনর্ব্যক্ত করেন। উপস্থিত চিকিৎসকদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ‘আমি চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ থেকে পাশ করা একজন চিকিৎসক আজ যদি স্বাস্থ্যমন্ত্রী হতে পারি তবে আপনাদের মধ্যে কেউ ভবিষ্যতে প্রধানমন্ত্রীও হতে পারেন।’ এভাবে তিনি চিকিৎসকদের অনুপ্রাণিত করেন। এটাও তার সারল্যেরই বহিঃপ্রকাশ তা বলাই বাহুল্য। চিকিৎসদের উদ্দেশ্যে তিনি আরো বলেন, ‘ আমি আপনাদেরই একজন। চিকিৎসা সেবা প্রদানের ক্ষেত্রে যেকোন অসংগতিতে চিকিৎসক সমাজের সদস্য হিসাবে আমি বিব্রত হই। তাই আপনারা আপনাদের স্বদায়িত্ব সুচারুভাবে পালন করুন। আপনাদের সবধরনের সমস্যা সমাধানে আমি সার্বক্ষণিক আছি।’ এভাবে সরল ও সাবলীলভাবে তিনি চিকিৎসা পেশা ও চিকিৎসকদের সাথে তার একাত্নতা ও সহমর্মিতা প্রকাশ করেন। উদ্বোধনী পর্ব শেষে ডিনার। খাবার টেবিলে তিনি বিভিন্ন আলাপচারিতায় মগ্ন হন। খোঁজ নেন চট্টগ্রামের সহপাঠী সহ ছাত্রজীবনে ঘনিষ্ট ব্যক্তিবর্গের। সহপাঠী ডা. ছৈয়দ দিদারুল আলম মাইজভান্ডারীর শারীরিক অবস্থার খোঁজ নেন। এছাড়া চট্টগ্রামের সিনিয়র কার্ডিওলজিস্টদের ও চমেক হাসপাতালের হৃদরোগ বিভাগে স্থাপিত ডা. ফজলে রাব্বি মুক্তিযোদ্ধা ব্লকে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের হৃদরোগের চিকিৎসা সম্পর্কে অবহিত হন। তিনি চট্টগ্রাম শহরে চলমান হৃদরোগের আধুনিক চিকিৎসা ব্যবস্থা, ক্যাথল্যাব ও হার্ট সার্জারী সম্পর্কে অবহিত হন। চট্টগ্রামে হৃদরোগের উচ্চ প্রকোপ ও তার কারণ সম্পর্কিত গবেষণাসহ এই কনফারেন্সে উপস্থাপিত বিভিন্ন বৈজ্ঞানিক উপস্থাপনা এবং বাইরের বিভিন্ন দেশ থেকে আগত হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ও ইন্টারভেনশনাল কার্ডিওলজিষ্টদের সম্পর্কে অবহিত হন। উনার জ্ঞাতার্থে জানানো হয় এই কনফারেন্সে ছয় শতাধিক হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ, কার্ডিয়াক সার্জন এবং হৃদরোগ চিকিৎসার সাথে সংশ্লিষ্ট সেবাদানকারী ব্যক্তিগণ উপস্থিত হন। দেশের স্বনামধন্য হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ, ইন্টারভেনশনাল কার্ডিওলজিষ্ট ও কার্ডিয়াক সার্জন ছাড়াও ভারত, সিঙ্গাপুর, আমেরিকা ও অন্যান্য দেশের ২০ জন হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ও ইন্টারভেনশনাল কার্ডিওলজিস্ট অংশগ্রহণ করেন। তাদের কেউ কেউ অনলাইলেন যুক্ত হয়ে বিভিন্ন পর্বে তাদের উপস্থাপনা ও বিজ্ঞ মতামত প্রদান করেন। এতে ঢাকা ও দেশের বাইরের ক্যাথল্যাব থেকে ইন্টারভেনশন পদ্ধতি সরাসরি সম্প্রচারিত হয়। এই কনফারেন্সে দুই দিনে প্রায় একশত বৈজ্ঞানিক উপস্থাপনা ও গবেষণা কর্ম উপস্থাপিত হবে বলে উনাকে জানানো হয়। ”step towards advancement” এই প্রতিপাদ্যকে ধারণ করে অনুষ্ঠিত এই কনফারেন্সে হৃদরোগ সনাক্ত করনে অত্যাধুনিক পরীক্ষা, ওষুধ ও ইন্টারভেনশনাল ও শল্যচিকিৎসা, ক্রমবর্ধমান হৃদরোগের অন্তর্নিহিত কারণ অনুসন্ধানে গবেষণা, হৃদরোগ শনাক্তকরণ, চিকিৎসা ও প্রতিরোধে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ব্যবহার ইত্যাদি বিষয় অন্তভূক্ত হয়। সকালে অনুষ্ঠান শুরু হয়, “হৃদরোগের চিকিৎসায় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ব্যবহার” শীর্ষক উপস্থাপনা দিয়ে। একদল বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের উপস্থিতিতে আমি নিজে এই প্রবন্ধ উপস্থাপন করি। হৃদরোগ চিকিৎসায় অগ্রগতি ও বিভিন্ন উন্নত প্রযুক্তির ব্যবহারের পাশাপাশি চট্টগ্রাম অঞ্চলের হৃদরোগের উচ্চ প্রকোপের কারণ অনুসন্ধানে করা খাদ্যভ্যাস ও হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি নিয়ে গবেষণা কম; এতদঅঞ্চলে উচ্চ রক্তচাপের বিভিন্ন দিক নিয়ে গবেষণা কর্ম কনফারেন্সের ২য় দিনে উপস্থাপিত হবে জেনে মন্ত্রী মহোদয় সন্তোষ প্রকাশ করেন। এছাড়া উদ্বোধনের আগের দিন অনুষ্ঠিত প্রি–কনফারেন্স ইকোকার্ডিওগ্রাফী ওয়ার্কশপ ও প্রশিক্ষণ কর্মশালা সম্পর্কে উনাকে অবহিত করা হয়। এতে বাংলাদেশ ও ভারতের প্রখ্যাত ইকোকার্ডিওগ্রাফী বিশেষজ্ঞগণ অংশগ্রহণ করেন। কনফারেন্সের সামগ্রীক বিষয় অবগত হয়ে তিনি যোগ দেন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে। উল্লেখ্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের ছাত্র থাকাকালীন এই কলেজের সাংস্কৃতিক পরিমণ্ডলে ছিল উনার অবাদ বিচরণ; ছিলেন সাংস্কৃতিক দলের অন্যতম সদস্য.০২১৪। তিনি এই মধুর স্মৃতি রোমন্থন করতে করতে সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা উপভোগ করেন। এতে সঙ্গীত পরিবেশন করেন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের বিভিন্ন পদে দায়িত্ব পালনকারী চিকিৎসক ও ঢাকা, চট্টগ্রামের হৃদরোগ বিশেষজ্ঞগণ। কনফারেন্সে যোগদানকারী বিশেষ অতিথি স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এবিএম খুরশিদ আলম মহোদয়ের সঙ্গীত পরিবেশন উপভোগে প্রধান অতিথিসহ উপস্থিত সবাই বিমোহিত হন। অনুষ্ঠানে নৃত্য পরিবেশন করেন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের ছাত্রছাত্রী ও চিকিৎসকগণ। তাদের পরিবেশনা শেষে বিমুগ্ধ প্রধান অতিথি তাদের সম্ভাষণ করেন এবং তাদের সাথে ছবি তুলেন। এ দেশের প্রখ্যাত ইন্টারভেনশনাল কার্ডিওলজিস্ট ডা. মোমেনুজ্জামান এর অনবদ্য বংশীবাদনে মন্ত্রী মহোদয় বিমোহিত হন এবং তার সাথে কোলাকুলি করে অভিনন্দন জানান। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান শেষে মন্ত্রী মহোদয় হোটেল লবিতে স্থাপিত বিভিন্ন স্টল ঘুরে দেখেন এবং আয়োজক সকলকে আন্তরিক ধন্যবাদ ও বিদায় সম্ভাষণ জানান। এভাবে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানসহ দুই দিনের বৈজ্ঞানিক অধিবেশন মাননীয় মন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেনের উপস্থিতিতে সর্বাঙ্গীন সার্থকতা লাভ করে।
লেখক: সভাপতি, কার্ডিকন চট্টগ্রাম ২০২৪ ও সাবেক বিভাগীয় প্রধান,
হৃদরোগ বিভাগ, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ।