মহেশখালীর মাতারবাড়ী কয়লা বিদ্যুৎ প্রকল্পের সহযোগী ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানে কর্মরত চুয়াডাঙ্গার শ্রমিক মো. ওসমান আলীর ভাড়া বাসা থেকে কথিত স্ত্রী সুমি আক্তারের ওড়না পেঁচানো লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল সোমবার সকাল ৮টায় উপজেলার মাতারবাড়ীর সিকদার পাড়ার ওয়ালিদ চৌধুরীর ভাড়া বাসায় এই ঘটনা ঘটে। নিহত সুমি আক্তার পিরোজপুর জেলার মঠবাড়িয়া থানার পাচশতকুড়া গ্রামের মো. আবুল কালামের মেয়ে।
এলাকাবাসীরা জানায়, মাতারবাড়ি কয়লা বিদ্যুৎ প্রকল্পের সহযোগী ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান পস্কোতে কর্মরত চুয়াডাঙ্গা জেলার আলমডাঙ্গার কুমারী এলাকার আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে ওসমান আলী গত ৮ মাস আগে সুমি আক্তারকে স্ত্রী পরিচয়ে মাতারবাড়ীর সিকদার পাড়ার ভাড়া বাসায় উঠেন।
জানা গেছে, তার প্রথম সংসারে স্ত্রী ও সন্তান রয়েছে। গত রোববার দিবাগত রাতে সুমির সাথে তার এ বিষয়ে ঝগড়া হয়। সকালে মাতারবাড়ী কয়লাবিদ্যুৎ প্রকল্পে চলে যান ওসমান। ৮টার দিকে বাসার দরজা বন্ধ দেখে বাড়িওয়ালার ভাই ইয়ার মো. চৌধুরী দরজায় কিছুক্ষণ ডাকডাকি করে সাড়াশব্দ না পাওয়ায় বিষয়টি স্থানীয় পুলিশ ফাঁড়িতে জানান। পরে পুলিশ, ইউপি মেম্বার আব্দুফ রউফ, মুজিবুর রহমান, মহিলা ইউপি সদস্য ছকুনতাজ ও নিহতের স্বামী ওসমান আলীসহ স্থানীয় কয়েকজন মিলে দরজা ভেঙে কক্ষে ঢুকে ঘরের বিমের সাথে ওড়না প্যাচানো ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেন।
এ বিষয়ে মাতারবাড়ী পুলিশ ক্যাম্পের আইসি সাখাওয়াত হোসেন বলেন, লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়েছে। নিহতের আত্মীয় স্বজনকে খবর দেওয়া হয়েছে। আপাতত একটি অপমৃত্যু মামলা হবে। এসময় স্বামী ওসমান আলীকে জিজ্ঞাসাবাদে নিহত সুমি আক্তার তার স্ত্রী বলে দাবি করলেও কোনো কাবিননামা বা আইডি কার্ড দেখাতে পারেননি। এলাকাবাসীরা জানান, ওসমান আলী মেয়েটিকে তার বাড়ি থেকে ভাগিয়ে এনে স্ত্রী পরিচয়ে ভাড়া বাসায় বসবাস করছিলেন।