রেলপথ মন্ত্রী মো. জিল্লুল হাকিম জাপানের রাষ্ট্রদূতকে বাংলাদেশের মাতারবাড়ি রেলওয়ে প্রকল্পে আর্থিক ও কারিগরি সহযোগিতা প্রদানের জন্য আহ্বান জানিয়েছেন। গতকাল রেলমন্ত্রীর সাথে রেল মন্ত্রণালয়ে তার অফিস কক্ষে বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা কিমিনোরির সাক্ষাৎকালে মন্ত্রী এই আহ্বান জানান।
এ সময় মন্ত্রী বলেন, মাতারবাড়িকে কেন্দ্র করে যে উন্নয়ন কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে তা সম্পন্ন হলে অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে যুগান্তকারী পরিবর্তন ঘটবে। এজন্য সরকার যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নয়নে জোর দিচ্ছে। মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্র বন্দর রেল নেটওয়ার্কে যুক্ত হলে বন্দর থেকে সরাসারি রেলপথে কন্টেনার পরিবহন করা যাবে এবং মাতারবাড়ি বন্দর থেকে বিভিন্ন স্থানে পণ্য পরিবহন করা যাবে।
রেলপথ মন্ত্রী বলেন, জাপান বাংলাদেশের বিশ্বস্ত ও পরীক্ষিত বন্ধু। বাংলাদেশ তার উন্নয়নের জন্য জাপানের কাছ থেকে অনেক বেশি পরিমাণে সরকারি উন্নয়ন সহায়তা পেয়ে থাকে। রেলমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু রেলওয়ে সেতুর কাজ দ্রুত গতিতে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য জাপান সরকারকে ধন্যবাদ জানান ও রেলওয়ের চলমান বিভিন্ন প্রকল্প নিয়ে আলোচনা করেন।
তিনি বলেন, জাপান বাংলাদেশের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক প্রকল্পে আর্থিক ও কারিগরি সহায়তা প্রদান করছে। বাংলাদেশ রেলওয়ের অনেক প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। ভবিষ্যতেও রেলওয়ের প্রকল্পে জাপানের কাজ করার সুযোগ রয়েছে।
জাপানের রাষ্ট্রদূত বলেন, বাংলাদেশের সাথে জাপানের সুসম্পর্ক বিদ্যমান রয়েছে। ভবিষ্যতে বিভিন্ন খাতে পারস্পরিক সহযোগিতার মাধ্যমে সেই সম্পর্কের আরো উন্নয়ন ঘটবে। তিনি বাংলাদেশ রেলওয়ের সাথে ভবিষ্যতে কাজ এবং আর্থিক সহযোগিতা প্রদান করার আশ্বাস দেন।
সাক্ষাৎকালে রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. হুমায়ুন কবির, বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক সরদার সাহাদাত আলীসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।