মাতারবাড়িতে কয়েক লাখ লোক সমাগমের আশা আ. লীগের

প্রধানমন্ত্রীর জনসভা গ্রামে-মহল্লায় নেতাকর্মীদের প্রস্তুতি

আহমদ গিয়াস, কক্সবাজার | বৃহস্পতিবার , ৯ নভেম্বর, ২০২৩ at ৫:৪৭ পূর্বাহ্ণ

রেল লাইন ও মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্রবন্দরসহ কয়েকটি মেগা প্রকল্প উদ্বোধনের জন্য আগামী ১১ নভেম্বর কক্সবাজারে আসছেন প্রধানমন্ত্রী। এ উপলক্ষে কক্সবাজার রেল স্টেশনে সুধী সমাবেশ এবং মহেশখালীর মাতারবাড়িতে জনসভার আয়োজন করা হচ্ছে। আর এ জনসভায় মহেশখালীকুতুবদিয়া ছাড়াও পাশ্ববর্তী উপজেলাগুলো থেকে কয়েক লাখ লোক সমাগমের প্রস্তুতি নিচ্ছে আওয়ামী লীগ।

প্রধানমন্ত্রীর কক্সবাজার সফর উপলক্ষে গত কয়েকদিন ধরে আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের মাঝে জোর প্রস্তুতি চলছে। এ উপলক্ষে গত সোমবার বিকালে জেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে একটি বর্ধিত সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভায় প্রধানমন্ত্রীর মাতারবাড়ির জনসভাকে জনসমুদ্রে পরিণত করতে সর্বাত্মক প্রস্তুতি নেওয়ার জন্য দলের নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানানো হয়।

প্রধানমন্ত্রীর কক্সবাজার সফর উপলক্ষে চলছে প্রশাসনের প্রস্তুতিও। ইতোমধ্যে প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ নিরাপত্তা টিমের সদস্যরা কঙবাজারে এসে পৌঁছেছেন।

কক্সবাজার পৌরসভার মেয়র ও জেলা আওয়ামী লীগ নেতা মাহবুবুর রহমান চৌধুরী বলেন, মহেশখালীর মাতারবাড়ির জনসভায় জেলার ৯ উপজেলার নেতাকর্মীদের ওয়ার্ড পর্যায়ে সর্বাত্মক প্রস্তুতি নেওয়ার জন্য বলা হয়েছে। এরই প্রেক্ষিতে বিভিন্ন উপজেলার নেতাকর্মীরা ইতোমধ্যে প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে।

মহেশখালীকুতুবদিয়া আসনের সংসদ সদস্য আশেক উল্লাহ রফিক বলেন, আমার নির্বাচনী এলাকায় প্রধানমন্ত্রীর জনসভা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। আমরা খুবই সৌভাগ্যবান। এখানে প্রধানমন্ত্রী দেশের বড় বড় প্রকল্পগুলো বাস্তবায়ন করছেন। এ জন্য দ্বীপ উপজেলা মহেশখালী ও কুতুবদিয়ার মানুষ প্রধানমন্ত্রীর কাছে চির কৃতজ্ঞ। তিনি বলেন, এ কৃতজ্ঞতাস্বরূপ আগামী শনিবার ১১ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রীর জনসভায় দুই দ্বীপ উপজেলার লক্ষ লক্ষ মানুষ ছাড়াও পাশ্ববর্তী উপজেলাগুলো থেকেও হাজার হাজার মানুষ যোগ দেবেন।

চকরিয়াপেকুয়া আসনের সংসদ সদস্য জাফর আলম বলেন, আমাদের পাশ্ববর্তী উপজেলায় অনুষ্ঠেয় প্রধানমন্ত্রীর জনসভায় আমার নির্বাচনী এলাকা থেকে অর্ধলক্ষাধিক মানুষ যোগ দেবেন বলে আশা করা যাচ্ছে। ইতোমধ্যে চকরিয়া, পেকুয়া ও মাতামুহুরী সাংগঠনিক উপজেলার ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড পর্যায়ের নেতাকর্মীরা সংগঠনের বর্ধিত সভা ডেকে প্রস্তুতি নিয়েছে।

এর আগে গত বছরের ৭ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রী সর্বশেষ কঙবাজার সফর করেন। ওই সময় তিনি কঙবাজারে ১৯৬৩.৮৬ কোটি টাকা ব্যয়ে ২৯টি প্রকল্পের উদ্বোধন ও চারটি নতুন প্রকল্পের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেন এবং ইনানীতে আটাশ দেশের চারদিনের নৌ মহড়ার উদ্বোধন করেন। টানা তৃতীয় মেয়াদে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হওয়ার পর সেটি ছিল তার প্রথম কঙবাজার সফর। এর আগে ২০১৭ সালের ৬ মে কঙবাজারটেকনাফ মেরিন ড্রাইভ উদ্বোধনকালে তিনি সর্বশেষ কঙবাজার সফর করেছিলেন।

গত বছর ৩১ মার্চ উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণ উদযাপন উপলক্ষে ‘উন্নয়নের নতুন জোয়ার, বদলে যাওয়া কঙবাজার’ প্রতিপাদ্য নিয়ে কঙবাজারে আয়োজিত একটি জাতীয় অনুষ্ঠানে কঙবাজারবাসীকে উদ্দেশ্য করে চট্টগ্রামের আঞ্চলিক ভাষায় বলেছিলেন, ‘তোঁয়ারার লাই আঁর পেট পুরে’।

পূর্ববর্তী নিবন্ধআবারো জাতীয় রপ্তানি ট্রফি লাভ করলো প্যাসিফিক জিন্স
পরবর্তী নিবন্ধআমার এলাকায় নারীরা দিনে ৩ বার লিপস্টিক লাগায়, স্যান্ডেল পাল্টায় চার বার : বাণিজ্য মন্ত্রী