দল থেকে অব্যাহতি পাওয়ার পরও নির্বাচনী মাঠ ছাড়ছেন না রাঙ্গুনিয়ায় আওয়ামী লীগের ৪ বিদ্রোহী প্রার্থী। আগামী ২৮ নভেম্বর অনুষ্ঠাতব্য ৫ ইউনিয়নের নির্বাচনের মধ্যে দলের বিদ্রোহী এই ৪ প্রার্থী। এসব প্রার্থী প্রতিদিন সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে প্রচারণা চালাচ্ছেন। সকল রাজনৈতিক দলের ভোট টানার চেষ্টা করছেন তাঁরা। আবার দলের অনেক নেতাকর্মী তাঁদের হয়ে কাজ করছেন।
রাঙ্গুনিয়ার ১৩ টি ইউনিয়নের মধ্যে ইতোমধ্যেই আওয়ামী লীগের ৮ চেয়ারম্যান প্রার্থী বেসরকারিভাবে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। বাকী ৫ ইউনিয়নে ৪ বিদ্রোহী প্রার্থী ও একটি ইউনিয়নে দলের সাথে লড়ছেন এক স্বতন্ত্র প্রার্থী। বিদ্রোহী প্রার্থী সবার প্রতীক আনারস। তারা আনারস প্রতীক নিয়ে মানুষের কাছে হাজির হচ্ছেন। চার বিদ্রোহী প্রার্থীর মধ্যে প্রচার প্রচারণায় এগিয়ে রয়েছেন বেতাগীর ইউপি চেয়ারম্যান প্রার্থী মো. শফিউল আলম। গত মঙ্গলবার বেতাগী ইউনিয়নে গণসংযোগ করেন তিনি।
দলীয় প্রার্থীর বিরুদ্ধে নির্বাচনে অংশ নেয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, তাঁর নির্বাচন কোনো দলীয় কিংবা প্রতীকের বিরুদ্ধে নয়, তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বিতা ব্যক্তির বিপক্ষে। জনগণকে শোষণ থেকে মুক্তি দিতে এবং বেতাগীকে সমৃদ্ধ ও মডেল ইউনিয়নে পরিণত করতেই তিনি প্রার্থী হয়েছেন। এলাকার মানুষের কাছ থেকে তিনি যথেষ্ট সাড়াও পাচ্ছেন। এদিকে বিদ্রোহীদের পাশাপাশি আওয়ামী লীগের প্রার্থীরাও নিজ নিজ এলাকায় গণসংযোগ করছেন। ইসলামপুর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের প্রার্থী সিরাজ উদ্দিন চৌধুরী বলেন, নির্বাচিত হলে ভোটারদের আশা-আকাঙ্খা পূরণের চেষ্টা করবো। দলের বিপক্ষে নির্বাচন অংশ নেয়া বিদ্রোহী প্রার্থীদের বিষয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার সামশুল আলম তালুকদার বলেন, ইতোমধ্যে দলীয় গঠনতন্ত্র অনুযায়ী বিদ্রোহী ৪ প্রার্থীকে দলীয় পদ থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। বহিষ্কারের জন্য কেন্দ্রে সুপারিশ পাঠানো হয়েছে। নৌকার জয় নিশ্চিত করতে বিদ্রোহীদের নির্বাচন থেকে সরিয়ে নেয়ার চেষ্টা চলছে।