রেলওয়ের রানিং স্টাফদের মাইলেজ সংক্রান্ত জটিলতা নিরসনের দাবিতে সিআরবি এলাকায় বিক্ষোভ মিছিল শেষে পূর্বাঞ্চলের জিএম কার্যালয় ঘেরাও এবং প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে রেলওয়ে রানিং স্টাফসহ শ্রমিক লীগ। এসময় তারা মাইলেজ নিয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপন বাতিল করা, রানিং কর্মচারীদের মাইলেজ নিয়ে সৃষ্টি জটিলতা নিরসন করা, মাইলেজ কোড বাতিল করে পার্ট অব পে হিসেবে ন্যায্য বেতনের কোড থেকে মাইলেজ দেয়ার দাবিতে জিএম-এর মাধ্যমে রেলমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি দেন সংগঠনের নেতারা। গতকাল বুধবার বেলা ১১টায় নগরীর সিআরবির সাত রাস্তার মোড় থেকে রেলওয়ে রানিং স্টাফ ও শ্রমিক কর্মচারী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়। এরপর জিএম কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশ করেন রেলওয়ে রানিং স্টাফসহ শ্রমিক লীগের নেতাকর্মীরা।
এসময় বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ রেলওয়ে রানিং স্টাফ ও শ্রমিক কর্মচারী সমিতির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. মুজিবুর রহমান ভুঁইয়া, রেলওয়ে শ্রমিক লীগের কেন্দ্রীয় কার্যকরী সভাপতি শামসুদ্দিন মজুমদার, কেন্দ্রীয় সম্পাদক আবু বক্কর সিদ্দিক, রেলওয়ে রানিং স্টাফ ও শ্রমিক কর্মচারী সমিতির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. খুরশিদ আলম, দপ্তর সম্পাদক আবদুল বারী, পাহাড়তলীর সভাপতি ইকবাল আহমেদ, গোলাম শাহরিয়ার, কেন্দ্রীয় গার্ড কাউন্সিলের সভাপতি রোকন উদ্দিন, টিটিই এসোসিয়েশনের সম্পাদক মো. শিপন মিয়া।
বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তারা বলেন, মাইলেজ পদ্ধতি রেলওয়ে কর্মচারীদের দাবি নয়, এটি অধিকার। এ অধিকারের জন্য আমরা লড়ছি। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে যদি আমাদের এ অধিকার ফিরিয়ে না দেয়া হয় তাহলে আমরা কঠোর আন্দোলনে যেতে বাধ্য হবো। আমরা সবসময় শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করে আসছি। আমরা শান্তি চাই। আমরা আমাদের অধিকার চাই। মাইলেজ হলো ‘পার্ট অব পে’। কাজ করলেই পাই, না করলে পাই না। এটি বৃটিশ আমল থেকে চালু। রানিং স্টাফদের প্রতি ৮ ঘন্টা কাজ করার পর ১ দিনের মূল বেতনের সমপরিমাণ যে অর্থ প্রদান করা হয় তা-ই মাইলেজ। দেড়শ বছরের পুরনো রেলওয়ে রানিং স্টাফদের মাইলেজ পদ্ধতি। ১৮৬২ সাল থেকে এ সুবিধা দিয়ে আসছিল রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ।
রেলওয়ের রানিং স্টাফদের মধ্যে রয়েছেন ট্রেনচালক ( লোকোমাস্টার), গার্ড ও টিকিট চেকাররা (টিটি)। বর্তমানে ট্রেন চলাচল নিরবচ্ছিন্ন ও স্বাভাবিক রাখতে এসব রানিং স্টাফের দৈনিক নির্ধারিত ১২ কর্মঘণ্টার অতিরিক্ত ডিউটি করতে হচ্ছে। রেলওয়ের রানিং স্টাফদের মাইলেজ ইস্যুতে চট্টগ্রামসহ সারাদেশে চালক, গার্ড ও টিটিইদের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে। এ নিয়ে প্রতিদিনই কোনো না কোনো এলাকায় ট্রেন চালক ( লোকোমাস্টার), গার্ড ও টিটিইরা আন্দোলনে করছেন।