খাগড়াছড়ি ও মহেশখালীতে পানিতে ডুবে প্রাণ গেল ২ শিশুর। গতকাল বুধবার খাগড়াছড়ির মাইনী নদীতে ছোট ভাইয়ের জুতা তুলতে গিয়ে প্রাণ হারায় বড় ভাই। অন্যদিকে মহেশখালীর মাতারবাড়িতে পরিবারের অজান্তে পুকুরে ডুবে মারা যায় ৪ বছর বয়সী এক শিশু।
খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি জানান : খাগড়াছড়ির দীঘিনালায় মাইনী নদীতে পড়ে মো. সাইমন নামে এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। বুধবার দুপুরে এ ঘটনা ঘটে। নিহত শিশু দীঘিনালা উপজেলার আল–কোরআন একাডেমির ছাত্র এবং কবাখালী ইউনিয়নের দক্ষিণ মিলনপুর এলাকার মো. খোরশেদ আলমের ছেলে।
জানা যায়, বুধবার দুপুরে স্কুল ছুটি হওয়ার পর সাইমন তার ছোট ভাইসহ নদীর পাশে তাদের চাচার সাথে দেখা করতে যাচ্ছিল। হাঁটার সময় ছোট ভাই সাইমের একটি জুতা নদীতে পড়ে গেলে সাইমন সেটি তুলতে গিয়ে পানিতে পড়ে স্রোতে ভারসাম্য হারিয়ে তলিয়ে যায়। ছোট ভাই সাইম তখন আতঙ্কে আশেপাশের লোকজনকে ডাকাডাকি করে। খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছায় দীঘিনালা ফায়ার সার্ভিস। স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় প্রায় আধা ঘণ্টার চেষ্টায় মাইনী ব্রিজ সংলগ্ন এলাকা থেকে শিশুটিকে উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা।
দীঘিনালা ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন কর্মকর্তা পংকজ বড়ুয়া ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, খবর পেয়ে আমরা দ্রুত ঘটনাস্থলে ছুটে যাই। স্থানীয়দের সহায়তায় আমরা শেষ পর্যন্ত শিশুটিকে উদ্ধার করি। তবে তখন সে আর বেঁচে ছিল না।
মহেশখালী প্রতিনিধি জানান : মহেশখালী উপজেলার মাতারবাড়িতে পুকুরে ডুবে হাবিবুর রহমান নামে চার বছর বয়সী এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। গতকাল বুধবার বিকেল ৫টার দিকে মাতারবাড়ি ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের আলতাফ হোছাইন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত শিশু সিকদার পাড়া এলাকার ওমান প্রবাসী মাঈন উদ্দীনের ছেলে।
জানা যায়, শিশুটির মা ঘরের কাজে ব্যস্ত ছিলেন। এ সময় সে বাইরে খেলছিল। কিছুক্ষণ পর সন্তানকে দেখতে না পেয়ে আশেপাশে খোঁজাখুঁজি শুরু করে পরিবার। একপর্যায়ে বাড়ির পাশে পুকুরে শিশুটির মরদেহ ভাসতে দেখেন স্থানীয়রা। তাকে উদ্ধার করে স্থানীয় একটি হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
মাতারবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এস এম আবু হায়দার জানান, শিশুটির মৃত্যুর খবর আমরা পেয়েছি। বাড়ির পাশের খেলতে গিয়ে পুকুরের পানিতে পড়ে তার মৃত্যু হয়।