কক্সবাজারের মহেশখালীতে নির্মাণাধীন কয়লা বিদ্যুৎ কেন্দ্রে যাওয়ার পথ তৈরি করতে কোহেলিয়া নদী ভরাট করে সকল প্রকার নির্মাণ কাজ বন্ধ রাখতে তিন সচিব, নদী কমিশনের চেয়ারম্যান, পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক ও ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানসহ ১৫ জনকে আইনি নোটিশ পাঠিয়েছে বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতি (বেলা) ও ইয়ুথ এনভায়রনমেন্ট সোসাইটি (ইয়েস) নামের দুটি পরিবেশবাদী সংগঠন। সংগঠন দু’টির পক্ষে সুপ্রীম কোর্টের আইনজীবী সাঈদ আহমেদ কবির গতকাল মঙ্গলবার ডাকযোগে এ নোটিশটি পাঠান। নোটিশে ইতোমধ্যে নদীর ভরাটকৃত অংশ থেকে মাটি ও সকল অবকাঠামো সরিয়ে নিয়ে নদীকে পূর্বের অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে এবং নদীর প্রাথমিক প্রবাহ ও সিএস জরিপ অনুযায়ী সীমানা নির্ধারণ করে সেখানে পুনরায় নদী বিরোধী সকল কার্যক্রম বন্ধ করতে ওই এলাকাকে ‘প্রতিবেশ সংকটাপন্ন এলাকা’ ঘোষণা করে তা রক্ষণাবেক্ষণের দাবি জানানো হয়।
নোটিশ প্রেরণের সাত দিনের মধ্যে গৃহীত পদক্ষেপ এ আইনজীবীকে অবহিত করার অনুরোধ জানানো হয়। অন্যথায় নোটিশ প্রাপ্ত ১৫ জনের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করারও হুমকি দেয়া হয় নোটিশে।
নোটিশ প্রাপ্তরা হলেন- ভূমি মন্ত্রণালয়ের সচিব, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব, পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব, জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের সচিব, পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের মহাপরিচালক, সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী, কঙবাজারের জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, পরিবেশ অধিদপ্তর চট্টগ্রাম অঞ্চলের পরিচালক, মহেশখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, পেকুয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, পরিবেশ অধিদপ্তর কঙবাজার জেলা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক, সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের মাতারবাড়ি কয়লা বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র নির্মাণ প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক ও ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মীর আক্তারের ব্যবস্থাপনা পরিচালক।
নোটিশে বলা হয়েছে, কঙবাজারের পেকুয়া উপজেলার উজানটিয়া থেকে শুরু হয়ে নদীটি মহেশখালীর মাতারবাড়ি হয়ে বঙ্গোপসাগরে গিয়ে পড়েছে। মাতারবাড়ি, কালামারছড়াও ধলঘাট এ তিন ইউনিয়নের জীবন-জীবিকার সঙ্গে মিশে আছে নদীটি। মহেশখালীর বাণিজ্য ও পণ্য পরিবহণ ও যাতায়াত মূলত এ নদীর মাধ্যমেই হয়ে থাকে।