ঘন কুয়াশা ও গুড়ি–গুড়ি বৃষ্টিতে মৌসুমের শুরুতেই ‘হোঁচট’ খেয়েছে মহেশখালীর লবণ শিল্প। লোকসানের আশঙ্কায় লবণ চাষি, ব্যবসায়ী ও শ্রমিকরা। জানা যায়, চলতি মৌসুমে দ্বীপ উপজেলা মহেশখালীসহ জেলার ৭ উপজেলার উপকূলীয় এলাকার প্রায় ৬৯ হাজার একর জমিতে লবণ চাষ হচ্ছে। ইতোমধ্যে লবণ উৎপাদন শুরু হয়েছে। এমতাবস্থায় গত দু’দিনের ঘন কুয়াশা এবং গতকাল গুড়ি গুড়ি বৃষ্টিতে থমকে গেছে লবণ উৎপাদন। গত ৩ দিন আকাশ মেঘলা থাকায় হতাশ লবণ চাষিরা। স্থানীয় উদ্যোক্তা ছাড়াও দেশের শীর্ষ স্থানীয় শিল্প গ্রুপসমূহও এখান লবণ চাষে বিনিয়োগ করেছে। কিন্তু মৌসুমের প্রারম্ভেই বিরুপ আবহাওয়ায় উৎপাদন বিঘ্নিত হওয়ায় তাদের বিনিয়োগ নিয়ে আশঙ্কা করছেন লবণ মিল মালিকরা। একই সাথে কারখানাগুলোতে কাঁচামাল সংকটেরও আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। মহেশখালীর হোয়ানকের হেতালিয়া ঘোনার লবণ চাষি আজিজুল হক বলেন, লবণ মাঠে ঢুকানো সমুদ্রের লোনা পানি উৎপাদনের জন্য কয়েক পর্যায়ে প্রক্রিয়াজাত করতে বায়ু প্রবাহ ও প্রখর রোদের তাপের দরকার। কিন্তু গত কয়েক দিনের ক্রমাগত শৈত্যপ্রবাহজনিত গুমোট আবহাওয়া ও আজকের বৃষ্টির ফলে প্রক্রিয়াকৃত পানি নষ্ট হয়ে গেছে। এ অবস্থা বিরাজমান থাকলে উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করা সম্ভব হবে না। আবহাওয়া স্বাভাবিক হয়ে উৎপাদন উপযোগী না হওয়া পর্যন্ত অলস সময় কাটাতে হচ্ছে জেলার লবণ শিল্প সংশ্লিষ্টদের।