মহাসড়কে ট্রাক উল্টে ঝরল তিন প্রাণ

রাস্তা পিচ্ছিল নাকি ঘুম চোখে গাড়ি চালানো

সীতাকুণ্ড প্রতিনিধি | রবিবার , ২৩ মে, ২০২১ at ৫:৪৩ পূর্বাহ্ণ

ড্রাইভার ঘুম চোখে গাড়ি চালাচ্ছিলেন নাকি সড়ক পিচ্ছিল ছিল তা এই মুহূর্তে জানার উপায় নেই। পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের ধারণা দুটোর একটি হবে। আর এর বলী হলেন তিনজন। তবে তাদের মধ্যে কে যাত্রী আর চালক বা হেলপার আছেন কিনা জানা যায়নি। দুর্ঘটনাটি ঘটেছে গতকাল শনিবার ভোর ৫টার দিকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সীতাকুণ্ড উপজেলার সোনাইছড়ি ইউনিয়নের শীতলপুর এলাকায়। চাল বোঝাই ট্রাক উল্টে নিহত হয়েছেন ৩ ব্যক্তি। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন ৪ জন। আহতরা চমেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।
নিহতরা হচ্ছেন মো. শরীফুল ইসলাম (৪৫), মো. সজিব (৩০) ও আতিকুর রহমান (২৭)। তিনজনের বাড়ি নওগাঁ জেলায়। আহতদের মধ্যে চারজনের নাম পাওয়া গেছে। তারা হলেন কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা উপজেলার মো. মহসীন (৩৫), সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ার মো. আলম (৪০), নওগাঁর মো. বাবলু (৩৫) ও রহিম উল্লা (৪০)। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ভোরে রংপুর থেকে চাল বোঝাই একটি ট্রাক (ঢাকা মেট্রো ট-১৬-৫৫১২) চট্টগ্রামে আসার পথে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে শীতলপুরে মহাসড়কের উপর উল্টে রাস্তার পাশে স্ক্র্যাপ লোহার উপর গিয়ে পড়ে। এ সময় ট্রাকের উপর থাকা ৫ জনসহ ট্রাক চালক ও হেলপার আহত হন। তাদের মধ্যে শরিফুল ইসলাম ঘটনাস্থলে নিহত হন। কুমিরা ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা আহত ব্যক্তিদের উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেছেন। সেখানে সজিব ও আতিকুর রহমান মারা যান।
কুমিরা ফায়ার সার্ভিসের লিডার এমরাম হোসেন বলেন, চাল বোঝাই ট্রাকটি রংপুর থেকে চট্টগ্রামের দিকে যাচ্ছিল। ট্রাকের চালক ও সহকারী ছাড়া বাকি সাতজন ঈদের ছুটি শেষে চট্টগ্রামে তাদের কর্মস্থলে ফিরছিলেন। মহাসড়কে আন্তঃজেলা বাস চলাচল বন্ধ থাকায় যাত্রীরা ট্রাকটিতে বোঝাই করা চালের বস্তার ওপর ঘুমিয়েছিলেন।
তিনি বলেন, ঘুম চোখে চালক গাড়ি চালানোর সময় নিয়ন্ত্রণ হারালে ট্রাকটি রাস্তার পাশে উল্টে যায়। এতে ট্রাকের ছাদে ঘুমিয়ে থাকা সাত যাত্রী ছিটকে পড়েন। ঘটনাস্থলে শরীফুল ইসলাম নিহত হন। বাকি ৬ জনকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
বার আউলিয়া হাইওয়ে থানার এসআই আবুল হাসনাত বলেন, চাল বোঝায় একটি ট্রাক উল্টে গিয়ে ঘটনাস্থলে এক ব্যক্তি মারা যায়। পরে হাসপাতালে আহত আরো দুই ব্যক্তি মারা যায়। বৃষ্টি হওয়ার ফলে সড়ক পিচ্ছিল থাকায় গাড়িটি উল্টে যেতে পারে বলে মনে করছেন তিনি।
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির এসআই মো. আলাউদ্দিন বলেন, সকালে সড়ক দুর্ঘটনায় আহত অবস্থায় ৬ জনকে চমেক হাসপাতালে নিয়ে এলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সজিব ও আতিকুর রহমান নামে দুজন মারা যায়।
বার আউলিয়া হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নজরুল ইসলাম বলেন, দুর্ঘটনায় হতাহত ব্যক্তিদের মধ্যে চালক ও সহকারী কারা খুঁজে বের করা সম্ভব হয়নি। দুর্ঘটনা কবলিত ট্রাকটি উদ্ধার করা হয়েছে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধঈদযাত্রা : ১৪ দিনে সড়কে ঝরল ৩ শতাধিক প্রাণ
পরবর্তী নিবন্ধস্ত্রী ও শ্বশুর-শাশুড়ি পিটিয়ে মারল প্রবাসীকে